বাংলার ভোর প্রতিবেদক
সাত দফা দাবি আদায়ের লক্ষ্যে ঐতিহাসিক সোহরাওয়ার্দী উদ্যানে আজ বাংলাদেশ জামায়াতে ইসলামীর জাতীয় সমাবেশ। এই সমাবেশের মাধ্যমে মূলত অন্তর্বর্তী সরকার, বিএনপিসহ অন্যান্য রাজনৈতিক দলকে নিজেদের শক্তির জানান দিতে চায় দলটি। ত্রয়োদশ জাতীয় সংসদ নির্বাচন সামনে রেখে রাজনৈতিক দলগুলোর মধ্যে বিভিন্ন বিষয়ে তীব্র মতবিরোধ ও বিতর্ক চলছে ঠিক সে সময়ে অনুষ্ঠিত হতে যাচ্ছে জামায়াতের এই সমাবেশ।
জামায়াতে ইসলামীর মহাসমাবেশ যোগ দিতে যশোর জেলা থেকে আড়াইশত রিজার্ভ বাস-মাইক্রো ছেড়ে যাবে। এছাড়া ব্যক্তিগত গাড়ি, মাইক্রোবাস, বাস ও ট্রেনে করেও নেতাকর্মীরা সমাবেশে যোগ দেবেন। প্রাথমিকভাবে যে লক্ষ্যমাত্রা নির্ধারণ করা হয়েছিল তার চেয়ে দ্বিগুণ নেতাকর্মী ও সমর্থকরা সমাবেশে উপস্থিত হবেন বলে ধারণা করছেন দলটির নেতারা।
শুক্রবার (১৮ জুলাই) রাতে এ তথ্য জানিয়েছেন দলটির যশোর জেলা সহকারী সেক্রেটারি অধ্যাপক গোলাম কুদ্দুস।
যশোরের সার্বিক প্রস্তুতির বিষয়ে অধ্যাপক গোলাম কুদ্দুস বলেন, যশোরে জেলায় আট উপজেলার ৯২ ইউনিয়ন ও ৮টি পৌরসভা রয়েছে। প্রতিটি উপজেলা থেকে ২৮-২৯ টি করে বাস রিজার্ভ করা হয়েছে। এছাড়া অনেকেই গাড়ি ও মাইক্রো ভাড়া নিয়েছেন। আবার বিভিন্ন বাসস্ট্যান্ড থেকে ঢাকাগামী বাস ও ট্রেনেও যাবেন অনেকে। এরই মধ্যে এই অঞ্চলের নেতাকর্মীরা ঢাকায় রওনা দিয়েছেন। শুক্রবার রাতের মধ্যে বাকিরা চলে যাবেন।
অধ্যাপক গোলাম কুদ্দুস বলেন, যশোর জেলা থেকে প্রায় ১৫ হাজার নেতাকর্মীর প্রত্যাশা করা হয়েছিল। কিন্তু এখন সেটা ছাড়িয়ে গেছে। প্রত্যাশার চেয়ে দ্বিগুণ মানুষ জাতীয় সমাবেশে যোগ দেবেন বলে আশা করা হচ্ছে।
তিনি বলেন, পথে যেন কোনো রকম বিশৃঙ্খলা না হয়, সাধারণ মানুষের যেন ভোগান্তি না হয় সেজন্য দলীয় নেতাকর্মীদের নির্দেশনা দেয়া হয়েছে।
৭-দফা দাবি আদায়ের লক্ষ্যে জাতীয় সমাবেশের ডাক দিলেও অন্তরালে নানান হিসাবনিকাশ রয়েছে বলেও মনে করছেন সংশ্লিষ্টরা। দাবিগুলো হলো-অবাধ, সুষ্ঠু, নিরপেক্ষ ও শান্তিপূর্ণভাবে নির্বাচন অনুষ্ঠানের লক্ষ্যে লেভেল প্লেয়িং ফিল্ড নিশ্চিতকরণ, সকল গণহত্যার বিচার, প্রয়োজনীয় মৌলিক সংস্কার, জুলাই সনদ ও ঘোষণাপত্র বাস্তবায়ন, জুলাই অভ্যুত্থানে শহীদ ও আহতদের পরিবারের পুনর্বাসন, পিআর পদ্ধতিতে জাতীয় নির্বাচন অনুষ্ঠান এবং এক কোটিরও বেশি প্রবাসীদের ভোট দানের ব্যবস্থার করা। বিগত সময়ে জামায়াত কোণঠাসা থাকলেও গণ-অভ্যুত্থানের পর স্বতঃস্ফূর্ত কর্মকাণ্ড চালিয়ে যাচ্ছে। এরই মধ্যে দলীয় প্রতীক দাঁড়িপাল্লাসহ নির্বাচন কমিশনে নিবন্ধনও ফিরে পেয়েছে দলটি। এখন আগামী নির্বাচনে জামায়াতের শক্তি প্রদর্শনের পালা।