বাংলার ভোর প্রতিবেদক
চুক্তি শেষ হওয়ার পরও বাড়ি ছাড়ছে না ভাড়াটিয়ারা। উল্টো হুমকি-ধামকির মুখে দিন কাটাচ্ছেন এক অবসরপ্রাপ্ত ব্যাংক কর্মকর্তা। যশোর শহরের ঘোপ সেন্ট্রাল রোডে অবস্থিত নিজের ৪ তলা ভবনের নিচতলা একটি কিডনি ডায়লাইসিস সেন্টারকে ভাড়া দিয়ে এই বিপাকে পড়েছেন জেসমিন আক্তার নামের ওই নারী। রোববার দুপুরে প্রেসক্লাব যশোরে এক সংবাদ সম্মেলন করে তিনি প্রশাসন ও সাংবাদিকদের কাছে এ বিষয়ে হস্তক্ষেপ কামনা করেছেন।
সংবাদ সম্মেলনে জেসমিন আক্তার জানান, তিনি তার বাড়ির নিচতলা ‘নিউলাইফ আউট রিপ’ নামের একটি কিডনি ডায়লাইসিস সেন্টারের কাছে ভাড়া দেন। ৩৯ হাজার টাকা মাসিক ভাড়া এবং ৫ লাখ ৫০ হাজার টাকা জামানতের চুক্তিতে এই ভাড়া দেওয়া হয়েছিল, যার মেয়াদ শেষ হয়েছে গত ৩১ জুলাই। চুক্তি অনুযায়ী, মেয়াদ শেষের তিন মাস আগেই গত ৩০ এপ্রিল তিনি ভাড়াটিয়াদের লিখিত ও মৌখিকভাবে জানান যে ব্যক্তিগত প্রয়োজনে তিনি বাড়িটি ব্যবহার করবেন এবং নির্দিষ্ট সময়ের মধ্যে তা খালি করে দিতে হবে।
তবে চুক্তি শেষ হওয়ার পরও ভাড়াটিয়া প্রতিষ্ঠানটি বাড়ি ছাড়েনি। উল্টো তার এবং তার পরিবারের সদস্যদের বিরুদ্ধে মিথ্যা মামলা ও হামলার হুমকি দিচ্ছে। জেসমিন আক্তার আরও অভিযোগ করেন, এই ডায়লাইসিস সেন্টারের পরিচালক বশির উদ্দিন গভীর রাত পর্যন্ত মাদক ও অনৈতিক কর্মকাণ্ডে লিপ্ত থাকেন, যার কারণে এলাকার শান্তি-শৃঙ্খলা নষ্ট হচ্ছে। বারংবার নিষেধ করা সত্ত্বেও তিনি কর্ণপাত করেননি। নিরুপায় হয়ে গত ১১ আগস্ট তিনি কোতয়ালী মডেল থানায় একটি সাধারণ ডায়েরি (জিডি) করেন, যার নম্বর ৮৭৪/২৫।
জেসমিন আক্তার বলেন, তার দুই সন্তান ঢাকায় কর্মজীবী। এই সুযোগে প্রতিষ্ঠানের পরিচালক বশির উদ্দিন, মহসিন ও রাজীব অপরিচিত লোকজন দিয়ে তাদের হুমকি দিচ্ছেন। তিনি একজন নিরীহ ও অসহায় ব্যক্তি হিসেবে এই অবৈধ দখলদারদের হাত থেকে তার বাড়িটি দখলমুক্ত করতে পুলিশ প্রশাসনসহ সকলের সহযোগিতা চেয়েছেন।
সংবাদ সম্মেলনে জেসমিন আক্তারের সঙ্গে তার ভাগ্নে মেহেদি হাসান জিল্লু, আছাদুজ্জামান এবং ভাই আরিফ হোসেন উপস্থিত ছিলেন।