Close Menu
banglarbhore.com
  • হোম
  • দক্ষিণ-পশ্চিম
  • বাংলাদেশ
  • বিশ্ব
  • বিনোদন
  • খেলা
  • চাকরি
  • জীবনযাপন
  • রান্না ঘর
  • স্বাস্থ্য
Facebook X (Twitter) Instagram
শিরোনাম:
  • মার্কসবাদী চিন্তাবিদ দাউদ হোসেনের দাফন সম্পন্ন
  • তরিকুল ইসলাম স্মৃতি ফুটবল শেষ আটে কাশিমপুর ও রামনগর
  • যশোরস্থ সাতক্ষীরা কল্যাণ সমিতির মিলনমেলা অনুষ্ঠিত
  • জাসদের উদ্যোগে নারীনেত্রী নুরজাহানের স্মরণসভা
  • বাংলাদেশ পৌর কর্মচারী ফেডারেশন খুলনা বিভাগীয় কমিটি গঠন
  • যশোরে ট্রেনে কাটা পড়ে যুবকের মৃত্যু
  • স্থলপথে ভারত ভ্রমণে আয় ১৫০ কোটি টাকা
  • নেই সংযোগ সড়ক, কাজে আসছে না কোটি টাকার সেতু
Facebook X (Twitter) Instagram
আকিজ ন্যাচারাল সরিষার তেল
banglarbhore.combanglarbhore.com
আকিজ ন্যাচারাল সরিষার তেল
রবিবার, নভেম্বর ২৩
  • হোম
  • দক্ষিণ-পশ্চিম
  • বাংলাদেশ
  • বিশ্ব
  • বিনোদন
  • খেলা
  • চাকরি
  • জীবনযাপন
  • রান্না ঘর
  • স্বাস্থ্য
banglarbhore.com
দক্ষিণ-পশ্চিম

পাহাড়সম অভিমান নিয়ে চলেই গেল আছিয়া

banglarbhoreBy banglarbhoreমার্চ ১৩, ২০২৫Updated:মার্চ ১৪, ২০২৫No Comments
Facebook Twitter Pinterest LinkedIn WhatsApp Reddit Tumblr Email
Share
Facebook Twitter LinkedIn Pinterest Email

# হেলিকপ্টারে বাড়ি ফিরল নিথর দেহ
# শিশুটির বাড়িসহ এলাকায় শোকের মাতম
# ধর্ষকের বিচার দাবিতে ক্ষোভে ফুঁসছে দেশ
# এ ইস্যুকে কেন্দ্র করে কোনো নৈরাজ্য বরদাশত করা হবে না: আইন উপদেষ্টা

বাংলার ভোর প্রতিবেদক
প্রায় আট দিন হাসপাতালে শারীরিক পরিস্থিতির সঙ্গে লড়াই করে শেষপর্যন্ত মৃত্যুর কাছে হেরে গেল মাগুরার আট বছর বয়সী শিশু আছিয়া। বৃহস্পতিবার দুপুর একটার দিকে ঢাকার সম্মিলিত সামরিক হাসপাতালে তার মৃত্যু হয়। হাসপাতাল থেকে সরাসরি মাগুরায় নেওয়া হয় মরদেহ। রাত ৮টার দিকে মাগুরা জেলা স্টেডিয়ামে নামাজে জানাজা অনুষ্ঠিত হয়। তার জানাজায় সর্বস্তরের মানুষ অংশ নেয়। জানাজা শেষে গ্রামের বাড়ি মাগুরার শ্রীপুর উপজেলার জারিয়া গ্রামে দাফন করা হয়েছে। শিশুটির বাড়িসহ এলাকায় শোকের মাতম চলছে। ধর্ষকের দৃষ্টান্তমূলক শাস্তির দাবিতে বিক্ষোভ, মিছিল, সমাবেশে ফুঁসে উঠেছে দেশের মানুষ। সামাজিক যোগাযোগ মাধ্যমে মানুষ শোক প্রকাশ করে অনেকেই লিখেছেন ‘ক্ষমা করে দিও আছিয়া। ধর্ষকের মৃত্যুর আগে তোমাকে বিদায় নিতে হলো।’

