বাংলার ভোর প্রতিবেদক
যশোর কেন্দ্রীয় কারাগার থেকে জামিনে বের হয়ে ফের গ্রেপ্তার হয়েছেন শার্শা ইউনিয়ন পরিষদের চেয়ারম্যান কবীর উদ্দীন তোতা। মঙ্গলবার দুপুরে তাকে গ্রেফতার করা হয়। পুলিশ বলছে, তাকে চাঁচড়া এলাকা থেকে আটক করা হয়েছে। তবে স্বজনদের দাবি, জেলগেট থেকেই তাকে আটক করেছে শার্শা থানা ও ডিবি পুলিশ। পরে আরেকটি চাঁদাবাজি মামলায় আটক দেখিয়ে আদালতে সোপর্দ করলে বিচারক তাকে কারাগারে পাঠানোর নির্দেশ দেন।
কারাগারে পাঠানোর বিষয়টি নিশ্চিত করেছেন কোর্ট পরিদর্শক রোকসানা খাতুন ও ডিবির অফিসার ইনচার্জ মঞ্জুরুল হক ভুঞা। এর আগে চলতি বছরের ১৬ মার্চ বিদেশে যাওয়ার সময়ে হয়রত শাহজালাল আন্তজার্তিক বিমান বন্দর থেকে গ্রেফতার করে ইমিগ্রেশন পুলিশ। তার বিরুদ্ধে নাশকতা, চাঁদাবাজিসহ তিনটি মামলা রয়েছে। কবির উদ্দিন তোতা শার্শা উপজেলা যুব ও ক্রীড়া বিষয়ক সম্পাদকের দায়িত্বে রয়েছেন।
ডিবির অফিসার ইনচার্জ মঞ্জুরুল হক ভুঞা বলেন, ‘শার্শা থানাতে কবির উদ্দিন তোতার বিরুদ্ধে চাঁদাবাজির মামলা রয়েছে। আটকের অভিযানে যশোর ডিবি শার্শার পুলিশ সদস্যদের সহযোগিতা করেছে। আর শার্শা থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা রবিউল ইসলাম বলেন, ‘আটকের পর আদালতে পাঠালে বিচারক তাকে কারাগারে পাঠানোর নির্দেশ দেন।’
শার্শার ব্যবসায়ী রিজাউল ইসলাম বাদী হয়ে করা মামলায় তোতাসহ এ মামলার অন্য আসামিরা হলেন, শার্শার টিঅ্যাণ্ডটি অফিস এলাকার আসাদুজ্জামান আসাদ, উত্তর বুরুজ বাগানের সোহরাব হোসেন, জাকির হোসেন, শ্যামলাগাছির শফিকুল ইসলাম মন্টু ও রফিকুল ইসলাম, চটকাপোতা গ্রামের তোতা ওরফে চাকমা তোতা।
মামলায় বাদী উল্লেখ করেন, তার শার্শা বাজারে দোকান রয়েছে। ২০২৩ সালের ১৫ ফেব্রুয়ারি দুপুরে চেয়ারম্যান তোতার নেতৃত্বে অন্যান্য আসামিরা বাদীসহ আরও কয়েকজন ব্যবসায়ীকে আওয়ামী লীগের অফিসের সামনে ডেকে এনে বলেন, বাজারে ব্যবসা করতে হলে প্রত্যেককে পাঁচ লাখ টাকা করে চাঁদা দিতে হবে। অন্যথায় ব্যবসা করতে দেওয়া হবে না। বাধ্য হয়ে বাদী তিন লাখ টাকা, মুদি দোকানদার লিটন শেখ দেড় লাখ টাকা, ব্যবসায়ী জামাল উদ্দিন চার লাখ, শরীফ দেড় লাখ, ইব্রাহিম এক লাখ, আইনাল এক লাখ ৮৫ হাজার টাকা এভাবে সর্বমোট ১৩ লাখ ৭৫ হাজার টাকা চাঁদা দেন তোতাকে। তবে সে সময় আসামিদের ভয়ে বাদী প্রতিবাদ করতে পারেননি। পরিস্থিতি অনুকূল হওয়ায় তিনি শার্শা থানায় মামলা করেন।