খান নাজমুল হুসাইন, সাতক্ষীরা
তারা (বিএনপি) ভেবেছিল ২/৩টা আসন দেখিয়ে ক্ষমতার ভাগবাটোয়ারার লোভ দেখিয়ে, তারা গণঅভ্যুত্থানের শক্তিকে কিনে নিবে। কিন্তু যারা বিপ্লবের শক্তি, যারা মৃত্যুর মুখ থেকে ফিরে এসেছে, তাদের কেনার সাধ্য বাংলাদেশের কোন রাজনৈতিক দলের হয় নাই।
শনিবার সাতক্ষীরা-খুলনা রোড মোড়ে (আসিফ চত্বর) জাতীয় নাগরিক পার্টির পথসভায় এসব কথা বলেন দলটির আহবায়ক নাহিদ ইসলাম।
দলের জেলা সমম্বয়ক কামরুজ্জামান বুলুর সভাপতিত্বে এই পথসভায় অন্যান্যদের মধ্যে বক্তব্য রাখেন, দক্ষিণাঞ্চলের মুখ্য সংগঠক হাসনাত আব্দুল্লাহ, দক্ষিণাঞ্চলের যুগ্ম মুখ্য সংগঠক মেজবাহ কামাল ও চিকিৎসক তাসনীম জারা।
এ সময় বক্তারা বলেন, একটি দল চাঁদাবাজি, দখলবাজি ও হত্যায় মেতে উঠেছে। মিডফোর্ট হাসপাতালের সামনে মানুষ পিটিয়ে মেরে লাশের ওপর নৃত্য করে উল্লাস করছে। সন্ত্রাসী, খুনি, চাঁদাবাজদের বিরুদ্ধে নতুন করে লড়াই শুরু হয়েছে। ফ্যাসিষ্ট আওয়ামী লীগ ৫ আগস্ট দেশ ছেড়ে পালিয়ে যাওয়ার পর একটি দল ক্ষমতায় যাওয়ার জন্য মরিয়া হয়ে উঠেছে। দলটি তিন মাসের মধ্যে নির্বাচন চেয়েছিল, এখনো চাইছে।
জুলাই গণঅভ্যুথানে সংস্কার-বিচার চেয়েছি। নতুন দেশ চেয়েছি। কিন্তু একটি দল তা চায় না উল্লেখ করে বক্তারা আরো বলেন, তারা এখন সন্ত্রাস, চাাঁদাবাজি, হত্যা ও দখলদারিত্বে ক্ষমতা টিকিয়ে রাখতে চায়। তবে, আমরা তা হতে দেবো না। বক্তারা বলেন, খুনি হাসিনা পালিয়ে যাওয়ার পর আমরা চেয়েছিলাম একটি জাতীয় সরকার গড়তে। কিন্তু ওই দলটি সাড়া দেয়নি।
পথসভার আগে শহীদ আসিফ চত্বর এলাকায় জুলাই-বিপ্লবে আহত ও নিহতের পরিবারের সদস্যদের সাথে কথা বলেন নেতৃবৃন্দ। পরে একটি পদযাত্রা শহীদ আসিফ চত্বর থেকে বের হয়ে নিউমার্কেট মোড়ে গিয়ে শেষ হয়। এরপর নিউমার্কেট এলাকায় আল বারাকা হোটেলের দ্বিতীয় তলায় জেলা কার্যালয় উদ্বোধন করেন কেন্দ্রীয় নেতৃবৃন্দ।
এর আগে সাতক্ষীরার পাটকেলঘাটা কুমিরা হাইস্কুলের সামনে কেন্দ্রীয় নেতৃবৃন্দদের ফুলেল শুভচ্ছো জানান, সাতক্ষীরার বিভিন্ন পর্যায়ের নেতা-কর্মী ও সাধারণ জনগণ।