গত ৫ মার্চ বড় বোনের শ্বশুর বাড়ি বেড়াতে গিয়ে ধর্ষণের শিকার হয় আট বছর বয়সী আছিয়া। এ সংবাদ গণমাধ্যমে প্রকাশের পর সারা দেশে তোলপাড় হয়। মেয়েটির চিকিৎসার জন্য সম্মিলিত সামরিক হাসপাতালে নেয়া হয়। সেখানে চিকিৎসাধিন ছিল মেয়েটি। অবস্থার উন্নতি না হওয়ায় পরিবারের সদস্যরা ধরেই নিয়েছিলেন মায়ের কোলে ফিরবে না সে। শুধু বাকি ছিলো চিকিৎসকের আনুষ্ঠানিক ঘোষণা। তবে সেটিও দেরি করা লাগেনি আর। বৃহস্পতিবার বেলা একটার দিকে ঘোষণা এলো আছিয়া আর নেই।

সম্মিলিত সামরিক হাসপাতালের মর্গে (সিএমএইচ) শিশুটির সঙ্গে ছিলেন মা ও বড় বোন। বাবা কিছুটা মানসিক রোগে আক্রান্ত হওয়ায় নিজ গ্রাম শ্রীপুর উপজেলার জারিয়া গ্রামেই ছিলেন। চিকিৎসক যখন শিশুটির মাকে মৃত্যুর খবর জানালেন; এর পর পরেই মুঠোফোনে খবরটি পান শিশুটির চাচা ইব্রাহিম হোসেন। পাশেই ছিলেন চাচী আখি খাতুন। মুঠোফোনের কান্নার আহজারির শব্দে বুঝতে বাকি থাকেনি শিশুটির মৃত্যুর খবর। স্বজনের কান্নার আহাজারিতে এ খবর পৌঁছাতে থাকে পাড়া থেকে গ্রাম। গ্রাম থেকে মাগুরা শহরে।

শিশুটির মৃত্যুর খবর পাওয়ার পর এলাকাবাসী ও আত্মীয়স্বজন শিশুটির বাড়িতে গিয়ে ঘটনার দৃষ্টান্তমূলক বিচার দাবি করেছেন। দুপুরে জেলার শ্রীপুর উপজেলায় শিশুটির বাড়িতে গিয়ে দেখা যায়, শিশুটির পরিবার হতদরিদ্র। স্থানীয়রা জানান, দিনমজুর শিশুটির বাবা চাচারা। লুঙ্গি ও একটা ছেঁড়া শার্ট পরেই একটি বারান্দাতে বসেছিলেন শিশুটির বাবা। তাকে ঘিরে রেখে শান্তনা দিচ্ছেন নারী পুরুষ। বাড়িতে আত্মীয়স্বজন, এলাকাবাসী ও গণমাধ্যমকর্মীরা ভিড় করছেন। ঘটনার পর শিশুটির বাবা মানসিকভাবে আরও অসুস্থ হয়ে পড়েন। মেয়ের মৃত্যুর খবরে তিনি চুপচাপ হাঁটাহাঁটি করছেন, কারও সঙ্গে কোনো কথা বলছেন না। শিশুটির চাচা (বাবার ফুফাতো ভাই) বলেন, ‘জোহরের আজান যখন চলে তখন আমরা মৃত্যুর খবর পাই। আমরা এই ঘটনায় জড়িতদের দৃষ্টান্তমূলক শাস্তি চাই।’ নিষ্পাপ শিশুর মৃত্যুর খবরে শিশু থেকে বৃদ্ধ সবার চোখই ছলছল করতে দেখা গেছে। কান্না আহাজারিতে শিশুটির শান্তি কামনার সঙ্গে ধর্ষকের দৃষ্টান্তমূলক শাস্তি দাবি করেছেন অনেকেই।

