নড়াইল সংবাদদাতা
এস এম সুলতান তুলির আঁচড়ে ফুটিয়ে তুলেছিলেন খেটে খাওয়া মানুষ ও প্রকৃতির ছবি। নড়াইল তথা বাংলাকে তিনি তুলে ধরেছিলেন বিশ্বদরবারে। বরেণ্য চিত্রশিল্পী এস এম সুলতানের ১০১তম জন্মবার্ষিকী উদযাপনে আয়োজিত আলোচনা সভায় বক্তারা এমন মন্তব্য করেন।
নড়াইলের কুড়িগ্রামে সুলতান স্মৃতি সংগ্রহশালায় শিল্পীর মাজারে প্রশাসন ও বিভিন্ন সংগঠনের পক্ষ থেকে পুষ্পমাল্য অর্পণ করা হয়। পরে শ্রদ্ধা জ্ঞাপন করে নানা শ্রেণি-পেশার মানুষ। দিবসটি পালন উপলক্ষে আজ রোববার সকাল ৯টায় এস এম সুলতান ফাউন্ডেশন, নড়াইল জেলা প্রশাসন, জেলা শিল্পকলা একাডেমিসহ বিভিন্ন সামাজিক-সাংস্কৃতিক সংগঠনের পক্ষ থেকে মাছিমদিয়ায় সুলতান কমপ্লেক্সে শিল্পীর সমাধিতে বিনম্র শ্রদ্ধা জানানো হয়। এছাড়া কোরআনখানি ও দোয়া অনুষ্ঠান শেষে আয়োজন করা হয় আলোচনা সভার।
সভায় জেলা প্রশাসক শারমিন আক্তার জাহান বলেন, চলতি মাসেই বিশ্ববরেণ্য চিত্রশিল্পী এস এম সুলতানের জন্মবার্ষিকী উপলক্ষে দিনব্যাপি অনুষ্ঠান হবে। সুবিধাজনক সময়ে বড় আয়োজনের আশ্বাস দেন তিনি।
এ সময় জেলা প্রশাসক কার্যালয়ের স্থানীয় সরকার শাখার উপপরিচালক জুলিয়া সুকায়না, অতিরিক্ত জেলা প্রশাসক (সার্বিক) লিংকন বিশ্বাস, সুলতান ফাউন্ডেশনের সাবেক সদস্যসচিব মো. ইকবাল হোসেন, জেলা তথ্য কর্মকর্তা মো. রোস্তম আলী, নড়াইল প্রেসক্লাবের সহসভাপতি ও ফাউন্ডেশনের আজীবন সদস্য সুলতান মাহমুদ, সাধারণ সম্পাদক মাহবুবুর রশিদ লাবলু, এস এম সুলতান শিশু চারু ও কারুকলা ফাউন্ডেশনের সভাপতি শেখ হানিফ, সুলতান ফাউন্ডেশনের কিউরেটর তন্দ্রা মুখার্জি, জেলা বিএনপির সাংগঠনিক সম্পাদক টিপু সুলতান উপস্থিত ছিলেন।
১৯২৪ সালের ১০ আগস্ট নড়াইল শহরের মাছিমদিয়ায় জন্মগ্রহণ করেন চিত্রশিল্পী এস এম সুলতান। ১৯৯৪ সালের ১০ অক্টোবর তাঁর মৃত্যু হয়। ‘মাটি ও মানুষের চিত্রশিল্পী’ আখ্যায় ভূষিত সুলতানকে শহরের কুড়িগ্রামে সুলতান স্মৃতি সংগ্রহশালা চত্বরে সমাহিত করা হয়। শিল্পকলায় স্বীকৃতিস্বরূপ শিল্পী এস এম সুলতান ১৯৮২ সালে একুশে পদক ও ১৯৯৩ সালে স্বাধীনতা পদক লাভ করেন। ১৯৮৪ সালে তিনি রেসিডেন্ট আর্টিস্টের স্বীকৃতি পান। ১৯৮৬ সালে তিনি বাংলাদেশ চারুশিল্পী সংসদ সম্মাননা লাভ করেন। এ ছাড়া কেমব্রিজ বিশ্ববিদ্যালয় থেকে ‘ম্যান অব দ্য ইয়ার’, নিউইয়র্কের বায়োগ্রাফিক্যাল সেন্টার থেকে ‘ম্যান অব অ্যাচিভমেন্ট’ ও এশিয়া উইক পত্রিকা থেকে ‘ম্যান অব এশিয়া’ পুরস্কারসহ অসংখ্য সম্মাননায় ভূষিত হয়েছেন তিনি।