বাংলার ভোর প্রতিবেদক
যশোরে দ্বিতীয় স্ত্রী ও তার আগের স্বামীর ঘরের সন্তানের অত্যাচারে মানবেতর জীবনযাপন করছেন কাজী জাহিদুল আলম নামে এক পল্লী চিকিৎসক। প্রতিনিয়ত তার বসত বাড়ির জমি লিখে নেয়ার জন্য মারধর করছে। মোটা অংকের দেনমোহর দাবি করায় দ্বিতীয় স্ত্রীকে তালাক দিতে পারছেন না তিনি। বুধবার সকালে প্রেসক্লাব যশোরে সংবাদ সম্মেলন এ অভিযোগ করেন ভুক্তভোগী।
সংবাদ সম্মেলনে লিখিত বক্তব্যে কাজী জাহিদুল আলম জানান, তার প্রথম স্ত্রী ডিভোর্স হওয়ার পর তিনি পাঁচ বছর আগে সোনালী বেগমকে দ্বিতীয় বিয়ে করেন। সোনালীর পূর্বের ঘরের ছেলে সজিবও তাদের সঙ্গে থাকেন। জাহিদুল আলম দাবি করেন, বিয়ের কিছু দিন পর থেকেই তার দ্বিতীয় স্ত্রী ও সৎ ছেলে তার সঙ্গে খারাপ ব্যবহার শুরু করেন। তার নামে বসতবাড়ি ও সম্পত্তি লিখে দিতে চাপ দিতে থাকেন। তিনি রাজি না হওয়ায় তারা তাকে এবং তার প্রথম পক্ষের সন্তানদের খুন ও জখমের হুমকি দিতে থাকেন।
সংবাদ সম্মেলনে জাহিদুল আলম আরও বলেন, তারা আমার সম্পত্তি দখলের পাঁয়তারা করছে। আমাকে মানসিকভাবে নির্যাতন ও অপমান-অপদস্ত করে বাড়ি থেকে তাড়িয়ে দেয়ার জন্য ভয় দেখাচ্ছে।
গত ৪ সেপ্টেম্বর সকাল সাড়ে ১০টার দিকে সোনালী ও সজিব তার কাছে জমি-বাড়ি লিখে দিতে বলেন। তিনি রাজি না হওয়ায় তারা তাকে কিল, ঘুষি, লাথি ও থাপ্পড় মেরে জখম করে এবং বাড়ি থেকে বের করে দেয়। এ সময় স্থানীয়রা এগিয়ে এলে তারা প্রকাশ্যে হুমকি দেয় যে, যদি তিনি সম্পত্তি লিখে না দেন, তাহলে তাকে বাড়ি থেকে বের করে দেয়া হবে অথবা তাকে ও তার সন্তানদের খুন করা হবে।
জাহিদুল আলম বলেন, তিনি স্ত্রীকে এক লাখ ৫০ হাজার টাকা দিয়েছিলেন, কিন্তু পরে জানতে পারেন যে স্ত্রী সেই টাকা নিজের অ্যাকাউন্টে জমা রেখেছেন। মারধরের পর তিনি যশোর ২৫০ শয্যা বিশিষ্ট জেনারেল হাসপাতাল থেকে প্রাথমিক চিকিৎসা নিয়েছেন। স্থানীয়ভাবে সমাধান না হওয়ায় তিনি কোতোয়ালি মডেল থানায় একটি লিখিত অভিযোগ দায়ের করেছেন।
তিনি বলেন, আমি এই সম্পর্কের ইতি টানতে চাই, কিন্তু দেনমোহর দাবি করায় আমি ডিভোর্সও দিতে পারছি না। এ বিষয়ে তিনি প্রশাসনের দ্রুত হস্তক্ষেপ কামনা করেছেন।