বাংলার ভোর প্রতিবেদক
শেকড় যশোরের উদ্যোগে বিভিন্ন শিক্ষা প্রতিষ্ঠানের শিশুদের অংশগ্রহণে আনন্দঘন ফল উৎসব অনুষ্ঠিত হয়েছে।
শনিবার বিকেলে মুজিব সড়কের অবসরপ্রাপ্ত সরকারি কর্মচারী কল্যাণ সমিতির চত্বরে আয়োজিত এই অনুষ্ঠানের আয়োজন করা হয়। নানা রকমের মৌসুমি ফলে ভরে ওঠে চত্বরটি। তরমুচ, সফেদা, শসাসহ বিভিন্ন প্রকার সুস্বাদু ফল পেয়ে খুদে শিক্ষার্থীরা আনন্দে আত্মহারা হয়ে পড়ে। তারা উৎসাহ ভরে ফলগুলির স্বাদ গ্রহণ করে।
অনুষ্ঠানে ফল খেতে আসা শিশু অনামিকা জানায়, এতগুলো ফল এক সাথে খেতে পেরে আমার খুব ভালো লাগছে। তরমুজ আমার সবচেয়ে প্রিয়, আর আজ আমি সবার সাথে বসে ফল খেয়েছি।
আরেক শিশু রাতুল বলে, আমি আগে কখনো এত মানুষের সাথে বসে ফল খাইনি। সফেদা আর তরমুজ খুব মিষ্টি!
অনুষ্ঠানে প্রধান অতিথি ছিলেন যশোর সরকারি মাইকেল মধুসূদন কলেজের সাবেক অধ্যক্ষ ড. মুস্তাফিজুর রহমান। বাংলাদেশ মহিলা পরিষদের কেন্দ্রীয় সদস্য হাবিবা শেফা, শেকড় যশোরের সম্পাদক রওশন আরা রাসু প্রমুখ।
এর আগে ‘নীরবতা ভেঙ্গে ফেলি আপন আলোয়’ প্রতিপাদ্য স্লোগান নিয়ে মা দিবসের প্রস্তুতিমূলক সভা অনুষ্ঠিত হয়। এই আলোচনায় সাবেক অধ্যক্ষ ড. মুস্তাফিজুর রহমান মায়েদের অসামান্য ভূমিকার কথা তুলে ধরেন।
তিনি বলেন, মা শুধু একজন জন্মদাত্রী নন। তিনি সন্তানের প্রথম শিক্ষক, বন্ধু এবং পথপ্রদর্শক। মায়েরাই সন্তানদের মূল্যবোধ ও সংস্কৃতির সঙ্গে পরিচয় করিয়ে দেন।
একটি সুস্থ ও সুন্দর সমাজ গঠনে মায়ের ভূমিকা অপরিহার্য। মায়েরাই তাদের স্নেহ ও মমতা দিয়ে পরিবারকে একসূত্রে গেঁথে রাখেন এবং সমাজে শান্তি ও সমৃদ্ধি রক্ষায় মুখ্য ভূমিকা পালন করেন। সংগঠনের পক্ষ থেকে জানানো হয়েছে, আগামীতেও তারা এ ধরনের সমাজকল্যাণমূলক কাজ চালিয়ে যাবেন।