কয়েকজন জানালেন, শান্ত স্বভাব মেজাজের মানুষ শিশুটির বাবা। কম কথা বলেন। তবে ছোট মেয়ে ধর্ষণ হওয়ার পর থেকে একেবারেই কথা বলছেন না তিনি। অনেকটা মানসিক রোগীতে পরিণত হয়েছেন। লোকজনের দিকে ফ্যাল ফ্যাল তাকাচ্ছেন আর চুপ করে থাকছেন। পাশেই কান্না করতে দেখা গেছে শিশুটির চাচী আখি খাতুননকে, ‘কখনো কখনো মনে হয়েছে মেয়েটা সুস্থ হবে। এবার বেঁচে গেলে আর কখনো বাড়ি থেকে একা ছাড়তাম না। কিন্তু আল্লাহ ডাক শোনেননি। এর মধ্যেই তিনি ‘ধর্ষকের গোটা পরিবারসহ’ সবার ফাঁসির দাবি জানিয়েছেন।

তিনি বলেন, ‘যেদিন বোনের সাথে তার শ্বশুর বাড়িতে পাঠানো হয়; সেদিন যেতে রাজি ছিলো না। সেখানে দুদিন থেকে বাড়ি আসার জন্য বারবার তার মাকে বলছিলেন। তখন শিশুটির মা বলেন ২৫ রোজায় বাড়ি আসছে। তার বোন বলেন, আমার সঙ্গে ঈদে একসাথে বাড়িতে যাবো। বাড়িতে আসতে না দেয়াতে অভিমান করেছিলো শিশুটি। সেই পাহাড়সম অভিমান নিয়ে চলে গেলো মেয়েটি। সেদিন যদি বাড়িতে আসতে বলতাম; তাহলে মেয়েটির এই অবস্থা দেখা লাগতো না আমাদের। ওরও এতো কষ্ট নিয়ে মরতে হতো না।’

বাড়ি ফিরলো আছিয়ার নিথর দেহ:
ধর্ষণের শিকার হয়ে মারা যাওয়া শিশুটির নিথর দেহ সন্ধ্যা সোয়া ৬টায় মাগুরা জেলা স্টেডিয়ামে পৌঁছায়। স্টেডিয়াম থেকে অ্যাম্বুলেন্সে তাকে নেয়া হয় গ্রামের বাড়িতে। রাত ৮টার দিকে নোমানী ময়দানে তার নামাজে জানাজা অনুষ্ঠিত হয়। জানাজায় সর্বস্তরের মানুষের ঢল নামে। জানাজায় অনেকেই কান্নাজড়িত কন্ঠে এই ঘটনায় দ্রুত বিচার শেষ করার দাবি জানান।
এর আগে শিশুটির মরদেহ সেনাবাহিনীর হেলিকপ্টারটির সঙ্গে ছিলেন মৎস্য ও প্রাণিসম্পদ মন্ত্রণালয়ের উপদেষ্টা ফরিদা আখতার। এ ছাড়া জাতীয় নাগরিক পার্টির (এনসিপি) উত্তরাঞ্চলের মুখ্য সংগঠক সারজিস আলম, দক্ষিণাঞ্চলের মুখ্য সংগঠক হাসনাত আব্দুল্লাহ, বাংলাদেশ খেলাফত মজলিসের আমির মাওলানা মামুনুল হক, মাগুরা জেলা প্রশাসক অহিদুল ইসলাম, পুলিশ সুপার মিনা মাহমুদা প্রমুখ উপস্থিত ছিলেন। সন্ধ্যায় মাগুরা স্টেডিয়ামে অবতরণ করে সেনাবাহিনীর হেলিকপ্টারটি। এ সময় শিশুটির মা ও স্বজনরা কান্নায় ভেঙে পড়েন। কান্নাজড়িত কণ্ঠে শিশুর মা বলেন, ‘আমার মনিরে বেলেট (ব্লেড) দিয়া কেটে কেটে হত্যা করতে চেয়েছিল ওরা। আমি ওদের ফাঁসি চাই।’ নুরুল ইসলাম নামের স্থানীয় এক বাসিন্দা বলেন, ছোট শিশুর কবর খোঁড়া দেখলে খুব খারাপ লাগে। শিশুটির জন্য দোয়া রইল। এদিকে শিশুটির বড় বোনের শ্বশুরবাড়ি ঘিরে থমথমে পরিস্থিতি বিরাজ করছে। সেখানে সতর্ক অবস্থানে রয়েছে পুলিশ। স্থানীয় বাসিন্দা মোকবুল মিয়া বলেন, ‘তারা (অভিযুক্ত ব্যক্তিরা) অপরাধ করেছে, আর আমরা নিরাপত্তাহীনতায় ভুগছি।’ এ বিষয়ে জানতে চাইলে জেলা পুলিশ সুপার মিনা মাহমুদা জানান, যেকোনো ধরনের অরাজকতা মোকাবিলায় পুলিশ সতর্ক রয়েছে।
পরে উপদেষ্টা ফরিদা আখতার সাংবাদিকদের বলেন, ‘এটা রাষ্ট্র বা সরকার সর্বোচ্চ গুরুত্বের সাথে দেখছে। কারণ এত ছোট্ট বাচ্চা একটা মেয়ের ধর্ষিত হওয়া মেনে নেওয়া যায় না, এটা কারও জন্য মেনে নেওয়া যায় না। শিশুটি (নাম) আমাদেরই মেয়ে। কাজেই আমরা সেভাবেই দেখছি।’

