মাগুরা সংবাদদাতা
মাগুরার গর্ব “হাজরাপুরী লিচু” পেয়েছে ভৌগোলিক নির্দেশক (জিআই) পণ্যের মর্যাদা। এ উপলক্ষে মাগুরা সদর উপজেলার ইছাখাদা বাজার সংলগ্ন লিচু বাগানে এবং ইছাখাদা পুরাতন বাজারের ইউনিয়ন পরিষদ ভবনের বিপরীত পাশে আয়োজন করা হয় বর্ণাঢ্য “হাজরাপুরী লিচু প্রচারণা ও মৌসুমের প্রথম লিচু সংগ্রহ অনুষ্ঠান” এবং “লিচু মেলা ২০২৫”।
এ উপলক্ষে রোববার বেলা ১১টায় সদরের হাজরাপুর ইউনিয়নের ইছাখাদায় হাজরাপুর ইউনিয়ন পরিষদের সামনে ২ দিনব্যাপি লিচু মেলা উদ্বোধন করা হয়েছে। জেলা প্রশাসক অহিদুল ইসলাম প্রধান অতিথি হিসেবে উপস্থিত থেকে এ মেলার উদ্বোধন করেন। এর আগে সদরের ইছাখাদার সাখাওয়াত হোসেনের লিচু বাগানে জেলা প্রশাসনের আয়োজনে আলোচনা সভায় সদর উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা হাসিবুল হাসানের সভাপতিত্বে বক্তব্য রাখেন পুলিশ সুপার মিনা মাহমুদা, জেলা বিএনপির আহবায়ক আলী আহমদ, কৃষি সম্প্রসারণ অধিদপ্তরের উপ-পরিচালক তাজুল ইসলাম ও নারী উদ্যোক্তা জেনিস ফারজানা প্রমুখ ।
সভায় জানানো হয়, মাগুরার সদর উপজেলার হাজরাপুর এলাকার লিচু অনন্য বৈশিষ্ট্য হওয়ায় ৯ আগসস্ট ২০২৩ তারিখে জেলা প্রশাসক মাগুরা “মাগুরার হাজরাপুরী লিচু”কে জিআই পণ্য হিসেবে আবেদন করেন।
ওই আবেদন ও প্রেরিত প্রয়োজনীয় তথ্য প্রমাণক যাচাই বাছাইয়ের প্রেক্ষিতে ৩০ জুন ২০২৪ পেটেন্ট, শিল্প, নকশা ও ট্রেডমার্কস অধিদপ্তরের ৩৭ নং জার্নালে “মাগুরার হাজরাপুরী লিচু”কে জিআই হিসেবে প্রকাশ করা হয়। এবং ২৪ এপ্রিল ২০২৫ “মাগুরার হাজরাপুরী লিচু”কে ভৌগলিক নির্দেশক পণ্য হিসেবে নিবন্ধন প্রদান করা হয় ।
সভায় বক্তারা বলেন, মাগুরার হাজরাপুরী লিচুকে সরকার ইতিমধ্যে জিআই পণ্য হিসেবে স্বীকৃতিপ্রাপ্ত করেছে। এটা মাগুরাবাসীর জন্য অত্যন্ত গর্বের। তাই এ পণ্যের প্রচার ও প্রসার আপনাদের করতে হবে। মাগুরার হাজরাপুরী লিচুর অনন্য বৈশিষ্ট্য হলো- এ লিচুর খোসা পাতলা, রসালো, সুস্বাদু এবং মিষ্টি ঘ্রানসমৃদ্ধ। এ লিচু কাঁচা অবস্থায় সবুজ ও পাকার পরে মেজেন্টা রঙ হয়। লিচু গাছের সংরক্ষণ ও রোগ প্রতিরোধ ক্ষমতা বেশি।
আগাম এ জাতের লিচু মে-মাসের শুরুতেই ফল সংগ্রহ করা হয় ।
মেলায় হাজরাপুর, হাজীপুর, মির্জাপুর, রাঘবদাইড়, শিবরামপুর ও নড়িহাড়ি গ্রামের লিচু চাষিরা বিভিন্ন জাতের লিচুর প্রদর্শনীতে অংশ নেন।