বাংলার ভোর প্রতিবেদক
যশোরের জেলা প্রশাসক আজাহারুল ইসলাম মেধাবী শিক্ষার্থীদের প্রতি ভালো মানুষ এবং ভালো সমাজ গঠনে কাজ করার আহ্বান জানিয়েছেন। সোমবার দুপুরে যশোর সরকারি বালিকা উচ্চ বিদ্যালয়ে ‘পারফরমেন্স বেজড গ্রান্টস ফর সেকেন্ডারি ইন্সটিটিউশনস স্কিম, এসইডিপি’ এর আওতায় মাধ্যমিক ও উচ্চ মাধ্যমিক অধিদপ্তর, শিক্ষা মন্ত্রণালয় আয়োজিত পুরস্কার বিতরণী অনুষ্ঠানে প্রধান অতিথির বক্তব্যে তিনি এই আহ্বান জানান।
জেলা শিক্ষা অফিস এবং উপজেলা মাধ্যমিক শিক্ষা অফিস যশোরের আয়োজনে অনুষ্ঠিত এই পুরস্কার বিতরণী অনুষ্ঠানে মাধ্যমিক, উচ্চ মাধ্যমিক ও সমমানের পরীক্ষায় উত্তীর্ণ কৃতি শিক্ষার্থীদের হাতে সম্মাননা পুরস্কার তুলে দেওয়া হয়। এই স্কিমের অধীনে ৬টি ক্যাটাগরিতে পুরস্কার প্রদান করা হয়। যেখানে মাধ্যমিকের সেরা সাফল্যকে ১০ হাজার টাকা এবং উচ্চমাধ্যমিকের সেরা সাফল্যকে ২৫ হাজার টাকা অর্থ পুরস্কার দেওয়া হয়।
প্রধান অতিথি জেলা প্রশাসক আজাহারুল ইসলাম বলেন, তোমাদের মেধাবী ঘোষণা দিয়ে পুরস্কার দেওয়া হচ্ছে। আমাদের সময় আমরা এমন পাইনি। সবাইকে নয়, বিভিন্ন ক্যাটাগরিতে যারা ভালো করেছে তাদের এই পুরস্কার দেওয়া হচ্ছে। সবার থেকে তোমরা ভালো, পরিশ্রম করেছো, চেষ্টা করেছো। পরিশ্রম ও চেষ্টা ছাড়া সফলতা আসে না।
তিনি আরও বলেন, এসএসসি ও এইচএসসি যেটার কথা আমরা বলছি এটা একটা ভিত্তি। এখানে ভালো রেজাল্ট ধরে রাখতে পারলে পরবর্তীতে ভালো করা সম্ভব। একটা গবেষণায় দেখা গেছে পরীক্ষার্থীদের মধ্যে প্রতিযোগী মাত্র ১.৫ শতাংশ। সবার প্রস্তুতি ভালো থাকে না। কাজেই হতাশ হওয়ার কিছু নেই।
তিনি শিক্ষার্থীদের সঠিক সময়ে সঠিক কাজ করার সিদ্ধান্ত নিতে উৎসাহিত করে বলেন, এই পুরস্কারটা শেষ কথা নয়। প্রত্যেকের জীবনের প্রতিটি ধাপকে উপভোগ করতে হবে। ভালো পুরস্কার পেলেই হবে না, ভালো মানুষ ও ভালো সমাজ গড়তে কাজ করতে হবে।
অনুষ্ঠানে বিশেষ অতিথি ছিলেন, সদর উপজেলা নির্বাহী অফিসার শারমিন আক্তার ও উপজেলা মাধ্যমিক শিক্ষা অফিসার এস এম সাইফুল আলম। সভাপতিত্ব করেন জেলা শিক্ষা অফিসার মাহফুজুল হোসেন। অনুষ্ঠানে আরও উপস্থিত ছিলেন, স্কুল শিক্ষক নাসির উদ্দীন, যশোর বালিকা মাধ্যমিক বিদ্যালয়ের প্রধান শিক্ষক সোহেল উদ্দীন প্রমুখ।
এসময় মাধ্যমিক, উচ্চ মাধ্যমিক ও সমমান পরীক্ষায় উত্তীর্ণ হওয়া ৩২ জন কৃতি শিক্ষার্থীদের হাতে সম্মামনা পুরস্কার তুলে দেন প্রধান অতিথি। এই স্কিমে ৬ টি ক্রাটাগরিতে পুরস্কার দেওয়া হয়। মাধ্যমিকে সেরা সাফল্যকে ১০ হাজার ও উচ্চমাধ্যমিকে সেরা সাফল্যকে ২৫ হাজার টাকা অর্থ প্রদান করা হয়।
মাধ্যমিক, উচ্চ মাধ্যমিক ও সমমান পরীক্ষায় উত্তীর্ণ হওয়া শিক্ষার্থীদের মধ্যে উচ্চ মাধ্যমিক পরীক্ষায় পুরস্কার পেয়েছেন, মাইকেল মধুসূদন কলেজের শিক্ষার্থী ইসরাত জেরিন ইভা, তাজমিদ আহমেদ আকিব,তাইয়েবা আলী, মাহফুজা আক্তার, লামিমা হক, মুরাইয়া আহমেদ লারা। ক্যান্টনমেন্ট কলেজের সেলিম রেজা সাগর। বিএফ শাহীন স্কুল এন্ড কলেজরে তাওসিফ ইসলাম, কাব্য সাহা। দাউদ পাবলিক স্কুল এন্ড কলেজের সাদমান সাহারিয়াল। যশোর সিটি কলেজের সজিব দে। যশোর শিক্ষাবোর্ড স্কুল এন্ড কলেজের মুজাহিদ হোসেন, নাফিজ সাদিক খান।
উচ্চ মাধ্যমিক (ভোকেশনাল) পরীক্ষায় উপশহর মহিলা ডিগ্রি কলেজের বৈশাখী খাতুন ও জয়েতা রায়। আলিম পরীক্ষায় যশোর আমিনিয়া কামিল মাদ্রাসার সোহানা মমতাজ তুলি, আব্দুর রহমান, রিয়াজুল ইসলাম রিফাত মাহাবুবা ইয়াসমিন ও দাখিল পরীক্ষায় তাসফিয়া খাতুন।
মাধ্যমিক পরীক্ষায় যশোর জেলা স্কুলের সামির খান, অমিদ হাসান অমি। ক্যান্টনমেন্ট মাধ্যমিক বিদ্যালয়ের মাহিদুল ইসলাম। পাঁচবাড়িয়া বালিকা মাধ্যমিক বিদ্যালয় নাজনিন সুলতান। সখিনা বালিকা উচ্চ বিদ্যালয় সুমনা ইসলাম। পুলিশ লাইন মাধ্যমিক বিদ্যালয়ের এস এম সাইফুল্লাহ। যশোর সরকারি বালিকা মাধ্যমিক বিদ্যালয়ের জাদেদাহ নারজিজ সাখাওয়াটি, মেধা হালদার। মাধ্যমিক (ভোকেশনার) পরীক্ষায় মোমিন নগর মাধ্যমিক বিদ্যালয়ের দেবর্শী রায়। মুনসী মেহেরুল্লাহ মাধ্যমিক বিদ্যালয়ের রহিমা খাতুন রিতু। খাজুরা এম এন মিত্র মাধ্যমিক বিদ্যালয়ের লিমা খাতুন ও বিপ্র প্রসাদ।