বাংলার ভোর প্রতিবেদক
যশোর শানতলা এলাকায় ভৈরব নদের পানিতে ডুবে মধুসূদন খাঁ (৭০) নামে এক বৃদ্ধের মৃত্যু হয়েছে। তিনি সদর উপজেলার হাসিমপুর এলাকার বাসিন্দা। স্বজনরা তাকে উদ্ধার করার পর দুপুর ১ টার দিকে যশোর ২৫০ শয্যা হাসপাতালে আনলে জরুরি বিভাগের কর্তব্যরত চিকিৎসক মিঠুন কুমার দে তাকে মৃত ঘোষণা করেন।
মঙ্গলবার বেলা ১১ টার দিকে বৃষ্টির মধ্যে মধুসূদন খা ওই জারে বাঁধা মাছ ধরতে যান। তখন হৃদরোগে আক্রান্ত হয়ে তার পিতা মধুসূদন খা হৃদরোগে আক্রান্ত হয়ে পানির ভিতর ডুবে গেলে তার মৃত্যু হয়। কিছুক্ষণ পরে তার লাশ পানির উপর ভেসে ওঠে।
মৃতের কন্যা শান্তা রানী জানিয়েছেন, তার পিতা ছিলেন স্ট্রোকের রোগী। বাড়ির নিচে ভৈরব নদীর পানিতে মাছ ধরার জন্য জাল পাতা ছিল।
শান্তা রানী আরো জানিয়েছেন, তিনিসহ কয়েকজন নদে গোসল করতে গিয়ে পানির উপর ভাসমান অবস্থায় তার বাবার লাশ দেখতে পান। তারা চিৎকার করতে থাকলে প্রতিবেশী দীপ্ত কুমার ও অসিত কুমার ঘটনাস্থলে পৌঁছে নদের পানির উপর থেকে মধুসূদন খাঁকে উদ্ধার করে হাসপাতালে আনেন।
জানা গেছে, মধুসূদন খাঁ বাংলাদেশ সেনাবাহিনীর সিভিলে ( অর্ডিন্যান্সে) চাকরি করতেন। বর্তমানে তিনি চাকরি থেকে অবসরপ্রাপ্ত। চাকরি সূত্রে একই উপজেলার কাশেমপুর ইউনিয়নের শানতলায় প্রাইমারি স্কুলের সামনে মোখলেসের বাসার ভাড়াটিয়া হিসেবে সেখানে বসবাস করেন।
যশোর ২৫০ শয্যা হাসপাতালো জরুরি বিভাগের কর্তব্যরত চিকিৎসক মিঠুন কুমার দে বলেন, নদে মাছ ধরতে গেলে মস্তিষ্ক জনিত রক্তক্ষরণে তার মৃত্যু হয়েছে। বৃষ্টির সময় পানি ঠান্ডা থাকে। স্ট্রোক রোগীদের জন্য ঠান্ডা পানি একটি বড় সমস্যা।