বাংলার ভোর প্রতিবেদক
ভাদ্র মাসের ভ্যাপসা গরমে অতিষ্ঠ জনজীবন। এক সপ্তাহের বেশি বৃষ্টির দেখা নেই যশোরে। দিনে কাঠফাটা রোদ আর ভ্যাপসা গরমে হাঁসফাঁস অবস্থা। রাতে তাপমাত্রা কিছুটা কমলেও দিনের মতোই অপরিবর্তিত থাকছে ভ্যাপসা গরম। এমন পরিস্থিতিতে লোডশেডিংয়ে যশোরে জনজীবন অতিষ্ঠ। একদিকে তীব্র গরম, অন্যদিকে বাড়ছে লোডশেডিং। দিন-রাত লোডশের্ডি হওয়ায় শহরে অসহনীয় দুর্ভোগ পোহাতে হচ্ছে জনসাধারণকে। বিদ্যুৎবিভ্রাটের ফলে বেশি অসুবিধা হচ্ছে শিশু, শিক্ষার্থী ও কলকারখানাতে। রাতের বেলা ও দিনে চার ঘন্টার বেশি সময় বিদ্যুৎ না থাকায় ঘুমের ব্যাঘাতের পাশাপাশি ব্যাহত হচ্ছে শিক্ষার্থীদের পড়াশোনা।
যশোর ওজোপাডিকো ১ ও ২ বিভাগ সূত্রে জানা গেছে, বিদ্যুতের চাহিদা বেশি ও জাতীয় গ্রিড থেকে সরবরাহ সংকটের কারণে যশোরে এই লোডশেডিং দেখা দিচ্ছে। যশোর ওজোপাডিকো ১ ও ২ বিভাগে ৬৫ মেগাওয়াট বিদ্যুতের চাহিদা রয়েছে। এর মধ্যে পাওয়া যাচ্ছে ৩৫ থেকে ৪০ মেগাওয়াট বিদ্যুৎ। যার কারণে ৩৫ শতাংশের মতো লোডশেডিং হচ্ছে। এতে ভোগান্তিতে পড়েছে এক লাখ ২০ হাজারের বেশি গ্রাহক।
ঘন ঘন বিদ্যুৎবিভ্রাটের ফলে অফিস-আদালত ও ব্যবসাপ্রতিষ্ঠানে কর্মজীবীরাও অস্বস্তিতে পড়েছেন। বিশেষ করে, দুপুরবেলায় ঘন ঘন বিদ্যুৎ না থাকায় অফিস-আদালতে কাজের ব্যাঘাত ঘটছে। সন্ধ্যা ও মধ্যরাতেও ঘনঘন বিদ্যুৎ বিভ্রাটের সমস্যায় পড়ছে শহরবাসী। ঘনঘন বিভ্রাটের কারণে ভোগান্তির সঙ্গে উৎপাদন ব্যাহত হচ্ছে কলকারখানায়। এতে হাজার হাজার টাকার ক্ষতির সম্মুখীন হচ্ছেন বলে জানিয়েছে ব্যবসায়ীরা।
যশোর শহরের মুজিব সড়ক এলাকার বাসিন্দা নজরুল ইসলাম বলেন, ‘একদিকে যেমন গরম পড়ছে, তেমনি লোডশোডিং দেখা যাচ্ছে। পর্যাপ্ত বিদ্যুৎ পাওয়া যায় না। বারবার লোডশেডিংয়ের কারণে ছোট বাচ্চা থেকে শুরু করে বৃদ্ধরাও বিপদে আছে। এভাবে লোডশেডিং হলে টিকে থাকা দায়।
যশোর জেনারেল হাসপাতালের সাজার্রি ওয়ার্ডের নার্স আলেয়া আক্তার বলেন, ‘এক সপ্তাহের বেশি যশোরে প্রচন্ড তাপদাহ হচ্ছে। এরমধ্যে শুরু হয়েছে লোডশেডিংও। বিশেষ করে ১১ টার পর থেকে দিনে ৩-৪ বার লোডশেডিং হচ্ছে। এতে রোগীসহ রোগীর স্বজনদের ভোগান্তি হচ্ছে।
যশোর ওজোপাডিকো -২ নির্বাহী প্রকৌশলী জি এম মাহমুদ প্রধান বলেন, ‘যশোরে জাতীয় গ্রেডে বিদ্যুৎ ঘাটতির কারণে এই বিদ্যুৎবিভ্রাট। রামপালসহ কয়েকটি স্টেশন থেকে সরবারহ বন্ধ থাকায় চাহিদার তুলনায় বিদ্যুৎ সরবারহ অর্ধেকে নেমেছে। আমরা আশা করছি এই সমস্যা দ্রুত সমাধানের।’