বাংলার খেলা প্রতিবেদক
জাতীয় ফুটবল চ্যাম্পিয়নশিপের গ্রুপ পর্বের প্রথম ম্যাচে জয় পেয়েছে যশোর জেলা। রোববার যশোর শামস্-উল-হুদা স্টেডিয়ামে তারা ২-০ গোলে নড়াইলকে হারিয়ে পরের রাউন্ডে যাওয়ার লড়াইয়ে অনেকটাই এগিয়ে রয়েছে। ২১ সেপ্টেম্বর প্রতিক্ষের মাঠে হার এড়াতে পারলেই পরের রাউন্ডে যাবে আনোয়ার পারভেজের শিষ্যরা।
দলের জয়ে এদিন গুরুত্বপূর্ন ভূমিকা রেখেছে গোলরক্ষক হৃদয় হোসেন বাবু। ৩-৪টি দুর্দান্ত সেভ করেছে যশোর শামস্-উল-হুদা ফুটবল একাডেমিতে গড়ে উঠা বাবু। বেনাপোলের ছেলে বাবুর হাতে উঠেছে ম্যাচ সেরা খেলোয়াড়ের পুরস্কার।
এদিন দর্শকরা তাদের সিটে ঠিকমতো বসার আগে যশোরকে আনন্দের উপলক্ষ এনে দেন রাকিব। ম্যাচের বয়স তিন মিনিটেরই আগে বাম প্রান্ত দিয়ে অনেকটাই একক প্রচেষ্টায় গোল করেন। পাঁচ মিনিট পর দ্বিতীয় গোলেও অবদান ছিল রাকিবের। এবারও বাম প্রান্ত দিয়ে আক্রমনে যায় যশোর। রাকিবের পাস থেকে গোল লাইনে দাঁড়িয়ে থাকা আরঙ্গ জেব বুক দিয়ে নামিয়ে বল জালে জড়িয়ে দেন।
দুই গোল খেয়ে জেগে ওঠে নড়াইল। এরপর তারা বেশ কয়েকটি পরিকল্পিত আক্রমণ গড়ে তোলে। তবে যশোরের গোলরক্ষক বাবুর গড়ে তোলা ওয়াল ভাঙ্গতে পারেনি।
৩১ ও ৩৯ মিনিটে নড়াইলের সাফাফেত বিশ্বাসের শট দারুন ভাবে নিজের দস্তনায় জমা করেন বাবু। অতিরিক্ত সময়ে নড়াইলের তীর্থঙ্কর, সাগর মোল্লা ও সাফায়েতর পরিকল্পিত আক্রমন দারুন দক্ষতায় নসাৎ করে দেন যশোরের গোলরক্ষক।
দ্বিতীয়ার্ধের শুরুর মিনিটে ডি-বক্সের বাইরে তীর্থঙ্কর বিশ্বাসের দূর পাল্লার শট লাফ দিয়ে কর্নারের বিনিময়ে রক্ষা করে বাবু। পরের সময়ে উভয় দলই একাধিক গোলের সুযোগ তৈরি করলেও তা থেকে গোল আদায় করতে পারেনি কোন দল।
এছাড়া ম্যাচের পুরো সময়টা মাঠে ছিলেন না যশোরের অধিনায়ক আনিসুল হক খোকা বাবু ও আরঙ্গ জেব। খোকা বাবুকে দ্বিতীয়ার্ধের শুরুতে ও আরঙ্গজেবকে মাঝামাঝি সময়ে তুলে নেন।
মাঠে মেডিকেল টিমেরও খুব বেশি তৎপরতা দেখা যায়নি। একাধিকবার ম্যাচের রেফারি সবুজ দাস মেডিকেল টিমকে ডাকলেও তারা খোশ গল্পে মেতেছিল।
এদিকে ম্যাচের আগে প্রধান অতিথি যশোরের জেলা প্রশাসক আজাহারুল ইসলাম বেলুন ফেস্টুন উড়িয়ে উদ্বোধন করেন। উদ্বোধনী অনুষ্ঠানে বিশেষ অতিথি ছিলেন, পুলিশ সুপার রওনক জাহান ও দৈনিক লোকসমাজ পত্রিকার প্রকাশক সান্তনু ইসলাম। ক্রীড়া সংগঠক নিবাস হালদারের পরিচালনায় স্বাগত বক্তব্য রাখেন সাংগঠনিক কমিটির আহ্বায়ক ও যশোর জেলা ক্রিকেট দলের সাবেক অধিনায়ক মাহাতাব নাসির পলাশ।