বাংলার ভোর প্রতিবেদক
যশোরের চৌগাছায় হিন্দু সম্প্রদায়ের মালিকানাধীন পুকুর দখল নিয়ে বিএনপির দুই গ্রুপের সংঘর্ষে ৫ নেতাকমী আহত হয়েছেন। মঙ্গলবার চৌগাছা উপজেলার নারায়নপুর ইউনিয়নের কাদবিলা গ্রামের ঝাউতলা এলাকায় এ ঘটনা ঘটে। এ ঘটনায় ১৩ জনের নামে চৌগাছা থানায় মামলা হয়েছে। তিনজনকে গ্রেফতার করে বুধবার আদালতে সোপর্দ করা হয়েছে। তারা হলেন, চৌগাছা উপজেলার কাদবিলা গ্রামের সুশান্ত রায় মৈত্র’র ছেলে অপূর্ব রায় মৈত্র, নাজিম উদ্দিনের ছেলে সোহেল রানা ও আবদুল আজিজের ছেলে মকবুল হোসেন।
স্থানীয় সূত্রে জানা যায়, যশোরের চৌগাছা উপজেলার নারায়নপুর ইউনিয়নের কাদবিলা গ্রামের জমিদার বাড়ির উত্তারাধিকার অ্যাড. যতীনময় মৈত্র খোকন, সাবেক সচিব সুব্রত রায় মৈত্র ও বাপ্পি রায় মৈত্র। তাদের মালিকানাধীন ত্রিশ বিঘার পুকুর (জলাশয়) রয়েছে। দীর্ঘদিন ধরে ক্ষমতাসীন দলের প্রভাবশালীরা ওই পুকুর লিজ নিয়ে চাষ করে। বিগত চারদলীয় জোট সরকারের আমলে ওই পুকুর চাষ করতেন স্থানীয় সাবেক ইউপি মেম্বর আবুল কাশেম ও তার সহযোগিরা। বিগত আওয়ামী লীগের আমলে উপজেলা পরিষদের সাবেক ভাইস চেয়ারম্যান দেবাশীষ মিশ্র জয় ওই পুকুর চাষ করতেন। ৫ আগস্ট সরকার পতনের পর স্থানীয় ওয়ার্ড বিএনপির সভাপতি সভাপতি আবুল কাশেম ও তার অনুসারীরা দখলে নেন। এ নিয়ে ওয়ার্ড বিএনপির বর্তমান সভাপতি আব্দুস সালাম সমর্থিতদের সঙ্গে তাদের বিরোধ দেখা দেয়। সর্বশেষ মঙ্গলবার (২৪ ডিসেম্বর) বিরোধপূর্ণ ওই পুকুরে আবুল কাশেম সমর্থিরা মাছ ধরতে গেলে আব্দুস সালামের অনুসারিরা বাঁধা দেয়। দুই গ্রুপের সংঘর্ষে উভয় পক্ষের অন্তত ৫জন আহত হন। আহতরা হলেন, বিএনপি নেতা কাশেম সমর্থিত কাদবিলা গ্রামের বাসিন্দা আবুল হোসেন (৭০), আবুল হোসেনের ছেলে মফিজুর রহমান (৩৫), আজিজজুর রহমান (৩০), হাফিজুর রহমান (২৫) ও বিএনপি নেতা আব্দুস সালাম সমর্থিত মকবুল হোসেন (৩৮)।
তবে পুলিশের দাবি আওয়ামী লীগের নেতাকর্মীদের হামলায় বিএনপির নেতাকর্মীরা আহত হয়েছে। এ বিষয়ে চৌগাছা থানার ওসি পায়েল হোসেন বলেন, হিন্দু সম্প্রদায়ের পুকুর লিজ নিয়ে বিরোধের জের ধরে বিএনপি নেতাকর্মীদের মারপিট করা হয়েছে। হামলায় জড়িতরা সবাই আওয়ামী লীগের রাজনীতির সঙ্গে সম্পৃক্ত। এ ঘটনায় ১৩জনের নাম উল্লেখ করে মামলা হয়েছে। তিনজনকে গ্রেফতার করে আদালতে সোপর্দ করা হয়েছে।’