বাংলার ভোর প্রতিবেদক
বিএনপির ভাইস চেয়ারম্যান অধ্যাপক নার্গিস বেগম বলেছেন, সামনে নির্বাচন দেশ নিয়ে আবার অনেক ষড়যন্ত্র এবং চক্রান্ত হচ্ছে। যাতে করে দেশ আবার পূর্বের অবস্থান ফিরে গিয়ে মানুষ তার কথা বলার স্বাধীনতা এবং ভোট দেয়ার অধিকার হারিয়ে ফেলে। যেকোন মূল্যে আমরা দেশবিরোধী সকল ষড়যন্ত্র এবং চক্রান্ত রুখে দেবো। হাজার হাজার মায়ের সন্তানের আত্মত্যাগের বিনিময় গণতন্ত্র ফিরিয়ে আনার প্রাথমিক ধাপ অতিক্রম করেছি। কোনভাবেই তাদের আত্মত্যাগ বৃথা যেতে দেব না। সকলে ঐক্যবদ্ধভাবে গণতান্ত্রিক প্রকিয়া ফিরিয়ে আনার পাশাপাশি দেশের স্বাধীনতা এবং সার্বভৌমত্ব নিস্কন্টক করবো ইনশাআল্লাহ। যাতে করে কোন বিদেশি শক্তি আবার আমাদের ওপর খবরদারি করতে না পারে।
শনিবার যশোর নগর মহিলা দলের ৬ নম্বর ওয়ার্ড শাখা আয়োজিত নারী সমাবেশে প্রধান অতিথির বক্তৃতায় তিনি এ কথা বলেন। যশোর ইসলামীয়া বালিকা উচ্চ বিদ্যালয় মাঠে অনুষ্ঠিত সমাবেশে প্রধান বক্তা ছিলেন, বিএনপির জাতীয় নির্বাহী কমিটির ভারপ্রাপ্ত সাংগঠনিক সম্পাদক (খুলনা বিভাগ) অনিন্দ্য ইসলাম অমিত।
সমাবেশে অধ্যাপক নার্গিস বেগম আরও বলেন, বিএনপি সব সময় চায় জনগণের ভোটের মাধ্যমে সরকার প্রতিষ্ঠা হোক। কিন্তু ফ্যাসিস্ট শেখ হাসিনা জনগণের সেই অধিকার কেড়ে নিয়েছিল। সেই অধিকার প্রতিষ্ঠার জন্য বিএনপি দীর্ঘ ১৬ বছর নিরবচ্ছিন্নভাবে আন্দোলন করেছে। ফ্যাসিস্ট শেখ হাসিনা পালিয়েছে জনগণের সামনে ভোটের আশা জেগেছে। জনগণ নির্ভয়ে উৎসবমুখর পরিবেশে তার পছন্দের ব্যক্তিকে ভোট দেবে সেই পরিবেশ নিশ্চিত করতে হবে।
তিনি বলেন, বিএনপি মনে করে নারীদের অংশগ্রহণে সমাজ এবং রাষ্ট্র শক্তিশালী হবে। সে কারণে বিএনপি নতুন বাংলাদেশ গঠনে নারীদের অংশগ্রহণ নিশ্চিত করতে চায়। এই দেশে নারী সমাজের যে অগ্রযাত্রা তার সূচনা হয়েছিল বিএনপির হাত ধরে। আগামীতে জনগণের রায়ে বিএনপি দেশ পরিচালনার সুযোগ পেলে অতীতের মতো নারীদের উন্নয়নে কাজ করবে।
সমাবেশ সভাপতিত্ব করেন নারী নেত্রী অ্যাড. রেহেনা পারভিন। সমাবেশে বক্তব্য রাখেন, জেলা বিএনপির সভাপতি অ্যাড. সৈয়দ সাবেরুল হক সাবু, সাধারণ সম্পাদক দেলোয়ার হোসেন খোকন, নগর বিএনপির সাধারণ সম্পাদক এহসানুল হক সেতু, জেলা মহিলা দলের সভাপতি রাশিদা রহমান, নগর মহিলা দলের সাধারণ সম্পাদক সাবিহা সুলতানা, নগর বিএনপির ৬ নম্বর ওয়ার্ড শাখার সাধারণ সম্পাদক আব্দুর রাজ্জাক প্রমুখ। সমাবেশ পরিচালনা করেন জেলা মহিলা দলের সহ সাংগঠনিক সম্পাদক আনোয়ারা পারভীন আনু।