বাংলার ভোর প্রতিবেদক
চট্টগ্রাম বন্দর বিদেশি কোম্পানির কাছে ইজারা দেওয়ার চক্রান্ত এবং রাখাইনে কথিত মানবিক করিডোর দেওয়ার ষড়যন্ত্র বন্ধের দাবিতে ‘স্বাধীনতা সার্বভৌমত্ব ও জাতীয় সম্পদ রক্ষার আন্দোলন যশোরের আয়োজনে প্রতিবাদ সভা ও মশাল মিছিল অনুষ্ঠিত হয়েছে।
বুধবার বিকেলে শহরের টাউন হল মাঠে এই সভা করা হয়। একই সাথে এই আয়োজন থেকে সাংস্কৃতিক ঐতিহ্য বিনষ্ট, ভাস্কর্য ভাঙা, বাউল আখড়ায় হামলা, মব সন্ত্রাস বন্ধ এবং ধর্ষকদের ফাঁসির দাবি জানানো হয় ।
অনুষ্ঠানের শুরুতে প্রতিবাদী গান ও শতকণ্ঠে জাতীয় সংগীত পরিবেশন করা হয়। উদীচী যশোরের সভাপতি আমিনুর রহমান হিরুর সঞ্চালনায় আলোচনা সভায় বক্তব্য রাখেন, বাম গণতান্ত্রিক জোটের নেতা শাহজাহান আলী, বীর মুক্তিযোদ্ধা আফজাল হোসেন দোদুল, সাংস্কৃতিক সংগঠক বাসুদেব বিশ্বাস এবং ছাত্র প্রতিনিধি ইমরান হোসেন। অনুষ্ঠানে সভাপতিত্ব করেন সাংস্কৃতিক ব্যক্তিত্ব মাহমুদ হাসান বুলু।
এসময় বক্তারা সরকারের কঠোর সমালোচনা করে বলেন, একটি চিহ্নিত চক্র দেশের স্বাধীনতা ও সার্বভৌমত্ব নষ্টের গভীর ষড়যন্ত্রে লিপ্ত। তারা দেশের অর্থনীতির প্রাণকেন্দ্র চট্টগ্রাম বন্দরকে বিদেশি শক্তির হাতে তুলে দেওয়ার পাঁয়তারা করছে। যা দেশের অস্তিত্বের জন্য হুমকিস্বরূপ।
বক্তারা আরও অভিযোগ করেন, রাখাইনে কথিত মানবিক করিডোরের নামেও দেশের নিরাপত্তার জন্য ঝুঁকি তৈরি করা হচ্ছে। তারা বলেন, স্বাধীনতার শত্রুরা এখনো সক্রিয় এবং তারা নানাভাবে দেশের স্বাধীনতাকে বিনষ্ট করার চেষ্টা করছে।
বক্তারা সারাদেশে চলমান মব সন্ত্রাস, ধর্ষণ ও বিচারহীনতার সংস্কৃতির তীব্র নিন্দা জানান। তারা বলেন, প্রতিনিয়ত সাংস্কৃতিক ঐতিহ্য বিনষ্ট হচ্ছে। ভাস্কর্য ভাঙা হচ্ছে এবং বাউল আখড়ায় হামলা চালানো হচ্ছে। এটা বাঙালি সংস্কৃতির ওপর সরাসরি আঘাত। অবিলম্বে এসব বন্ধ করে ধর্ষকদের সর্বোচ্চ শাস্তি ফাঁসি নিশ্চিত করার দাবি জানান তারা।
আলোচনা সভা শেষে টাউন হল থেকে একটি মশাল মিছিল বের করা হয়। মশাল মিছিলে ‘পাকিস্তানের দালালেরা হুঁশিয়ার সাবধান, আমার মাটি আমার মা পাকিস্তান হবে না, মৌলবাদের আস্তানা জ্বালিয়ে দাও পুড়িয়ে দাও’ ইত্যাদি স্লোগান দেওয়া হয়। মিছিলটি শহরের গুরুত্বপূর্ণ সড়ক প্রদক্ষিণ করে টাউন হল মাঠে এসে শেষ হয়।