কাজী নূর
মধ্যরাতে জরুরী কল ৯৯৯ মাধ্যমে খবর পেয়ে নিভৃতপল্লী থেকে ‘সুন্দরী নারী’কে উদ্ধার করে যশোর জেনারেল হাসপাতালে ভর্তি করে পুলিশ। ২৮ বছর বয়সী ওই নারীর অস্বাভাবিক আচরণে বিপাকে পড়েন পুলিশ কর্মকর্তা ও হাসপাতালের কর্তব্যরতরা। পরে তথ্য প্রযুক্তির সহায়তায় ওই নারীর পরিচয় শনাক্ত করে পরিবারের সদস্যদের অবহিত করা হয়। তিনি যশোর শহরতলীর শেখহাটি পূর্বপাড়া এলাকার বাসিন্দা।রোববার দিবাগত রাতে এ ঘটনা ঘটে।
কোতোয়ালি থানার উপপরিদর্শক (এসআই) আরিফ ‘বাংলার ভোর’কে জানান, রোববার দিবাগত রাত ২টার দিকে ৯৯৯ এর মাধ্যমে জানতে পারি যশোর সদর উপজেলার দেয়াড়া ইউনিয়নের চান্দুটিয়া বাজারে অজ্ঞাত পরিচয়ের এক নারী ঘোরাফেরা করছে। স্থানীয় লোকজন তার সাথে বলেও কোন সদুত্তর দিচ্ছে না। পরে তারা পুলিশের সহায়তা নেন। এসআই আরিফ ফোর্স নিয়ে ওই নারীকে উদ্ধার করে রাত ৩টা ১৭ মিনিটে যশোর জেনারেল হাসপাতালে আনেন। পরে জরুরী বিভাগে দায়িত্বরত চিকিৎসক তাকে মহিলা মেডিসিন বিভাগে ভর্তির ব্যবস্থাপত্র দেন। ওই নারীর কাছে তার নাম পরিচয় জানতে সদুত্তর দেননি। একপর্যায়ে তার পরিচয় শনাক্তের জন্য পুলিশ ব্যুরো অব ইনভেস্টিগেশন টিমকে খবর দেয়া হয়। এসআই শরীফ এনামুলের নেতৃত্বে পিবিআই সদস্যরা হাসপাতালে যান। পিবিআই টিম প্রযুক্তির মধ্যামে ওই নারীর পরিচয় শনাক্ত করেন।
এদিকে, সোমবার বিকেলে হাসপাতালের সংশ্লিষ্ট বিভাগে হাজির হন ওই নারীর মা। তিনি বলেন, রোববার দুপুরে গোসল করতে গিয়ে তার মেয়ে হঠাৎ উধাও হয়ে যায়। তাদের মেয়ে হাসপাতালে ভর্তি আছে, সেটি আজ ( সোমবার) বিকেলে পুলিশের মাধ্যমে জানতে পারেন।
তিনি আরো বলেন, তার মেয়ে শিক্ষিত এবং বিবাহিত। এক বছর পূর্বে তিনি মেয়েকে বিয়ে দেন। জামাই ঢাকার একটি মসজিদের ইমাম।
মেয়ের ঘাড়ে বদ জীন রয়েছে উল্লেখ করে তিনি বলেন, জীন তার মেয়েকে সংসার করতে দিচ্ছে না। বহু ডাক্তার কবিরাজ ফকির দেখানোর পরেও উপকার পাওয়া যাচ্ছে না।
এ বিষয়ে যশোর ২৫০ শয্যা বিশিষ্ট জেনারেল হাসপাতালের ভারপ্রাপ্ত আবাসিক মেডিকেল অফিসার (আরএমও) ডা. আ, ন, ম বজলুর রশীদ টুলু বলেন, আমরা পুলিশের সহায়তায় ওই নারীর পরিচয় জানতে পেরেছি। প্রয়োজনীয় চিকিৎসা শেষে তাকে পরিবারের হাতে তুলে দেয়া হবে।’