বাংলার ভোর প্রতিবেদক
যশোরে ঋণ পরিশোধের পরও জামানত হিসেবে জমা রাখা চেক ফেরত না দেওয়ায় এবং চেক জালিয়াতির বিরুদ্ধে নওয়াবেঁকী গণমুখী ফাউন্ডেশন (এনজিএফ) নামে একটি এনজিও’র কর্মকর্তাদের বিরুদ্ধে গুরুতর অভিযোগ এনেছেন এক নারী। যশোরের ঝিকরগাছা উপজেলার বাসিন্দা খাদিজা বেগম সোমবার প্রেসক্লাবে যশোরে আয়োজিত সংবাদ সম্মেলনে এই অভিযোগ করেন। তিনি জানান, এনজিও’র কর্মকর্তাদের হয়রানি থেকে বাঁচতে এবং তার জীবন ও পরিবারের নিরাপত্তা নিশ্চিত করতে তিনি ইতিমধ্যে আদালতে দুটি মামলা দায়ের করেছেন।
লিখিত বক্তব্যে খাদিজা বেগম বলেন, তার মেয়ে ও জামাইকে বিদেশে পাঠানোর জন্য টাকার প্রয়োজন হলে তিনি ২০২২ সালের জুন মাসে এনজিএফ এর বাগআঁচড়া শাখা থেকে ২ লাখ টাকা ঋণ নেন। এই ঋণের বিপরীতে ফার্স্ট সিকিউরিটি ইসলামী ব্যাংকের তার ব্যক্তিগত হিসাবের দুটি ফাঁকা চেক জামানত হিসেবে জমা দেন। পরবর্তীতে তিনি আরও দু’দফায় ৬০ হাজার ও ৩ লাখ টাকা ঋণ গ্রহণ করেন। মোট তিনটি ঋণের বিপরীতে তিনি সর্বমোট ৬টি ফাঁকা চেক এনজিও ব্যবস্থাপক জহিরুল ইসলামের কাছে জমা রাখেন।
খাদিজা বেগম অভিযোগ করেন, প্রতিটি ঋণ পরিশোধের পর তিনি তার জমা রাখা চেকগুলো ফেরত চাইলে এনজিও কর্মকর্তারা নানা অজুহাত দেখিয়ে কালক্ষেপণ করেন। পরে চেক ফেরত দিতে অস্বীকার করেন। এমনকি তারা তাকে ভয়ভীতিও দেখান।
তিনি বলেন, এনজিও ব্যবস্থাপক জহিরুল ইসলাম তার বিয়াই ইব্রাহীম খলিল ও তার স্ত্রীর সাথে সু-সম্পর্ক থাকার কারণে তাদের পরামর্শে তিনি এই ঋণগুলো গ্রহণ করেন। যার মধ্যে ৩ লাখ টাকার ঋণ তার বিয়াইকে দেয়া হয়েছিল।
তিনি আরও বলেন, গত ২৫ আগস্ট তারিখে তিনি কয়েকজন সাক্ষীকে নিয়ে এনজিও অফিসে গিয়ে চেকগুলো ফেরত চান। তখন এনজিও কর্মকর্তারা জানান যে তারা তার বাড়িতে গিয়ে চেকগুলো ফেরত দিয়ে আসবেন। কিন্তু বাড়িতে আসার পর তারা সকলের সামনে চেক ফেরত দিতে অস্বীকৃতি জানান।
এই ঘটনাকে তিনি প্রতারণা এবং বিশ্বাসভঙ্গ হিসেবে উল্লেখ করে বলেন, এই ফাঁকা চেকগুলো ব্যবহার করে তাকে যেকোনো সময় বড় ধরনের ক্ষতির মুখে ফেলা হতে পারে। এ কারণে তিনি অভিযুক্তদের বিরুদ্ধে সিনিয়র জুডিসিয়াল ম্যাজিস্ট্রেট, ঝিকরগাছা আমলী আদালতে একটি মামলা দায়ের করেছেন। সংবাদ সম্মেলনে খাদিজা বেগম তার পারিবারিক আর্থিক লেনদেনের বিষয়েও বিস্তারিত জানান।
সংবাদ সম্মেলনে তার সাথে উপস্থিত ছিলেন গ্রামের প্রতিবেশী রায়হান, কবিরুল ইসলাম এবং আব্দুর রহমান।