বাংলার ভোর প্রতিবেদক
বিএনপি চেয়ারপার্সন সাবেক প্রধানমন্ত্রী বেগম খালেদা জিয়ার ৮০তম জন্মবার্ষিকী উপলক্ষে সুস্থতা কামনায় যশোর জেলা বিএনপির আয়োজনে দোয়া মাহফিল অনুষ্ঠিত হয়েছে। শুক্রবার বাদ আসর দলীয় কার্যালয়ের সামনে দোয়া মাহফিল অনুষ্ঠিত হয়।
দোয়া মাহফিল পূর্ব আলোচনা সভায় প্রধান অতিথির বক্তৃতায় বিএনপির জাতীয় নির্বাহী কমিটির ভারপ্রাপ্ত সাংগঠনিক সম্পাদক (খুলনা বিভাগ) অনিন্দ্য ইসলাম অমিত বলেন, গণতন্ত্রের জন্য সর্বোচ্চ ত্যাগ স্বীকার করেও, পরিবর্তী পরিস্থিতিতে তিনি সর্র্বোচ্চ সংযম প্রদর্শন করেছেন। ফ্যাসিস্ট শেখ হাসিনা বেগম খালেদা জিয়াকে প্রতিনিয়ত অসম্মান করলেও, দেশবাসী তাকে সর্বোচ্চ সম্মান দিয়েছে। বিগত ১৬ বছর বেগম খালেদা জিয়ার জন্য দোয়া মাহফিল আয়োজনেও বাধা দেওয়া হয়েছে। দোয়া মাহফিল আয়োজনের কারণে দলীয় নেতাকর্মীদের নির্যাতন নিপীড়নের শিকার হতে হয়েছে। বেগম খালেদা জিয়ার জন্য দোয়া মাহফিলে আয়োজন করার কারণে, ফ্যাসিস্ট শেখ হাসিনার অনুগত ছাত্রলীগ, যুবলীগ সন্ত্রাসীদের হাতে এই যশোরের বেনাপোলে আব্দুল আলীম নামের এক দলীয় কর্মীকে নির্মমভাবে হত্যার শিকার হতে হয়েছে।
তিনি বলেন, বেগম খালেদা জিয়া মুক্ত হলে, দেশের গণতন্ত্র মুক্তি পাবে এটিই ছিল জনগণের বিশ্বাসের জায়গা। যে কারণে বেগম খালেদা জিয়ার জন্য দোয়া মাহফিলে বাধা দেওয়া হয়েছিল। ফ্যাসিস্ট শেখ হাসিনা এবং তার রাজনৈতিক দল বেগম খালেদা জিয়াকে স্বামীর স্মৃতি বিজড়িত ঘর থেকে বিতাড়িত করে তিলে তিলে এক সন্তানকে হত্যা করেছে, আরেক সন্তানকে পঙ্গু করে দিয়েছে। এমন নির্যাতন সহ্য করার পরও ৫ আগস্ট পরিবর্তিত পরিস্থিতিতে বেগম খালেদা জিয়া সেই রাজনৈতিক দল কিংবা তাদের নেত্রীর নাম পর্যন্ত উচ্চারণ করেননি এমনকি কোন প্রতিক্রিয়া দেখাননি। পাল্টা দলীয় নেতাকর্মীদের সর্বোচ্চ সংযম প্রদর্শনের মাধ্যমে ঐক্যবদ্ধ থেকে গণতন্ত্র ফিরিয়ে আনার কথা বলেছেন। তাই আমাদের বেগম খালেদা জিয়ার জীবন থেকে শিক্ষা নিতে হবে।
অমিত বলেন, বেগম জিয়া দেশের সবচেয়ে জনপ্রিয় এবং রাজনীতিতে সবচেয়ে প্রভাবশালী ব্যক্তি। এটি উনি ধৈর্য্য, সংযম, আত্মত্যাগ, আপোষহীনতার মাধ্যমে তিনি অর্জন করেছেন। তার দেশপ্রেম এবং গণতন্ত্রের প্রতি নিবেদনের কারণে দেশের মানুষ তাকে সর্বোচ্চ ইজ্জত সম্মান দিয়েছেন। বেগম খালেদা জিয়ার জীবন থেকে আমাদেরকে শিক্ষা নিতে হবে।
দোয়া মাহফিলে উপস্থিত ছিলেন জেলা বিএনপির সভাপতি অ্যাড. সৈয়দ সাবেরুল হক সাবু, সাধারণ সম্পাদক দেলোয়ার হোসেন খোকন, সাংগঠনিক সম্পাদক পকৗশলী রবিউল ইসলাম, মুনির আহমেদ সিদ্দিকী বাচ্চু, শহিদুল বারী রবু, সাবেক আহ্বায়ক কমিটির সদস্য গোলাম রেজা দুলু, যুগ্ম সম্পাদক আব্দুস সালাম আজাদ, মিজানুর রহমান খান, অ্যাড. হাজী আনিছুর রহমান মুকুল, কাজী আজম, সিরাজুল ইসলাম, নগর বিএনপির সাধারণ সম্পাদক এহসানুল হক সেতু, সদর উপজেলা বিএনপির সাধারণ সম্পাদক আঞ্জুরুল হক খোকন, জেলা যুবদলের আহ্বায়ক এম তমাল আহমেদ, জেলা কৃষক দলের আহ্বায়ক অধ্যক্ষ (ভারপ্রাপ্ত) মকবুল হোসেন, জেলা মহিলা দলের সভাপতি রাশিদা রহমান, জেলা শ্রমিক দলের ভারপ্রাপ্ত সভাপতি আবু জাফর, সাধারণ সম্পাদক শাহাবুদ্দিন, জেলা স্বেচ্ছাসেবক দলের আহ্বায়ক মোস্তফা আমির ফয়সাল, জেলা ছাত্রদলের ভারপ্রাপ্ত সভাপতি ওমর ফারুক তারেক, সাধারণ সম্পাদক কামরুজ্জামান বাপ্পি প্রমুখ। পরে দলীয় কার্যালয়ে জেলা ছাত্রদলের আয়োজনে বেগম খালেদা জিয়ার সুস্থতা কামনায় অপর একটি দোয়া মাহফিল অনুষ্ঠিত হয়।