বাংলার ভোর প্রতিবেদক
যশোর জেলা বিএনপির সাবেক যুগ্ম-সম্পাদক ও কেন্দ্রীয় যুবদল নেতা আব্দার ফারুকের ১৮তম হত্যাবার্ষিকী পালিত হয়েছে। কর্মসূচির মধ্যে ছিল, কবর জিয়ারত, দোয়া মাহফিল ও শ্রদ্ধা নিবেদন। শুক্রবার যশোর সদর উপজেলার নওয়াপাড়া ইউনিয়নের সাবেক জনপ্রিয় চেয়ারম্যানের ১৮তম হত্যাবার্ষিকী উপলক্ষে জেলা বিএনপি এবং তার পরিবার এই সকল কর্মসূচির আয়োজন করে।
জেলা বিএনপির সভাপতি অ্যাড. সৈয়দ সাবেরুল হক সাবু ও সাধারণ সম্পাদক দেলোয়ার হোসেন খোকন দলীয় নেতাকর্মীদের নিয়ে শেখহাটি গ্রামে আব্দার ফারুকের কবরে ফুল দিয়ে শ্রদ্ধা নিবেদন করেন। এরপর সদর উপজেলা বিএনপি, নগর বিএনপি, জেলা যুবদল, জেলা স্বেচ্ছাসেবক দল, জেলা ছাত্রদল, নওয়াপাড়া ইউনিয়ন বিএনপির নেতৃবৃন্দ ফুল দিয়ে শ্রদ্ধা নিবেদন করেন। পরে নেতৃবৃন্দ আব্দার ফারুকের কবর জিয়ারত করেন।
এদিকে, বাদ জুমা পারিবারিক উদ্যোগে শহীদ আব্দার ফারুকের প্রতিষ্ঠিত জামে মসজিদে দোয়া মাহফিল অনুষ্ঠিত হয়। কবর জিয়ারত ও শ্রদ্ধা নিবেদনে উপস্থিত ছিলেন, জেলা বিএনপির সাংগঠনিক সম্পাদক প্রকৌশলী রবিউল ইসলাম, শহিদুল বারী রবু, সাবেক সম্পাদক মন্ডলীর সদস্য মিজানুর রহমান খান, অ্যাড. হাজী আনিছুর রহমান মুকুল, সিরাজুল ইসলাম, সদর উপজেলা বিএনপির সাধারণ সম্পাদক আঞ্জুরুল হক খোকন, সাংগঠনিক সম্পাদক আব্দুর রাজ্জাক, আশরাফুজ্জামান মিঠু, নগর বিএনপির সাংগঠনিক সম্পাদক মনিরুজ্জামান মাসুম, ফারুক হোসেন, জেলা যুবদলের সদস্য সচিব আনসারুল হক রানা, জেলা স্বেচ্ছাসেবক দলের আহ্বায়ক মোস্তফা আমির ফয়সাল, সদস্য সচিব রাজিদুর রহমান সাগর, জেলা ছাত্রদলের ভারপ্রাপ্ত সভাপতি ওমর ফারুক তারেক, সাধারণ সম্পাদক কামরুজ্জামান বাপ্পি, নওয়াপাড়া ইউনিয়ন বিএনপির সভাপতি মশিয়ার রহমান, সাধারণ সম্পাদক আলতাফ হোসেন প্রমুখ।
২০০৭ সালের ২৫ জুলাই রাতে দুর্বৃত্তদের বোমা ও ধারালো অস্ত্রের আঘাতে তিনি নিহত হন। হত্যাকান্ডের দেড় যুগ বছর পার হলেও বিচারের মুখোমুখি হয়নি খুনিরা। বিএনপি নেতা আব্দার ফারুক ঘটনার দিনে শহরতলীর শেখহাটি হাইকোর্ট মোড় থেকে রিকসাযোগে বাড়ি ফিরছিলেন। পথে জামরুলতলা বাজারে পৌঁছালে ওঁৎ পেতে থাকা সন্ত্রাসীরা তার গতিরোধ করে প্রথমে বোমা হামলা ও কুপিয়ে হত্যা করে। এ ঘটনায় নিহতের স্ত্রী সাজেদা বেগম বাদী হয়ে অজ্ঞাতনামা আসামি দিয়ে কোতোয়ালি থানায় মামলা দায়ের করেন। সাড়ে তিন বছর পরে তৎকালীন থানার এসআই মোস্তাফিজুর রহমান ছয়জনকে অভিযুক্ত করে আদালতে চার্জশিট দাখিল করেন। ২০১১ সালের ৪ জানুয়ারি মামলার বাদী আদালতে ওই চার্জশিটের ওপর নারাজি আবেদন করেন। আদালত নারাজি আবেদন গ্রহণ করে সিআইডি পুলিশকে পুনঃতদন্তের আদেশ দেন। পুনঃতদন্ত শেষে সিআইডি একই আসামিদের অভিযুক্ত করে আদালতে ফের চার্জশিট দাখিল করে।
এ চার্জশিটের ওপর আবারও নারাজি আবেদন করেন বাদী। মামলার বাদী সাজেদা বেগম চার্জশিটের নারাজি আবেদন করেও শুনানিতে অংশ নেননি। পরে বিচারক চার্জশিট গ্রহণ করে পলাতক একজন আসামির প্রতি গ্রেফতারি পরোয়ানা জারির আদেশ দেন। কিন্তু আসামি এখনো পর্যন্ত আটক হয়নি। মামলাটি বর্তমানে কি অবস্থায় আছে তা নিহতের পরিবার সূত্র বলতে পারেনি।