বাংলার ভোর প্রতিবেদক
এবার বিক্ষুব্ধ জনতার হাতে আটক হয়েছেন বহুল বিতর্কিত তাঁতীলীগের কেন্দ্রীয় কমিটির সদস্য আনোয়ারুল কবীর। বুধবার দুপুরে যশোর পৌরপার্ক এলাকা থেকে তাকে আটক করা হয়। পরে তাকে কোতোয়ালি থানা পুলিশের কাছে হস্তান্তর করা হয়েছে। আনোয়ারুল কবীরের বিরুদ্ধে চাঁদাবাজি, মানহানি, ডিজিটাল নিরাপত্তা আইন, পর্নোগ্রাফি এবং রাষ্ট্রবিরোধী কার্যকলাপসহ একাধিক মামলা রয়েছে। পুলিশ একাধিকবার তাকে আটকও করেছে। এছাড়া তিনি যাকে তাকে নিয়ে ফেসবুকে বাজে মন্তব্য করে সমালোচিত হয়েছেন।
কোতোয়ালি থানা পুলিশ তাকে নাশকতা মামলায় আটক দেখিয়ে আদালতে সোপর্দ করেছে। বিচারক তাকে কারাগারে পাঠানোর আদেশ দিয়েছেন। আনোয়ারুল কবীর বর্তমানে ঢাকার মিরপুর শেওড়াপাড়ায় বসবাস করলেও তার গ্রামের বাড়ি ঝিনাইদহ জেলার মহেশপুর উপজেলার নাটিমা গ্রামে। দীর্ঘদিন তিনি যশোর শহরে বসবাস করতেন।
কোতোয়ালি থানার অফিসার ইনচার্জ আবুল হাসনাত খান জানান, দীর্ঘদিন ধরে পুলিশ আনোয়ারুলকে খুঁজছিলেন। তার বিরুদ্ধে নাশকতা পরিকল্পনার একাধিক অভিযোগ রয়েছে। এছাড়া কানাইতলায় নাশাকতার একটি মামলার সাথে তার সম্পৃক্ততা পাওয়া গেছে। ওই মামলায় তাকে আটক দেখানো হয়েছে।
আনোয়ারুল কবীরের বিরুদ্ধে ২০২৩ সালের ২৫ মে যশোর জেলা আওয়ামী লীগের সভাপতি শহিদুল ইসলাম মিলন, ইউপি চেয়ারম্যান রাজু আহমেদ এবং মহিলা আওয়ামী লীগের নেত্রীদের মানহানির অভিযোগে পৃথক তিনটি মামলা হয়। এসব মামলায় চাঁদা দাবি, হুমকি ও সামাজিক যোগাযোগ মাধ্যমে অপপ্রচার চালানোর প্রমাণ পাওয়া গেছে। এছাড়াও তার বিরুদ্ধে একাধিক মামলা রয়েছে।
সর্বশেষ ২০২৪ সালের ১৯ মে সদর উপজেলা পরিষদ নির্বাচনে প্রার্থী ফাতেমা আনোয়ারকে ভুয়া মুক্তিযোদ্ধার সন্তান বলে প্রচার ও ১০ লাখ টাকা চাঁদা দাবি করার অভিযোগে তার বিরুদ্ধে আরেকটি মামলা হয়।
অপর একটি সূত্র জানায় বুধবার একটি মামলায় তিনি যশোরের আদালতে হাজিরা দিতে এসেছিলেন। আদালত চত্বর থেকে বের হয়ে তিনি পৌরপার্কের সামনে দিয়ে খড়কির দিকে যাচ্ছিলেন। এমন সময় জনতার হাতে তিনি ধরা খান।