বাংলার খেলা প্রতিবেদক
যশোর জেলা ক্রীড়া সংস্থার অফিস সহায়ক, ক্রীড়াঙ্গনের অতি পরিচিতি মুখ দিলীপ কুমার কর্মকার (দিলীপ দাদা) আর নেই। রোববার রাত সাড়ে ১১টায় বেজপাড়া গয়ারাম সড়কের বাড়িতে হৃদরোগে আক্রান্ত হলে হাসপাতালে নেয়ার পথে পরলোকগমন করেন তিনি। শনিবার পুরো সময়টায় অফিস করেন। রোববার সকাল থেকে অসুস্থ বোধ করলে বাসায় ছিলেন। পরে রাত ১১টার পর মারা যান। তার বয়স ছিল ৫২ বছর। স্ত্রী, তিন কন্যা, নাতি নাতনিসহ অসংখ্য গুণগ্রাহী রয়েছে। সোমবার দুপুর দেড়টায় নীলগঞ্জ মহাশশ্মানে শেষকৃত্য অনুষ্ঠিত হয়।
এর আগে তার মৃত্যুর খবর শুনে বিভিন্ন ক্রীড়া সংগঠক ও সহকর্মীরা তার বাড়িতে ছুটে যান। দুপুর একটার দিকে জীবনের অধিকাংশ সময় কাটানো যশোর জেলা ক্রীড়া সংস্থা প্রাঙ্গনে শেষ বারের মতো দিলীপের মরদেহ আনা হয়। সেখানে তাকে শ্রদ্ধা নিবেদন করেন জেলার ক্রীড়া সংগঠক ও খেলোয়াড়, জেলা ক্রীড়া সংস্থার কর্মচারীবৃন্দ এবং স্কাইল্যাব ক্লাবের কর্মকর্তারা।
১৯৮০ সালে জেলা ক্রীড়া সংস্থায় কর্মচারী হিসেবে কাজে যোগদান করেন দিলীপ কুমার কর্মকার। ছিলেন জেলা ক্রীড়া সংস্থার অফিস সহায়ক। তা সত্বেও আন্তরিকতা ও কাজের ক্ষেত্রে ছিলেন অত্যন্ত নিষ্ঠাবান। হয়ে উঠেছিলেন ক্রীড়াঙ্গনের সবার আপনজন। সে কারণে সবাই তাকে নিয়ে ছিল পঞ্চমুখ। ক্রীড়াঙ্গনে এমন একজনের চলে যাওয়াটাকে অপূরণীয় ক্ষতি বলে মনে করছেন সংগঠকরা।
তার মৃত্যুতে গভীর শোক ও শোকসন্তপ্ত পরিবারের প্রতি গভীর সমবেদনা জ্ঞাপন করেছেন জেলা ক্রীড়া সংস্থার সাবেক সাধারণ সম্পাদক মোহাম্মদ শফিকউজ্জামান, বীর মুক্তিযোদ্ধা ইয়াকুব কবির, মারুফুল ইসলাম, অতিরিক্ত সাধারণ সম্পাদক এমএ আকসাদ সিদ্দিকী শৈবাল, যুগ্ম সম্পাদক শহিদ আহমেদ, কোষাধ্যক্ষ সোহেল মাসুদ হাসান টিটো, জেলা ফুটবল অ্যাসোসিয়েশনের সভাপতি আসাদুজামান মিঠু, সহসভাপতি আব্দুল মান্নান, কার্যনির্বাহী সদস্য আলমগীর সিদ্দিকী, বাংলাদেশ আম্পায়ার্স এন্ড স্কোরার্স অ্যাসোসিয়েশন যশোর জেলা শাখার সাধারণ সম্পাদক আসাদুল্লাহ খান বিপ্লব, সাবেক সভাপতি খায়েরুজ্জামান বাবু, সাধারণ সম্পাদক রাশেদ পারভেজ ফুল, ক্রীড়া সংগঠক এ, এফ, এম মঈনুদ্দীন রোম, মাহতাব নাসির পলাশ, জেলা ফুটবর রেফারি সমিতির সাধারণ সম্পাদক নিবাস হালদার প্রমুখ।