শার্শা সংবাদদাতা
যশোরের শার্শায় ছুরিকাঘাতে নিহত সবুজ হত্যার ৯ ঘন্টার মধ্যে অভিযুক্ত প্রধান আসামি সোহেল রানা (২৮) আটক হয়েছে। এ সময় উক্ত হত্যাকাণ্ডে ব্যবহৃত একটি বার্মিজ চাকু উদ্ধার করা হয়েছে। বৃহস্পতিবার (৫জুন) ভোরে তাকে শার্শা থানার জামতলা টেংরা হাইস্কুলের সামনে থেকে আটক করে শার্শা থানা পুলিশ। আটক সোহেল রানা শার্শা উপজেলার বাগআঁচড়া ইউনিয়নের টেংরা গ্রামের বাসিন্দা।
পুলিশ জানিয়েছেন বুধবার (৪ জুন) রাত সাড়ে ৯টার দিকে শার্শা থানার উলাশী ইউনিয়নের খাজুরা গ্রামের মধ্যে অবস্থিত নেহা পেট্রোল পাম্প সংলগ্ন নাভারণের দক্ষিণ বুরুজবাগানগামী একটি মাটির রাস্তায় সবুজ, রাজু ও কালু নামের ৩ যুবক মাঠে তাদের কলাবাগান পাহারা দিচ্ছিলেন। এমন সময় ওই পথ দিয়ে সোহেল ও আল আমিন নামে ২ যুবক মাদক (ইয়াবা) বহন করে যাচ্ছিলেন। সে সময় সবুজ তাদের গায়ে টর্চলাইট মেরে দাঁড়াতে বলে এবং পরিচয় জানতে চান।
তাতে ক্ষিপ্ত হয়ে তারা দক্ষিণ বুরুজবাগান গ্রামের রফিকুল ইসলামের ছেলে নুরুন্নবী ওরফে বাবুর লোক পরিচয় দেয় এবং বাবুকে মোবাইলে কল দিতে গেলে তৎক্ষনাৎ সবুজ তার ফোন কেড়ে নেয়। পরে তাদের মধ্যে ধস্তাধস্তি হলে একপর্যায়ে ঘাতক সোহেল তার হাতে থাকা ছুরি দিয়ে প্রথমে রাজুকে আঘাত করে। এসময় সবুজ প্রতিরোধ করতে গেলে তাকেও উপর্যুপরি ছুরিকাঘাত করে পালিয়ে যায় তারা। এ সময় কালুর চিৎকারে স্থানীয়রা এগিয়ে এসে আহত অবস্থায় তাদের উদ্ধার করে শার্শা উপজেলা স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সে নিয়ে গেলে কর্তব্যরত চিকিৎসক সবুজকে মৃত ঘোষণা করেন এবং রাজুকে উন্নত চিকিৎসার জন্য যশোর সদর হাসপাতালে পাঠান।
নিহত সবুজ (২২) শার্শা থানার যাদবপুর গ্রামের আব্দুস সাত্তারের ছেলে এবং আহত রাজু একই গ্রামের আহম্মেদ আলীর ছেলে।
নাভারণ সার্কেলের সহকারী পুলিশ সুপার নিশাত আল নাহিয়ান এক প্রেস ব্রিফিংয়ে জানিয়েছেন, সবুজ হত্যা ঘটনার ৯ঘন্টার মধ্যে অভিযুক্ত আসামি সোহেল রানাকে জাতলার টেংরা মাধ্যমিক বিদ্যালয়ের সামনে থেকে আটক করা হয়েছে। এ সময় তার কাছ থেকে সবুজ হত্যার কাজে ব্যবহৃত একটি বার্মিজ চাকু উদ্ধার করা হয়েছে। তার বিরুদ্ধে আইনানুগ ব্যবস্থা গ্রহণসহ বিজ্ঞ যশোর আদালতে পাঠানো হয়েছে। একই সাথে অপর পলাতক আসামি আল-আমিনকে আটকের চেষ্টা অব্যাহত রয়েছে।