বাংলার ভোর প্রতিবেদক
যশোরের মণিরামপুরে চাঁদা না পেয়ে ভ্যানচালক মিন্টু হোসেনকে কুপিয়ে হত্যার ঘটনায় জড়িতদের বিচারের দাবিতে মানববন্ধন করেছে এলাকাবাসী। মঙ্গলবার বেলা ১২ টার দিকে প্রেস ক্লাব যশোরের সামনে এই মানববন্ধন হয়। মানববন্ধনে নিহতের স্বজন ও এলাকাবাসী অভিযুক্তদের ছবি সম্বলিত প্ল্যাকার্ড, ব্যানার নিয়ে নানা স্লোগান দেন। মানববন্ধনে নিহতের স্বজনেরা অভিযোগ করেন, ‘৫০ হাজার টাকা না দেয়ায় পৌর বিএনপির বহিস্কৃত শ্রম বিষয়ক সম্পাদক সাব্বির হোসেনের নেতৃত্বে মিন্টুকে হত্যা করা হয়েছে। গুরুতর আহত অবস্থায় চিকিৎসাধীন রয়েছে মিন্টুর দুই ভাই। এই ঘটনায় মামলা করা হলেও অভিযুক্তদের আঁড়াল করার চেষ্টা করছে স্থানীয় বিএনপি ও পুলিশ। এমনকি ভুক্তভোগি পরিবারের দেয়া আসামিদের নাম এজাহারে অন্তর্ভুক্ত না করার অভিযোগ করেন পুলিশের বিরুদ্ধে। দ্রুত জড়িতদের আটক ও বিচারের দাবি জানানো হয় মানববন্ধন থেকে।
মানববন্ধনে নিহতের শ্যালক সুমন হোসেন বলেন, ‘আমাদের স্বজনকে তো আর পাবো না। এখন চাই মামলার সঠিত তদন্ত হোক, জড়িতদের বিচার হোক। কিন্তু ওসি এ মামলা নিয়ে তালবাহানা করছে। এজাহারে পুলিশের যা মনে আসছে সেটা উল্লেখ করছে। এজাহারে আসামি, আসামির পরিবারের নাম ভুল দিয়েছে। রাজনৈতিক নেতাদের ছত্রছায়াতে পুলিশ এ মামলাটি ভিন্নখাতে নিয়ে যাচ্ছে। এ ঘটনায় উপজেলা বিএনপির শীর্ষনেতারা আসামিদের পক্ষ নেয়াতে আমরা সাহস করে কিছু বলতে পারছি না। আমরা বাড়িতে এক ধরনের হুমকি আতংকে দিন পার করছি। আমাদের ভয় আতংকগ্রস্ত রাখতে বাড়িতে ইট পাটকেল মারছে। জীবন বাঁচানোর তাগিদে এই যশোরে এসে এই কর্মসূচি হাতে নিয়েছি। প্রশাসনের কাছে এই হত্যার বিচার ও আমাদের নিরাপত্তার দাবি জানাচ্ছি।’
প্রসঙ্গত, ২৮ আগস্ট সন্ধ্যায় মণিরামপুর সরকারি বালক উচ্চবিদ্যালয়ের উত্তর গেট মোড়ে দোকানে চাঁদা দাবি করলে কথা-কাটাকাটি একপর্যায়ে বিএনপি নেতা সাব্বির পাঁচ-ছয়জন সঙ্গী নিয়ে এসে সেন্টু, তার বড় ভাই মিন্টু এবং মেজো ভাই পিকুলকে এলোপাতাড়ি কুপিয়ে আহত করেন। পরের দিন চিকিৎসাধীন অবস্থায় ভ্যানচালক মিন্টু মৃত্যুবরণ করেন। এই ঘটনায় ভুক্তভোগীর পরিবার মামলা করলে প্রধান অভিযুক্ত বিএনপি নেতা সাব্বিরসহ তিনজন আটক করেছে পুলিশ। মনিরামপুর থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা বাবলুর রহমান খান বলেন, ‘নিহতরে পরিবাররে অভিযোগ সত্য নয়। ঘটনার সঙ্গে পুলিশ যা তদন্ত করে পাচ্ছে, সেটা তুলে ধরছে। ঘটনার সঙ্গে তিনজনকে আটক করা হয়েছে। এই ঘটনায় কারোও পক্ষ নেওয়ার কোন প্রশ্ন উঠেই না। আইন সবার জন্য সমান। জড়িতদের সবাইকে আটক করতে ও রহস্য উদঘাটনে পুলিশ কাজ করছে।’