বাংলার ভোর প্রতিবেদক
যশোরে বিএনপি পরিচয়ে ২০ চাষীর ধান কেটে লুট করে নেয়ার অভিযোগ উঠেছে। বুধবার সকাল থেকে দুপুর পর্যন্ত চৌগাছা উপজেলার মাকাপুর গ্রামে এ ঘটনা ঘটে । এর প্রতিবাদে দুপুরেই ফসলি জমিতে মানববন্ধন করে প্রশাসনের সহায়তা কামনা করেছেন ভুক্তভোগী বর্গাচাষীরা। তবে সংবাদকর্মীদের আগমনের খবরে এলাকা ছাড়ে জবর দখলে জড়িতরা।
আর চৌগাছা থানা পুলিশ এ বিষয়ে কোন বক্তব্য দিতে রাজি হননি। অবশ্য বিএনপি নেতাদের দাবি লিখিত অভিযোগ পেলে অভিযুক্তদের বিরুদ্ধে সাংগঠনিক ব্যবস্থা গ্রহণ করা হবে এবং ক্ষতিগ্রস্তদের আইনি সহায়তা দেয়া হবে।
যশোরের চৌগাছা উপজেলার মাকাপুর গ্রামের মৃত হায়দার আলীর বিলের জমি বর্গায় চাষ করেন একই এলাকার ২০ জন চাষি। হায়দার আলীর মৃত্যুর পর তার লন্ডন প্রবাসী ছেলে ব্যারিস্টার এম মোর্ত্তজা নিজ জমিতে ওই বর্গাচাষীদের চাষাবাদ অব্যাহত রাখেন। এরই গত এক বছরেরও বেশি সময় ধরে ভাই বোনদের মধ্যে জমি নিয়ে বিরোধ চলে আসছে। এই সুযোগ কাজ লাগিয়ে স্থানীয় বিএনপি নেতা সাজিদুর রহমান, সিয়াম ও রফিকুল বুধবার সকালে বিলের বিভিন্ন দাগে বর্গাচাষীদের রোপণ করা ধান কাটেন এবং চাষিদের কাটা ধান লুট করেন। এ সময় চাষিরা বাধা দিতে গেলে তাদের খুন জখমের হুমকি দেয়া হয়। এতে চরম হতাশায় ভেঙ্গে পড়েছেন ভুক্তভোগী বর্গাচাষীরা। প্রতিকার পেতে ফসলি ক্ষেতে মানববন্ধন করে প্রশাসনের সহায়তা কামনা করেছেন তারা।
বর্গাচাষী বাবর আলী বলেন, আমরা বর্গচাষী। এ জমি আবাদ করছি। এখন ধান পেকে গেছে। এ পাকা ধান বিএনপির পরিচয় কেটে নিয়ে যাওয়া হয়েছে। আমরা তো কোন অপরাধ করিনি। তারা আমাদের প্রাপ্য ধান না দিয়ে সব ধান নিয়ে গেছে। বর্গচাষী হয়েও ধানের ভাগ পেলাম না। তিনি এ ঘটনার বিচারের দাবি জানান।
বর্গচাষী জয়নুল হোসেন, মোহম্মদ হামজা, মো. মোমিন বলেন, প্রায় দুই যুগ ধরে এ জমি বর্গচাষ করে আসছি। এতদিন কোন সমস্যা হয়নি। কিন্তু এ বছর তাদের পারিবারিক গোলাযোগ বেধেছে। আমরা এর ভিতর যেতে চায়নি। ধান কেটে আমরা জমি ছেড়ে দিতে চেয়েছিলাম। কিন্তু সে সময়ও তারা দিল না। তারা জমির ধান কেটে নিয়ে গেছে। বর্গাচাষি হিসেবে আমরা ক্ষতিগ্রস্থ। ধান ফিরে পেতে প্রশাসনের সহযোগিতা কামনা করছি।
চৌগাছা উপজেলা বিএনপি সাংগঠনিক সম্পাদক অ্যাড. আলীবুদ্দীন খান বলেন, লিখিত অভিযোগ পেলে অভিযুক্তদের বিরুদ্ধে সাংগঠনিক ব্যবস্থা গ্রহণ করা হবে এবং ক্ষতিগ্রস্তদের আইনি সহায়তা দেয়া হবে।
এদিকে সংবাদকর্মীদের আগমনের খবরে এলাকা ছাড়ে জবর দখলে জড়িতরা। আর চৌগাছা থানা পুলিশ এ বিষয়ে কোন বক্তব্য দিতে রাজি হননি।