বাংলার ভোর প্রতিবেদক
যশোরে এক নারীকে ধর্ষণ ও গর্ভের সন্তান নষ্ট করার অভিযোগে আদালতে মামলা হয়েছে। নারী ও শিশু নির্যাতন দমন ট্রাইব্যুনাল-১ এর বিচারক ড. আতোয়ার রহমান অভিযোগ আমলে নিয়ে কোতোয়ালি থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তাকে এজাহার হিসেবে গ্রহণের নির্দেশ দিয়েছেন।
আসামি ইকরামুল কবির ঝিনাইদহ জেলার কালীগঞ্জ উপজেলার রঘুনাথপুর গ্রামের মারজুল ইসলামের ছেলে। বৃহস্পতিবার যশোর সদর উপজেলার ভেকুটিয়া এলাকার ভুক্তভোগী ওই নারী মামলাটি দায়ের করেন।
মামলার এজাহারে উল্লেখ করা হয়েছে, ফেসবুকের মাধ্যমে ইকরামুল কবিরের সঙ্গে তার পরিচয় হয়।
একপর্যায়ে তিনি ইকরামুলের মাকে ‘ধর্ম মা’ হিসেবে ডাকতে শুরু করেন। এই সূত্রে ইকরামুল তাদের বাড়িতে যাতায়াত শুরু করেন এবং বিভিন্ন সময়ে তাকে উত্যক্ত করতে থাকেন। এর মাঝে ওই নারীর অন্যত্র বিয়ে হয়।
তবুও ইকরামুল নানা উপায়ে উত্যক্ত করতে থাকেন। বাদী পাত্তা না দেয়ায় ২০২৪ সালের ২ ফেব্রুয়ারি রাতে ইকরামুল বাদীর বাবার বাড়িতে গিয়ে ভয়ভীতি দেখিয়ে তাকে ধর্ষণ করেন।
তিনি জানান, ওই ঘটনার গোপন ভিডিও ধারণ করে ইকরামুল। বিষয়টি জানাজানি হলে ভিডিও ফেসবুকে ছড়িয়ে দেয়ার হুমকি দেন তিনি। একইভাবে ভয়ভীতি দেখিয়ে ইকরামুল ২০২৪ সালের ৮ ফেব্রুয়ারি ও ১৬ সেপ্টেম্বর বাদীকে আবারও ধর্ষণ করেন।
এতে তার গর্ভে সন্তান আসে, যা গত ২৯ সেপ্টেম্বর জোরপূর্বক গর্ভপাত করানো হয়। সর্বশেষ চলতি বছরের ১৫ এপ্রিল একই কৌশলে আবারও ধর্ষণ করা হয়।
শুধু তা-ই নয়, ভিডিও ফেসবুকে ছড়িয়ে দেয়ার হুমকি দিয়ে গত ২৩ এপ্রিল থেকে ২৯ এপ্রিল পর্যন্ত বিকাশের মাধ্যমে তার কাছ থেকে ৪৭ হাজার টাকা হাতিয়ে নেন ইকরামুল।
বাধ্য হয়ে ভুক্তভোগী নারী বৃহস্পতিবার যশোরের নারী ও শিশু নির্যাতন দমন ট্রাইব্যুনাল-১ ধর্ষণ ও পর্ণোগ্রাফী আইনে মামলা করেন। আদালত কোতোয়ালি থানাকে নিয়মিত মামলা হিসেবে গ্রহণের নির্দেশ দিয়েছেন।