বিশিষ্টজনেরা থেকে সাধারণ মানুষ ক্ষোভে ক্ষুব্ধ:
মাগুরা জেলা আইনজীবী সমিতির সাধারণ সম্পাদক অ্যাডভোকেট শাহেদ হাসান টগর ক্ষোভ প্রকাশ করে বলেন, ঘটনাটি অত্যন্ত দুঃখজনক। মাগুরায় এ ধরনের ঘটনা এটাই প্রথম। যে কারণে তিনি বিষয়টি মেনে নিতে পারছেন না। তিনি বলেন, আমরা আইনজীবীর সমিতির পক্ষ থেকে সিদ্ধান্ত নিয়েছি ধর্ষকদের পক্ষে কোন আইনী সহায়তা দেয়া হবেনা। তারা দ্রুততর সময়ের মধ্যে ধর্ষকদের দৃষ্টন্তমূলক শাস্তির দাবী করেন। এ জন্য আইনজীবী সমিতি সব ধরনের সহায়তা করবে।
জেলা মহিলা পরিষদের সভাপতি লাবনী জামান জানান, সারাদেশে নারীর প্রতি সহিংসতা বেড়ে চলেছে। যে কারনে মাগুরায় এধরনের মর্মান্তিক ঘটনা ঘঠেছে। আমারা মহিলা পরিষদের পক্ষ থেকে মৃত ধর্ধিত শিশুটির ধর্ষকের অবিলম্বে ফাঁসির দাবি জানাচ্ছি। বিচার কাজ সম্পন্ন না হওয়া পর্যন্ত জেলা মহিলা পরিষদ সব সময় ধর্ষিতা শিশুটির পরিবারের পাশে থাকবে। বৈষম্য বিরোধী ছাত্র আন্দোলনের আহবায়ক হুসাইন বলেন, ৮ বছরের শিশু ধর্ষন মৃত্যুর ঘটনায় তারা চরমভাবে ক্ষুব্ধ। তিনি অবিলম্বে শিশু ধর্ষণ ও মৃত্যুর ঘটনায় জড়িতদের ফাঁসির দাবি করেন। এ ঘটনার দ্রুততম সময়ের মধ্যে ধর্ষকদের ফাঁসি কার্যকর করা না হলে যুব সমাজ নিয়ে বৈষম্য বিরোধী ছাত্র আন্দোলন মাগুরায় দুর্বার আন্দোলন গড়ে তুলবে।
জেলা গণকমিটির সাধারণ সম্পাদক প্রকৌশলী সম্পা বসু জানান, তারা শিশুটির মৃত্যুর ঘটায় তীব্র নিন্দা জানাচ্ছেন, সেই সাথে ধর্ষকের বিচার দাবিতে আন্দোলনে মাঠে থাকবেন। মাগুরা শহরের রিক্সা চালক আবদুর রহমান ধর্ষকের প্রকাশ্যে ফাঁসি দাবি করে।

