বাংলার ভোর প্রতিবেদক
জুলাই গণঅভ্যুত্থান দিবস উপলক্ষে যশোরে পৃথক বিজয় মিছিল ও সমাবেশ করেছে বিএনপি। মঙ্গলবার বেলা ১২ টার দিকে টাউন হল ময়দানে বিএনপি সমাবেশ করে। সমাবেশে কেন্দ্রীয় নেতাদের উপস্থিতিতে জেলার তৃণমূলের নেতাকর্মীদের ব্যাপক সমাগম ঘটে। লাল সবুজের জাতীয় পতাকা ও দলীয় পতাকা হাতে মিছিলের স্লোগানে প্রকম্পিত হয় রাজপথ।
বিজয়ের এক বছর পূর্তির উৎসবে দলটির নেতাকর্মীদের এ সমাগমকে নিজেদের শক্তির মহড়া মনে করছেন নেতাকর্মীরা। সমাবেশ থেকে বিএনপি নেতৃবৃন্দ গণঅভ্যুত্থানের বিজয় অক্ষুণ্ন রাখতে দ্রুত নির্বাচনের দাবি জানান।
জুলাই গণঅভ্যুত্থান দিবস উপলক্ষে দিনব্যাপি কর্মসূচির অংশ হিসেবে যশোরে পৃথক কর্মসূচি পালন করেছে বিএনপি ও জামায়াতে ইসলামী। মঙ্গলবার দুপুর সাড়ে ১২টায় যশোর শহরের টাউন হল ময়দানে বিজয় সমাবেশ করে বিএনপি। এর আগে সকাল থেকে বিভিন্ন যানবাহনে চড়ে নেতাকর্মীরা শহরে জড়ো হন। এরপর পৃথক পৃথক মিছিল নিয়ে টাউন হল ময়দানে স্লোগানে স্লোগানে মুখরিত করে তোলে।
সদর ও নগর বিএনপির আয়োজনে এই সমাবেশে প্রধান অতিথি ছিলেন বিএনপির ভাইস চেয়ারম্যান অধ্যাপক নার্গিস বেগম। প্রধান বক্তা ছিলেন বিএনপির ভারপ্রাপ্ত সাংগঠনিক সম্পাদক (খুলনা বিভাগ) অনিন্দ্য ইসলাম অমিত। সমাবেশ শেষে দলীয় শীর্ষ নেতা, জুলাই আন্দোলনে নিহত ও গত ১৬ বছরে গুম হত্যার শিকার হওয়া নেতাকর্মীদের ছবি সম্বলিত প্ল্যাকার্ড নিয়ে বিজয় মিছিল বের হয়।
বিএনপির ভারপ্রাপ্ত সাংগঠনিক সম্পাদক (খুলনা বিভাগ) অনিন্দ্য ইসলাম অমিতের নেতৃত্বে বিজয় মিছিলটি শহরের প্রধান প্রধান সড়ক প্রদক্ষিণ করে পালবাড়ি ভাস্কর্য মোড়ে সমাবেশের মধ্য দিয়ে শেষ হয়। সেখানে নেতাকর্মীদের উদ্দেশ্যে বিএনপির ভাইস চেয়ারম্যান অধ্যাপক নার্গিস বেগম বলেন, ‘আমাদের চূড়ান্ত বিজয় এখনো বাকি রয়েছে। যে গণতন্ত্রের জন্য দীর্ঘ ১৬ বছর আন্দোলন করেছি, সংগ্রাম করেছি। হাজার হাজার নেতাকর্মী গুম খুনের শিকার হয়েছে; সেই গণতন্ত্র পুরোপুরি আসতে একটি অবাধ সুষ্ঠু ভোটের দরকার।
ভোটের মাধ্যমে সরকার গঠনের মধ্যে দিয়ে দেশে পূর্ণ গণতন্ত্র প্রতিষ্ঠা পাবে। ১৭ বছর যেমনি বিএনপির নেতাকর্মীরা রাজপথে থেকেছে।
লড়াই করেছে। গণতান্ত্রিক সরকার প্রতিষ্ঠিত না করা পর্যন্ত এই লড়াই চলবে, চালাবে।’ নগর বিএনপির সভাপতি রফিকুল ইসলাম চৌধুরী মুল্লুকের সভাপতিত্বে জেলা বিএনপির সভাপতি সাবেরুল হক সাবু, সাধারণ সম্পাদক দেলোয়ার হোসেন খোকন, যশোর চেম্বার অব কমাস ইণ্ডাস্ট্রির সভাপতি মিজানুর রহমান খানসহ দলটির জেলার সহযোগী সংগঠনগুলোর নেতাকর্মীরা উপস্থিত ছিলেন।