বাংলার ভোর প্রতিবেদক
জলবায়ু অভিবাসীদের অন্তর্ভুক্তিমূলক নগর সেবার চ্যালেঞ্জ ও সম্ভাব্য সমাধান নিয়ে দিনব্যাপি আলোচনা অনুষ্ঠিত হয়েছে। এতে যশোর পৌরসভার সক্ষমতা বৃদ্ধি, জলবায়ু অভিবাসী জনগোষ্ঠীর সঠিক তথ্য হালনাগাদ করা, পানি, স্যানিটেশন, শিক্ষা ও স্বাস্থ্যসেবাসহ অন্যান্য মৌলিক সামাজিক সেবায় অবহেলিত সম্প্রদায়ের সুযোগ বৃদ্ধিকরণ নিয়েও বিস্তারিত আলোচনা হয়।
২৩ শে সেপ্টেম্বর যশোরের ব্র্যাক লার্নিং সেন্টারে সুইজারল্যান্ড সরকার ও লোকালেস ওয়াসেইর/ম্যাক্স ডিটিং এজি এর যৌথ অর্থায়নে ও সুইসকন্ট্যাক্টের বাস্তবায়নে সম্প্রীতি ও ওয়াটার কিয়স্কস-প্রকল্পের উদ্বোধনী অনুষ্ঠানে আয়োজিত জলবায়ু অভিবাসীদের জন্য স্থানীয় নেতৃত্বাধীন সহযোগিতা শীর্ষক সেমিনারের আলোচনায় এসব বিষয় তুলে ওঠে আসে।
এতে স্বাগত বক্তব্য দেন যশোর পৌরসভার প্রশাসক ও স্থানীয় সরকার বিভাগের উপ-পরিচালক মো. রফিকুল হাসান। তিনি বলেন, যশোর পৌরসভায় প্রায় দুই লাখ নয় হাজারের মত বাসিন্দা রয়েছে, কিন্তু দেখা যায় তা মাঝে মধ্যে প্রায় পাঁচ লাখের বেশি মানুষ এখানে বসবাস করছে। এর মধ্যে একটা বড় অংশ জলবায়ু অভিবাসী। সঠিক কর্মসংস্থানের অভাবে তাদের অনেকেই মানবেতর জীবনধারণ করছে। সঠিক পদক্ষেপ নিলে ভবিষ্যতে এসব সমস্যার সমাধান করা সম্ভব হবে।
তাছাড়া বেসরকারি খাতের সঙ্গে সহযোগিতার মাধ্যমে পানি, স্যানিটেশন, শিক্ষা ও স্বাস্থ্যসেবাসহ অন্যান্য মৌলিক সামাজিক সেবায় অবহেলিত সম্প্রদায়ের সুযোগ কিভাবে বৃদ্ধি করা যায় সে বিষয়েও আলোকপাত করেন তিনি।
এতে আরো বক্তৃতা করেন যশোর পৌরসভার প্রধান নির্বাহী কর্মকর্তা সৈয়দ মোরাদ আলী, সুইসকন্ট্যাক্ট বাংলাদেশের পক্ষ থেকে ‘সম্প্রীতি’ প্রকল্পের উদ্দেশ্য ও কার্যক্রম উপস্থাপন করেন সুইসকন্ট্যাক্ট দক্ষিণ এশিয়া ও দক্ষিণ-পূর্ব এশিয়ার হেড অব কোয়ালিটি এস্যুইরেন্স রাজিক ফজলে, সুইসকন্ট্যাক্ট বাংলাদেশের সিনিয়র ম্যানেজার সাকিব খালেদ।
এছাড়াও বক্তৃতা করেন সাংবাদিক ও মানবাধিকার কর্মী সারোয়ার হোসেন, জলবায়ু অভিবাসীর অভিজ্ঞতা শেয়ারিং এর তালিকায় বক্তৃতা করেন আব্দুল কালাম। এতে সরকারি, বেসরকারি ও বিভিন্ন ওয়ার্ডের জনপ্রতিনিধিরা অংশ নেন। সমগ্র সেমিনারে সঞ্চালনায় ছিলেন সুইস কন্ট্যাক্ট বাংলাদেশের ম্যানেজার সায়রা নাদনিন।