কী ঘটেছিল শিশুটির সঙ্গে
পুলিশ ও পরিবারের সদস্যদের কাছ থেকে পাওয়া তথ্য অনুযায়ী, কয়েকদিন আগে শিশুটি মাগুরা শহরে তার বোনের শ্বশুর বাড়িতে বোনের কাছে বেড়াতে যায়। গত ৬ মার্চ বেলা ১১টার কিছুক্ষণ পর শিশুটিকে অচেতন অবস্থায় মাগুরা আড়াইশ শয্যা হাসপাতালে নিয়ে আসেন এক নারী। পরে জানা যায় ওই নারী তার বোনের শাশুড়ি। এরপর খবর পেয়ে শিশুটির মা হাসপাতালে আসেন। হাসপাতালে চিকিৎসকেরা পরীক্ষা নিরীক্ষা করে শিশুটির গলায় দাগ ও শরীরে বেশ কিছু জায়গায় আঁচড় দেখতে পান। চিকিৎসকদের উদ্ধৃত করে পুলিশ জানায়, শিশুটির যৌনাঙ্গে রক্তক্ষরণ হচ্ছিলো। অবস্থা ভালো নয় দেখে তখনি মাগুরা হাসপাতালের চিকিৎসকদের পরামর্শে শিশুটিকে নেয়া হয় ফরিদপুর মেডিকেল কলেজ হাসপাতালে। সেখানে থেকে সেদিনই সন্ধ্যায় তাকে আনা হয় ঢাকা মেডিকেল কলেজ হাসপাতালে। শিশুটিকে ঢাকায় আনার পরপরই ঢাকা মেডিকেল কলেজ হাসপাতালের পরিচালক ব্রিগেডিয়ার জেনারেল মো. আসাদুজ্জামান জানিয়েছিলেন, তার শারীরিক অবস্থা ‘ক্রিটিক্যাল’। সাতই মার্চ রাত থেকে শিশুটিকে লাইফ সাপোর্টে দেয়া হয়। শিশুটির চিকিৎসায় একটি মেডিক্যাল বোর্ডও কাজ শুরু করে। পরে আট মার্চ তাকে সিএমএইচে স্থানান্তর করা হয়।
গত ৮ মার্চ মাগুরা সদর থানায় চার জনের বিরুদ্ধে ধর্ষণ ও হত্যাচেষ্টার মামলা করেন শিশুটির মা। এরপর পুলিশ শিশুটির বোনের স্বামী, বোনের শ্বশুর, শাশুড়ি ও ভাশুরকে গ্রেপ্তার করে। আদালতে তোলার পর তাদের ভিন্ন ভিন্ন মেয়াদে রিমান্ডে নিয়েছে পুলিশ। মাগুরার অতিরিক্ত পুলিশ সুপার মিরাজুল ইসলাম বলেছেন, শিশুটিকে নিপীড়নের ঘটনার সাথে যারা জড়িত বলে পরিবার থেকে অভিযোগ করা হয়েছে, তাদের চারজনকেই পুলিশি হেফাজতে নেয়া হয়েছে।

