বাংলার ভোর প্রতিবেদক
যশোর জেলা শাখা বিএনপির কাউন্সিল উপলক্ষে গঠিত কমিশন নির্বাচনের তফসিল ঘোষণা করেছে। আগামী ২২ ফেব্রুয়ারি দুপুর ২টা থেকে বিকেল ৫টা পর্যন্ত মুন্সী মেহেরুল্লাহ ময়দান আলমগীর সিদ্দিকী হলে এ ভোট গ্রহণ করা হবে। ভোট গণনা শেষে ওই দিনই ফলাফল প্রকাশ করা হবে। সভাপতি ১টি, সাধারণ সম্পাদক ১টি ও সাংগঠনিক সম্পাদক ৩টি পদের জন্য ভোট অনুষ্ঠিত হবে। সোমবার ১৭ ফেব্রুয়ারি বিকেলে এ তফসিল ঘোষণা করেন নির্বাচন কমিশনের আহ্বায়ক অ্যাড. মো. ইসহক। ১৬ টি সাংগঠনিক ইউনিটের এক হাজার ৬১৬ জন ভোটার প্রত্যক্ষ ভোটের মাধ্যমে কমিটির সভাপতি, সাধারণ সম্পাদক, সাংগঠনিক সম্পাদক নির্বাচিত করবে ভোটাররা।
দলীয় সূত্রে জানা গেছে, ২০১৮ সালের ২০ মে যশোর জেলা বিএনপির কমিটি ভেঙে আহ্বায়ক কমিটি করা হয়। এতে বিএনপির স্থায়ী কমিটির সদস্য ও সাবেক মন্ত্রী প্রয়াত তরিকুল ইসলামের সহধর্মিনী অধ্যাপক নার্গিস বেগম আহ্বায়ক এবং সাবেক সাধারণ সম্পাদক অ্যাডভোকেট সৈয়দ সাবেরুল হক সাবু সদস্য সচিব হন।
নির্বাচনী তফসিল আনুয়ায়ী খসড়া ভোটার তালিকা প্রকাশ করা হয়েছে ১৭ ফেব্রুয়ারি। ভোটার তালিকায় আপত্তি গ্রহণ ১৮ ফেব্রুয়ারি সকাল ৯টা থেকে ১১টা পর্যন্ত। আপত্তি নিষ্পত্তি/সংশোধন একই দিন বেলা ১১টা থেকে ১২টা পর্যন্ত চলবে। চূড়ান্ত ভোটার তালিকা প্রকাশ করা হবে ১৮ ফেব্রুয়ারি সন্ধ্যা ৭টায়। মনোনয়ন ফরম বিক্রি শুরু ১৯ ফেব্রুয়ারি সকাল ১০টা থেকে বেলা ১২ টা পর্যন্ত। ১৯ ফেব্রুয়ারি বেলা ১২টা থেকে ২টা পর্যন্ত মনোনয়ন পত্র গ্রহণ। একই দিন ২টা থেকে ৩টার মধ্যে মনোয়ান পত্র যাচাই ও বাছাই করে বিকাল চারটায় বৈধ প্রার্থী তালিকা প্রকাশ করা হবে এবং মনোয়ান পত্র সন্ধ্যা ৬টার মধ্যে প্রত্যাহারের সুযোগ রয়েছে। সন্ধ্যা সাতটায় চূড়ান্ত প্রার্থী তালিকা প্রকাশ করা হবে।
দীর্ঘ ১৬ বছর পর হতে যাচ্ছে যশোর জেলা বিএনপির সম্মেলন। আগামী ২২ ফেব্রুয়ারি যশোর ঈদগাহ ময়দানে এ সম্মেলন অনুষ্ঠিত হবে। মনোনয়নপত্র সংগ্রহের উল্লেখযোগ্য শর্তাবলী হলো-সভাপতি ও সাধারণ সম্পাদক পদে পঞ্চাশ হাজার টাকা মাত্র ও সাংগঠনিক সম্পাদক পদে ত্রিশ হাজার টাকা মাত্র এর বিনিময়ে (অফেরতযোগ্য) মনোনয়নপত্র সংগ্রহ করা যাবে।
প্রার্থীদের মনোনয়ন পত্রের সাথে অবশ্যই পাঁচ হাজার টাকার বিনিময়ে এক সেট ভোটার তালিকা ক্রয় করতে হবে। মনোনয়ন পত্রের সাথে দুই কপি পাসপোর্ট সাইজের ছবি, জাতীয় পরিচয়পত্রের ফটোকপি ও মনোনয়নপত্র ক্রয়ের মূল রশিদ সংযুক্ত করতে হবে। শুধুমাত্র কাউন্সিলররা (উপজেলা/পৌর বিএনপির পূর্ণাঙ্গ কমিটির সকল সদস্যবৃন্দ জেলা বিএনপির কাউন্সিলে প্রার্থী হতে পারবে। জেলা বিএনপির কাউন্সিলে সভাপতি, সাধারণ সম্পাদক ও সাংগঠনিক সম্পাদক পদে প্রার্থী হতে চাইলে অঙ্গ ও সহযোগী সংগঠনের কেন্দ্রীয়, জেলা, উপজেলা পৌর পর্যায়ে নেতৃত্বে থাকলে নিজ পদ থেকে পদত্যাগ করে পদত্যাগ পত্রের কপি মনোনয়পত্রের সাথে সংযুক্ত করতে হবে। ভোট প্রদানের সময় কাউন্সিলর কার্ড ও আইডি কার্ড প্রদর্শন করতে হবে।