বাংলার ভোর প্রতিবেদক
যশোরের শার্শা উপজেলার কন্যাদহে বোমা হামলায় জড়িতরা গত দুই সপ্তাহেও গ্রেফতার হয়নি। হামলায় জড়িত কন্যাদহ গ্রামের রেজাউল ও জনি বাহিনীর সদস্যরা এখনো বহাল তবিয়তে রয়েছে। তারা বিএনপির নাম ভাঙিয়ে বিভিন্ন অপকর্ম চালিয়ে যাচ্ছে বলে স্থানীয়রা জানিয়েছেন।
সূত্র মতে, ২১ ফেব্রুয়ারি রাতে শার্শা উপজেলা যুবদলের যুগ্ম আহ্বায়ক শহিদুল ইসলাম শহীদের বাড়িতে রেজাউল ও জনি বাহিনীর একাধিক মামলার আসামি সন্ত্রাসী ডবলু, মাদক বিক্রেতা আশানুরসহ ২০-৩০ জন ২৫ থেকে ৩০ টি বোমা হামলা চালায়।
কন্যাদহ গ্রামের সেলিম জানান, কন্যাদহে চাঁদাবাজি ও ঘের দখলে প্রতিবাদ জানায় শার্শা উপজেলা যুবদলের যুগ্ম আহ্বায়ক শহিদুল ইসলাম শহিদ। এতে ক্ষিপ্ত হয়ে তার বিরুদ্ধে ষড়যন্ত্রে লিপ্ত হন রোকনুজ্জামান জনি ও তার ভাই রেজাউল। শহিদকে মারতে গত দুই সপ্তাহ আগে রেজাউল ও জনি বাহিনীর সদস্য জিরেনগাছা গ্রামের সন্ত্রাসী ডাবলু, মাদক বিক্রেতা আশানুর ২০-৩০টি বোমা হামলা চালায়। এতে ৭/৮ জন আহত হন। পুলিশ ঘটনাস্থল থেকে ৪টি বোমা উদ্ধার করে।
এদিকে, বোমা হামলার ঘটনায় কন্যাদহের শাহ আলম বাদী হয়ে শার্শা থানায় মামলা করেন। যার মামলা নাম্বার ২৪, তাং ২৬/০২/২০২৫ ধারা ১৪৩/৪৪৭/৩২৩/৩০৭/১১৪/৫০৬।
আসামিরা হলেন, কন্যাদহ গ্রামের মৃত রহমত গাইনির ছেলে রুমাজ গাইন (৫০), মৃত সোলেমানের ছেলে সাহেব আলী (৪০), খোকনের ছেলে মেজবা (২৭), মোতালেবের ছেলে আব্বাস (৩০), আনিছের ছেলে নয়ন (২৫), আজিজুলের ছেলে কালু, মৃত মিজার ছেলে আলম গাইন, জিরেনগাছা গ্রামের তোফাজ্জলের ছেলের শীর্ষ সন্ত্রাসী ডাবলু, একই গ্রামের তোফাজলের ছেলে জবা, বেনাপোলের নারায়নপুর গ্রামের আবু তাহেরের ছেলে অনিকসহ অজ্ঞাতনামা ৫/৭ জন। কিন্তু পুলিশ তাদের কাউকে গ্রেফতার করতে পারিনি।
এ বিষয়ে শার্শা থানার ওসি রবিউল ইসলাম বলেন, বোমা হামলা ও বোমা উদ্ধারের ঘটনায় মামলা হয়েছে। তবে আসামি গ্রেফতার হয়নি। গ্রেফতারের জন্য চেষ্টা করছে পুলিশ।
এদিকে স্থানীয় আবু বক্কর জানিয়েছেন, বোমা হামলার পর থেকে এলাকায় আতংক বিরাজ করছে। আসামিরা প্রকাশ্যে ঘুরে বেড়াচ্ছে। তারা বিএনপির পরিচয় দিচ্ছে। কিন্তু গত ১৬ বছর তাদের বিএনপির রাজনীতি করতে দেখা যায়নি। অথচ দুর্দিনের কর্মীদের ছায়া দিয়ে রাখা উপজেলা যুবদলের যুগ্ম আহ্বায়ক শহিদের বাড়িতে বোমা হামলা করেছে। জড়িতদের বিরুদ্ধে কঠোর ব্যবস্থা নেওয়ার দাবি করেন তিনি।