খাজুরা সংবাদদাতা
কথা দিয়ে কথা রেখেছেন যশোরের বাঘারপাড়া উপজেলার চিত্রা মডেল কলেজের সভাপতি শামীম আকতার। গত তিন মাস আগে অভিভাবক ও সুধীজনদের মিলনমেলা অনুষ্ঠানে বলেছিলেন, কলেজের অবকাঠামো ও শিক্ষার উন্নয়নে মিলেমিশে কাজ করবেন। সেই কথা রেখেছেন, বিশেষ কিছুও করেছেন।
দীর্ঘ প্রতিক্ষার পর নবাগত এ সভাপতির ঐকান্তিক প্রচেষ্টায় কলেজে অ্যাকাডেমিক ভবন নির্মাণের অনুমোদন দেয়া হয়েছে। চারতলা বিশিষ্ট দৃষ্টিনন্দন এ ভবন তৈরিতে ব্যয় ধরা হয়েছে ১ কোটি ৪৫ লাখ টাকা। গত ১৭ জুলাই শিক্ষা প্রকৌশল অধিদপ্তরের নির্বাহী প্রকৌশলী শাহজাহান আলী স্বাক্ষরিত এক বিজ্ঞপ্তিতে এ তথ্য জানানো হয়েছে।
শনিবার বিষয়টি নিশ্চিত করেছেন চিত্রা মডেল কলেজের অধ্যক্ষ কহিনুর আলম। তিনি বলেন, ‘এটি শিক্ষক-শিক্ষার্থী ও এলাকাবাসীর জন্য খুশির খবর।’
কলেজের প্রতিষ্ঠাতা সদস্য বয়োবৃদ্ধ নজরুল ইসলাম খান বলেন, ‘কত লোকই গেল, কেউই কথা রাখেনি। কিন্তু কথা রেখেছে শামীম। নানা সংকটে জর্জরিত কলেজটির দায়িত্ব নিয়ে গত ৩ মাসে একের পর এক সবাইকে চমকে দিয়ে চলেছে। ব্যক্তিগতভাবে প্রথমে ৭ লাখ টাকা এবং পরবর্তীতে তার পরিবারের পক্ষ থেকে ৫ লাখ টাকা অনুদান দেয় শামীম।’
শালিখার সীমাখালী বাজার বণিক সমিতির সাধারণ সম্পাদক খাজা নাজিমুদ্দীন বলেন, ‘কলেজ প্রতিষ্ঠার পর প্রথমবারের মতো গত ৯ জুন পুনর্মিলনী উৎসবের আয়োজন করে। জমকালো এ অনুষ্ঠানে উপস্থিত ছিলেন যশোরের জেলা প্রশাসক আজাহারুল ইসলাম, বিএনপির খুলনা বিভাগীয় সাংগঠনিক সম্পাদক অনিন্দ্য ইসলাম অমিত ও কেন্দ্রীয় কৃষক দলের সিনিয়র যুগ্ম সাধারণ সম্পাদক ইঞ্জিনিয়ার টিএস আইয়ূবসহ প্রাক্তন হাজারখানেক শিক্ষার্থী। কলেজের সামগ্রিক উন্নয়নে জেলা স্বেচ্ছাসেবক দলের যুগ্ম আহবায়ক শামীমের স্বদিচ্ছা ও সাহস আমাদের আশার আলো দেখাচ্ছে।’
২০০৩ সালে বাঘারপাড়ার বন্দবিলা ইউনিয়নের পাঠান পাইকপাড়ায় চিত্রা মডেল কলেজ প্রতিষ্ঠিত হয়। নানা সংকট পেরিয়ে ২০২৪ সালে এইচএসসি পরীক্ষার ফলাফলে উপজেলায় প্রথম হয়েছে যশোর-মাগুরা সীমান্তে অবস্থিত এ প্রতিষ্ঠানটি। এখন শিক্ষার্থী সংখ্যা দুইশ’র বেশি।