বাংলার ভোর প্রতিবেদক
যশোরের ঐতিহ্যবাহী ভৈরব নদকে দখলমুক্ত করে আবারো সচল করার দাবিতে বুধবার দুপুরে জেলা প্রশাসক আজাহারুল ইসলামের কাছে স্মারকলিপি প্রদান করেছে ‘ভৈরব নদ সংস্কার আন্দোলন’ নামে একটি সংগঠন।
স্মারকলিপিতে নদী সংস্কারের জন্য আট দফা দাবি তুলে ধরা হয়েছে। দ্রুত এই দাবিগুলো কার্যকর করার আহ্বানও জানানো হয়েছে।
দাবিগুলো হলো, দ্রুত সময়ের মধ্যে ভৈরবের উজানে নদী সংযোগ স্থাপন করতে হবে। ভৈরবসহ সকল নদীর অবৈধ দখলদারদের উচ্ছেদ করে নদীর সীমানা পুনরুদ্ধার করতে হবে। নদীর সীমানার মধ্যে থাকা সকল অবৈধ স্থাপনা উচ্ছেদ করে দখলদারদের বিরুদ্ধে আইনি ব্যবস্থা নিতে হবে।
‘নদী তট আইন’ মেনে নদীর সঠিক সীমানা নির্ধারণ করতে হবে। উচ্চ আদালতের নির্দেশনা মেনে বিআইডব্লিউটিএ’র অনুমোদন নিয়ে দাইতলা, ছাতিয়ানতলা ও রাজারহাটের সেতুর কাজ দ্রুত শেষ করতে হবে। একই সাথে, নৌ চলাচলের উপযোগী করে সেতুগুলো তৈরি করতে হবে। দাইতলা ও ছাতিয়ানতলার অস্থায়ী সেতু দুটি এখনই চলাচলের উপযোগী করতে হবে। হাসপাতাল, ক্লিনিক ও বাজারের বর্জ্য নদীতে ফেলা বন্ধ করে নদীর পরিবেশ ফিরিয়ে আনতে হবে। প্রয়োজনে আইনি ব্যবস্থা নিতে হবে। এছাড়া, নদীতে ছোট নৌকা বা বোর্ড দিয়ে নৌ ভ্রমণের ব্যবস্থা এবং নদীর পাড়ে হাঁটার জন্য ফুটপাত তৈরি করতে হবে। মুক্তেশ্বরী নদীর বুক থেকে ‘আদ-দ্বীন’ নামক প্রতিষ্ঠানকে উচ্ছেদ করতে হবে। একই সাথে নদী ভরাট করে প্লট বিক্রেতাদের বিরুদ্ধে আইনি ব্যবস্থা নিতে হবে।
এই দাবিগুলো বাস্তবায়নের জন্য সংগঠনটি কয়েকটি কর্মসূচিও ঘোষণা করেছে। এর মধ্যে উল্লেখযোগ্য হলো, সেতুর কাজ দ্রুত শেষ করা ও অস্থায়ী সেতু মেরামতের দাবিতে আগামী ২৪ সেপ্টেম্বর নির্বাহী প্রকৌশলী এলজিইডি’র কাছে স্মারকলিপি প্রদান। যদি এরপরেও পদক্ষেপ না নেয়া হয়, তবে অক্টোবর মাসের দ্বিতীয় সপ্তাহে যশোর-ঢাকা মহাসড়কে অবস্থান কর্মসূচি পালন করা হবে।
উপস্থিত ছিলেন সংগঠনের আহ্বায়ক প্রফেসর আফসার আলী, জিল্লুর রহমান ভিটু, তসলিম উর রহমান, আবু হাসান, হারুন অর রশিদ, হাচিনুর রহমান, অ্যাডভোকেট মাহমুদ হাসান বুলু, রাশেদ খান, শেখ আলাউদ্দিন, শাহাবুদ্দিন বাটুল, রায়হান বিশ্বাস প্রমুখ।