‘এ ইস্যুকে কেন্দ্র করে কোনো নৈরাজ্য বরদাশত করা হবে না’
শিশুটিকে নিপীড়নের প্রতিবাদে ও জড়িতদের দৃষ্টান্তমূলক শাস্তির দাবিতে গত সাতই মার্চ শুক্রবার সড়ক অবরোধ ও থানার সামনে বিক্ষোভ করেন স্থানীয়রা। পরে আটই মার্চ রাতে ঢাকা ও রাজশাহী বিশ্ববিদ্যালয়সহ দেশের বিভিন্ন জায়গায় প্রতিবাদ ও বিক্ষোভ শুরু হয়। শিক্ষার্থী, শিক্ষক, রাজনীতিবিদসহ বিভিন্ন শ্রেণিপেশার মানুষ ধর্ষণ ও নারী নিপীড়নের বিচার ও কঠোর শাস্তি দাবি করেন। ঢাকায় বিক্ষোভকারীদের সঙ্গে গত বুধ ও বৃহস্পতিবার পুলিশের সংঘর্ষের ঘটনাও ঘটেছে। বৃহস্পতিবার আইন মন্ত্রণালয়ে এক সংবাদ সম্মেলনে আইন উপদেষ্টা অধ্যাপক আসিফ নজরুল বলেছেন, মাগুরার এই ঘটনায় সাত দিনের মধ্যে বিচারকাজ শুরু হবে।
“বিশেষ ব্যবস্থায় আমরা আজই পোস্টমর্টেম প্রতিবেদন নেয়ার ব্যবস্থা করেছি। ডিএনএ স্যাম্পল কালেকশন করা হয়ে গেছে। আশা করি আগামী পাঁচ দিনের মধ্যে রিপোর্ট পেয়ে যাব। এরই মধ্যে ১২-১৩ জনের ১৬১ ধারায় (দণ্ডবিধি) স্টেটমেন্ট নেয়া হয়েছে। আশা করছি আগামী সাত দিনের মধ্যে বিচার কাজ শুরু হবে।
এ ইস্যুকে কেন্দ্র করে কোনো নৈরাজ্য আমরা বরদাস্ত করব না বলেও উল্লেখ করেন আসিফ নজরুল। ধর্ষণ ও বলাৎকারের মামলাগুলোর দ্রুত বিচার শেষ করতে বিশেষ ট্রাইব্যুনাল গঠন করা হবে। আগামী রবিবারের মধ্যে নারী ও শিশু নির্যাতন দমন আইনের সংশোধনীর অধ্যাদেশ জারির চেষ্টা করা হবে। এ সময় কেউ দেশে অস্থিতিশীল পরিস্থিতি সৃষ্টির চেষ্টা করলে সরকার প্রয়োজনীয় ব্যবস্থা নেবে,” যুক্ত করেন তিনি।

পাহাড়সম অভিমান
Share. Facebook Twitter Pinterest LinkedIn Tumblr Telegram Email
banglarbhore
  • Website

Related Posts

মার্কসবাদী চিন্তাবিদ দাউদ হোসেনের দাফন সম্পন্ন

নভেম্বর ২২, ২০২৫

তরিকুল ইসলাম স্মৃতি ফুটবল শেষ আটে কাশিমপুর ও রামনগর

নভেম্বর ২২, ২০২৫

যশোরস্থ সাতক্ষীরা কল্যাণ সমিতির মিলনমেলা অনুষ্ঠিত

নভেম্বর ২২, ২০২৫
Leave A Reply Cancel Reply

You must be logged in to post a comment.

সম্পাদক ও প্রকাশক : সৈয়দ আবুল কালাম শামছুদ্দীন

উপদেষ্টা সম্পাদক : হারুন অর রশীদ

ভারপ্রাপ্ত সম্পাদক : মেজর (অব.) এবিএম আমিনুল ইসলাম

ব্যবস্থাপনা সম্পাদক : ডিডি এনএসআই (অব.) মুফাজ্জেল হোসেন

নির্বাহী সম্পাদক : সৈয়দা নাজমুন নাহার শশী

প্রকাশক কর্তৃক মান্নান প্রিন্টিং প্রেস এর তত্ত্বাবধানে সম্পাদকীয় কার্যালয় ডি-৩০ নতুন উপশহর এবং বাণিজ্যিক কার্যালয় : ৩৯ মুজিব সড়ক, যশোর থেকে প্রকাশিত।

মোবাইল: ০১৯০১-৪৬০৫১০-১৯ | ফোন: ০২৪৭৮৮৫১৩৮৬

ই-মেইল: banglarbhorenews@gmail.com

Type above and press Enter to search. Press Esc to cancel.