বাংলার ভোর প্রতিবেদক
যশোরে স্বামী বিবেকানন্দের ১৬৩তম জন্মতিথি উপলক্ষে রামকৃষ্ণ আশ্রম ও মিশনের উদ্যোগে আয়োজিত দুই দিনব্যাপী উৎসব শেষ হয়েছে। সমাপনী দিনের অনুষ্ঠানে প্রধান অতিথি হিসেবে উপস্থিত ছিলেন জেলা প্রশাসক আজাহারুল ইসলাম। তিনি বলেন, ধর্ম এবং ধর্মের দর্শন উপলব্ধি করতে হলে কূপমণ্ডূকতা থেকে বেরিয়ে আসতে হবে। স্রষ্টার পথই কল্যাণের পথ এবং এ পথে চললে অকল্যাণ সম্ভব নয়। কূপমণ্ডূকতা পরিহার করে মনীষীদের আদর্শ অনুসরণের আহ্বানও জানান তিনি।
মঙ্গলবার এ অনুষ্ঠানে সকালে বিশেষ পূজা, ভজন সংগীত, ধর্মগ্রন্থ পাঠ, পুষ্পাঞ্জলি এবং ‘স্বামী বিবেকানন্দের জীবন ও আদর্শ’ শীর্ষক আলোচনা অনুষ্ঠিত হয়। আলোচনায় সভাপতিত্ব করেন যশোর রামকৃষ্ণ আশ্রম ও মিশনের অধ্যক্ষ স্বামী জ্ঞানপ্রকাশানন্দ।
সভায় সম্মানিত অতিথি ছিলেন যশোর সরকারি কলেজের ইংরেজি বিভাগের অধ্যাপক বিদ্যুৎ কুমার বিশ্বাস । আলোচক ছিলেন স্বামী বিবেকানন্দ শিক্ষা ও সংস্কৃতি পরিষদ যশোরের সাধারণ সম্পাদক ডা. জয় প্রকাশ বসু। এছাড়া বিভিন্ন সামাজিক ও শিক্ষামূলক প্রতিষ্ঠানের নেতৃবৃন্দ উপস্থিত ছিলেন।
আলোচনা সভায় স্বামী বিবেকানন্দের অবদানকে স্মরণ করে বক্তারা বলেন, স্বামী বিবেকানন্দ শুধুমাত্র একজন হিন্দু সন্ন্যাসী নন; তিনি ধর্ম, সমাজ সংস্কার, শিক্ষা এবং মানবতার জন্য কাজ করেছেন। তাঁর কর্ম ও জীবনাদর্শ একটি বৈষম্যহীন সমাজ গড়তে গুরুত্বপূর্ণ ভূমিকা পালন করতে পারে।
বক্তারা আরও বলেন, স্বামী বিবেকানন্দের জীবনাদর্শ অনুসরণ করলে আমরা একটি জ্ঞানভিত্তিক, ন্যায়ভিত্তিক এবং মানবিক সমাজ গড়ে তুলতে পারব। তাঁর কর্মের শিক্ষা ভবিষ্যৎ প্রজন্মের জন্য আলোকবর্তিকা হয়ে থাকবে।
অনুষ্ঠানে মাধ্যমিক ও কলেজ পর্যায়ের মেধাবী ৫০ শিক্ষার্থীর মাঝে ‘স্বামী বিবেকানন্দ ও আমেনা খাতুন শিক্ষাবৃত্তি’ প্রদান করা হয়। পাশাপাশি শিশু শিক্ষার্থীদের মধ্যে ফল বিতরণ করা হয়।
এছাড়া, দুই দিনের এ উৎসবের প্রথম দিনে যশোর ২৫০ শয্যা জেনারেল হাসপাতালে চিকিৎসারত রোগীদের মাঝে ৬৫০ প্যাকেট ফল ও পাউরুটি বিতরণ করা হয়। সমাপনী দিনে অন্ন প্রসাদ বিতরণের মাধ্যমে উৎসবের সমাপ্তি ঘোষণা করা হয়।