বাংলার ভোর প্রতিবেদক
যশোর ২৫০ শয্যা জেনারেল হাসপাতালের করোনারি কেয়ার ইউনিটে সংযুক্ত করা হয়েছে চারটি সিসিইউ মনিটর এবং ডিফিব্রিলেটর। প্রধান অতিথি হিসেবে উপস্থিত থেকে গতকাল সকালে ফিতা কেটে এ কার্যক্রমের আনুষ্ঠানিক উদ্বোধন করেন যশোর মেডিকেল কলেজের অধ্যক্ষ অধ্যাপক ডা. আবু হাসনাত মো. আহসান হাবিব। এর ফলে এখন থেকে হৃদরোগে আক্রান্ত রোগীর হৃদস্পন্দন, রক্তচাপ, রক্তে অক্সিজেনের মাত্রা, শ্বাস-প্রশ্বাস এবং অন্যান্য গুরুত্বপূর্ণ শারীরিক তথ্য (ভাইটাল সাইন) নিরবচ্ছিন্নভাবে পর্যবেক্ষণ করা যাবে। এছাড়া জীবন-হুমকির সম্মুখীন রোগীর (কার্ডিয়াক অ্যারেস্ট) হৃদপিণ্ডে নির্দিষ্ট মাত্রায় বৈদ্যুতিক শক দিয়ে হৃদস্পন্দনকে স্বাভাবিক অবস্থায় ফেরানো সম্ভব হবে জানিয়েছেন চিকিৎসকরা।
জানা যায়, ২০০৫ সালে যশোর জেনারেল হাসপাতালে পাঁচ কোটি টাকা ব্যয়ে নির্মাণ করা হয় করোনারি কেয়ার ইউনিট। উদ্বোধন করা হয় ২০০৬ সালের ১২ অক্টোবর। প্রথম থেকেই জনবল ঘাটতি নিয়ে যাত্রা শুরু করা এ সেবা কেন্দ্রটিতে বিভিন্ন সময় ধাপে ধাপে কিছু কিছু যন্ত্রপাতির বরাদ্দ দেয়া হলেও হৃদরোগের পরিপূর্ণ সেবা দিতে সক্ষম হয়নি। তবে সংশ্লিষ্টদের চেষ্টায় এগিয়ে চলেছে প্রতিষ্ঠানটি। এবার যুক্ত হয়েছে সিসিইউ মনিটর এবং ডিফিব্রিলেটর। এরফলে হৃদরোগের চিকিৎসায় আরেক ধাপ এগিয়ে গেলো করোনারি কেয়ার ইউনিটটি।
এ স্বাস্থ্যসেবা প্রতিষ্ঠানে অন্যতম দায়িত্বরত ডা. হাসানুজ্জামান বলেন, সিসিইউ মনিটর এবং ডিফিব্রিলেটর সংযুক্ত হওয়ায় হৃদরোগীদের চিকিৎসায় আরেক ধাপ এগিয়ে গেলো। সিসিইউ মনিটরের মাধ্যমে রোগীর হৃদস্পন্দন, রক্তচাপ, রক্তে অক্সিজেনের মাত্রা, শ্বাস-প্রশ্বাস, এবং অন্যান্য গুরুত্বপূর্ণ শারীরিক তথ্য পর্যবেক্ষণ করা সম্ভব হবে। আর ডিফিব্রিলেটরের মাধ্যমে জীবন-হুমকির সম্মুখীন রোগীর হৃদপিণ্ডে নির্দিষ্ট মাত্রার বৈদ্যুতিক শক দিয়ে হৃদস্পন্দনকে স্বাভাবিক অবস্থায় ফিরিয়ে আনতে কাজ করা যাবে। এ সুবিধা এই প্রথম যুক্ত হয়েছে করোনারি কেয়ার ইউনিটে।
এদিকে, গতকাল উদ্বোধনী অনুষ্ঠানে অন্যান্যের মধ্যে উপস্থিত ছিলেন যশোর ২৫০ শয্যা জেনারেল হাসপাতালের ভারপ্রাপ্ত তত্ত্বাবধায়ক ডা. হিমাদ্রী শেখর, কার্ডিওলজি বিভাগের প্রধান ডা. গোলাম মাহফুজ রাব্বানী, সিনিয়র কনসালটেন্ট ডা. তৌহিদুল ইসলাম, আরএমও ডা. হাবিবা সিদ্দিকা ফোয়ারাসহ অন্যান্য চিকিৎসক, সেবিকা প্রমুখ।