বাংলার ভোর প্রতিবেদক
যশোরের জেলা প্রশাসক আজাহারুল ইসলাম বলেছেন, যারা ধর্মের নামে সমাজে বিভেদ বা ফ্যাসাদ সৃষ্টি করে, তাদের সমাজ কখনো ক্ষমা করে না। তিনি আরও বলেন, ‘সবার সাথে শান্তিপূর্ণভাবে বসবাস করাই সবচেয়ে বড় ধর্ম।’
শুক্রবার বিকেলে যশোরের টাউন হল ময়দানে সনাতন ধর্ম সংঘ আয়োজিত ঢাকী প্রতিযোগিতা উৎসবে প্রধান অতিথির বক্তব্যে তিনি এসব কথা বলেন।
ডিসি বলেন, ‘যার যা ধর্ম আছে, আমরা শান্তিপূর্ণভাবে পালন করতে দিতে চাই। একইভাবে যার যে সংস্কৃতি আছে, আমরা সেটির সঠিক মূল্যায়ন করতে চাই।’
তিনি আরও বলেন, ‘সামনে শারদীয় দুর্গাপূজা এটা আপনাদের উৎসব, আপনাদের পূজা। পুলিশ প্রশাসনসহ আইনশৃঙ্খলা বাহিনীর সঙ্গে একাধিকবার বৈঠক হয়েছে। পূজাকে কেন্দ্র করে যারা বিশৃঙ্খলা সৃষ্টির চেষ্টা করবে, তাদের আমরা কঠোরভাবে সতর্ক করছি। কোথাও কোনো বিশৃঙ্খলার তথ্য বা আশঙ্কা থাকলে সঙ্গে সঙ্গে আমাদের জানাবেন, আমরা ব্যবস্থা নেব।’
এদিন শহরের টাউন হল ময়দানে অনুষ্ঠিত এই প্রতিযোগিতায় ২৫টি ঢাকের দল অংশ নেয়। অনুষ্ঠানের শুরুতে অতিথিদের ঢাক ও উলুধ্বনি দিয়ে বরণ করে নেয়া হয়। এরপর আগমনী সংগীতের সঙ্গে শিশুদের মনোমুগ্ধকর নৃত্য পরিবেশিত হয়।
যশোর সনাতন ধর্ম সংঘের সভাপতি বীর মুক্তিযোদ্ধা অশোক কুমার বিশ্বাসের সভাপতিত্বে অনুষ্ঠানে আরও বক্তব্য দেন অতিরিক্ত পুলিশ সুপার আহসান হাবীব, কবি ও সাংবাদিক অধ্যাপক মসিউল আযম, রাইটস্ যশোরের নির্বাহী পরিচালক বিনয় কৃষ্ণ মল্লিক, দৈনিক গ্রামের কাগজের সম্পাদক মবিনুল ইসলাম মবিন, জেলা পূজা উদযাপন পরিষদের সাবেক সভাপতি অসীম কুণ্ড, জেলা হিন্দু বৌদ্ধ খ্রিস্টান কল্যাণ ফ্রন্টের সিনিয়র যুগ্ম আহ্বায়ক অধ্যাপক আলোক কুমার ঘোষ এবং জেলা জাতীয় হিন্দু মহাজোটের সভাপতি অমল অধিকারী। স্বাগত বক্তব্য দেন সংগঠনের সাংগঠনিক সম্পাদক অধ্যাপক গোপীকান্ত সরকার।
অনুষ্ঠানটি সঞ্চালনা করেন জেলা পূজা উদযাপন পরিষদের যুগ্ম আহ্বায়ক মৃণাল কান্তি দে।