স্বাধীন মুহাম্মদ আব্দুল্লাহ
বুধবার দুপুর পৌনে ১টা বাজে। দেড় বছর বয়সী অসুস্থ ছেলেকে কোলে নিয়ে ডাক্তারের কক্ষের সামনে অপেক্ষায় আছেন রোখসানা খাতুন। সকাল ৯টার আগেই মাগুরার আড়পাড়া থেকে এসেছেন তিনি। প্রায় সাড়ে তিন ঘন্টা পেরিয়ে গেলেও ডাক্তারের সাক্ষাৎ পাননি। এটি যশোর নিউমার্কেট এলাকার শিশু হাসপাতালের চিত্র। নড়াইল থেকে আসা রোগীর স্বজন সালাউদ্দীন ডাক্তারের অপেক্ষায় বসে আছেন। ডাক্তার কখন আসবেন জানা নেই। শুধু রোখসানা খাতুন কিংবা সালাউদ্দিন নয়, তাদের অনেকেই শিশুদের চিকিৎসার জন্য এসে বিপাকে পড়েছেন। কেউ কেউ ফিরে গেছেন চিকিৎসা না পেয়ে।
সাত দফা দাবিতে শিশু হাসপাতালে কর্মরতরা বিরতি পালন করায় চরম ভোগান্তির শিকার হচ্ছেন রোগী ও স্বজনরা।
মাগুরার আড়পাড়া থেকে আসা রোখসানা খাতুন বলেন, সকাল ৯টায় হাসপাতালে এসেছি। ছেলেকে ডাক্তার দেখানোর জন্য সিরিয়াল দিয়ে বসে আছি। ডাক্তার এখনও বসেনি। ডাক্তার বসার পর আমার রোগীর সিরিয়াল আসলে দেখাবো বলে বসে আছি।
নড়াইলের সালাউদ্দীন হোসেন বলেন, ডাক্তার দেখাতে এসে বসে আছি। জরুরি কাজ থাকলেও না দেখায়ে যেতে পারছি না। হাসপাতালে এসে শুনি ডাক্তাররা আন্দোলন করছে। তাদের আন্দোলনের কারণে আমাদের ভোগান্তি হচ্ছে।
নাম প্রকাশ্যে অনিচ্ছুক শিশু হাসপাতালের এক কর্মকর্তা বলেন, আমরা বিভিন্ন দাবি নিয়ে কর্মবিরতি পালন করছি। সকাল থেকে আউটডোরে ডাক্তার রোগী দেখেনি। দুপুরের পর আউটডোরে ডাক্তার বসবে। ডাক্তার ভর্তি রোগীদের যথাসময়ে দেখভাল করছে। যতদিন দাবি পূরণ না হবে ততদিন আন্দোলন চলবে।
এদিকে, দুপুরে জেলা প্রশাসক বরাবর স্মারকলিপি দেয় শিশু হাসপাতালে কর্মরতরা। তাদের দাবির মধ্যে রয়েছে-বেতন বৈষম্যদূরীকরণ, বিনা নোটিশে চাকরিচ্যুত বন্ধ, শিশু হাসপাতালের কার্যক্রম স্থানীয় প্রশাসন দ্বারা পরিচালনা, নিয়ম বহির্ভূতভাবে নিয়োগ ও লভ্যাংশ থেকে হাসপাতালকে বঞ্চিত না করা ।
চলমান আন্দোলন ও স্বাস্থ্যসেবা ব্যাহত হওয়ার বিষয়ে জানতে চাইলে শিশু হাসপাতালের উপপরিচালক ডা. সৈয়দ নূর-ই হামিম বাংলার ভোরকে বলেন, নিয়ম বহির্ভুতভাবে হাসপাতালের দুইজন কর্মচারীকে চাকরিচ্যুত করা হয়েছে। শিশু স্বাস্থ্য ফাউণ্ডেশনের অধীনে আমাদের হাসপাতালটি। পরিবর্তিত প্রেক্ষাপটে এসেও ঢাকা অফিসের আতাতে জাল সনদপত্রের একজনকে প্রশাসনিক কর্মকর্তা হিসেবে নিয়োগ করা হচ্ছে। এমনকি স্বাস্থ্য ফাউণ্ডেশন আমাদের রীতিমত চাপ দিচ্ছে তাকে নিয়োগ দেওয়ার জন্য। আমরা কোনো প্রকার অনিয়ম করতে চাই না। আমাদের বেতন বৈষম্যসহ বেশ কিছু দাবি রয়েছে। আমাদের দাবি পূরণ না হওয়া পর্যন্ত আমরা স্বাভাবিক স্বাস্থ্যসেবায় ফিরতে পারছি না।
শিরোনাম:
- মণিরামপুরে অপকর্মে লিপ্তদের বিরুদ্ধে প্রতিবাদী মানুষ অগ্নি
- আছিয়াকে ধর্ষণের ঘটনায় জড়িতের বাড়িতে অগ্নিসংযোগ
- ‘আমার মেয়ের মতো কষ্টে তারেও দেখতে চাই’
- হিটু শেখের বিরুদ্ধে আগেও ধর্ষণ চেষ্টার অভিযোগ ছিল
- দারিদ্রতা দূর করতে যাকাত ভিত্তিক অর্থ ব্যবস্থার বিকল্প নেই : মুহাদ্দীস আব্দুল খালেক
- পাহাড়সম অভিমান নিয়ে চলেই গেল আছিয়া
- যশোরে বিশ্ব কিডনি দিবস পালিত
- যশোর সংস্কৃতিকেন্দ্রের উদ্যোগে মানববন্ধন অনুষ্ঠিত