বাংলার ভোর প্রতিবেদক
যশোরে অপারেশন ডেভিল হান্টে আওয়ামী লীগের ১৫ নেতাকর্মীকে গ্রেফতার করা হয়েছে। রোববার গভীর রাত থেকে সোমবার সকাল পর্যন্ত জেলার বিভিন্ন এলাকা থেকে তাদের গ্রেফতার করা হয়। আটকদের দুপুরে আদালতে সোপর্দ করলে বিচারক তাদের কারাগারে পাঠানোর নির্দেশ দেন।
গ্রেফতারকৃতদের মধ্যে একাদশ সংসদ নির্বাচনে যশোরের একটি ভোট কেন্দ্রে নাশকতার মামলায় আসামি যশোর সদর উপজেলার নরেন্দ্রপুর ইউনিয়নের বলরামপুরের ফেরদৌস আলম, যশোরের উপশহর ডি-ব্লকের মিজানুর রহমান রাফি, শেখহাটি তরফ নওয়াপাড়ার আব্দুল হামিদ খোকন, ফতেপুরের ভায়না গ্রামের মদন কুমার ঘোষ, একই গ্রামের শেখ হারুন অর রশীদ, রামকৃষ্ণপুরের সোহরাব হোসেন শিহাব, লেবুতলার এনায়েতপুরের শাহিনুর রহমান, একই গ্রামের তুষার ও লেবুতলার জাহাদায়। তারা ইউনিয়ন ও বিভিন্ন ওয়ার্ড আওয়ামী লীগের বিভিন্ন পদের নেতাকর্মী।
এদিকে, চৌগাছায় গ্রেফতারকৃতরা হলেন, হাকিমপুর ইউনিয়নের কোমরপুর গ্রামের আ.লীগ নেতা ফজলুর রহমান ও পাশাপোল ইউনিয়নের এক নম্বর ওয়ার্ডের মেম্বর আমিরুল ইসলাম। বাকিদের বিভিন্ন থানা পুলিশ গ্রেফতার করেছে।
এ বিষয়ে কোতোয়ালি থানার পরিদর্শক (তদন্ত) কাজী বাবুল হোসেন বলেন, ‘২০১৮ সালের ৩০ ডিসেম্বর একাদশ সংসদ নির্বাচনে সদর উপজেলার বালিয়াডাঙ্গা গ্রামের মডেল সরকারি প্রাথমিক বিদ্যালয় ভোট কেন্দ্রে নাশকতার ঘটনা ঘটে। এ ঘটনায় ২০২৪ সালের ১৯ নভেম্বর কোতোয়াালি থানায় মামলা করেন অ্যাডভোকেট মুন্সী মঞ্জুরুল ইসলাম। এ মামলায় ইউনিয়ন আওয়ামী লীগের বিভিন্ন স্তরের ৯ জন নেতাকর্মীকে গ্রেফতার করা হয়েছে। তাদেরকে আদালতে সোপর্দ করলে বিচারক কারাগারে পাঠানোর নির্দেশ দেন।’
এ বিষয়ে অতিরিক্ত পুলিশ সুপার নূর ই আলম সিদ্দিকী বলেন, অপারেশন ডেভিল হান্টে জেলায় ১৫ জনকে গ্রেফতার করা হয়েছে। সোমবার তাদের আদালতে সোপর্দ করা হয়েছে।