বাংলার ভোর প্রতিবেদক
ভৈরব নদের ওপর তিনটি নির্মাণাধীন সেতু দ্রুত শেষ করা ও একটি ক্ষতিগ্রস্ত অস্থায়ী সেতু অবিলম্বে মেরামতের দাবিতে স্মারকলিপি দিয়েছে ভৈরব নদ সংস্কার আন্দোলন কমিটি। বুধবার দুপুর সাড়ে ১২টায় এলজিইডি’র নির্বাহী প্রকৌশলী আহমেদ মাহবুবুর রহমানের কাছে এই স্মারকলিপি দেওয়া হয়।
স্মারকলিপিতে আন্দোলনকারীরা জানান, ভৈরব নদ দক্ষিণ-পশ্চিম অঞ্চলের প্রধান নদী এবং এর স্বাভাবিক প্রবাহের সঙ্গে ভবদহসহ উপকূলীয় অঞ্চলের জলাবদ্ধতা, লবণাক্ততা ও জীববৈচিত্র্য রক্ষা সরাসরি জড়িত। কিন্তু নদের প্রবাহ বাধাগ্রস্ত হওয়ায় এই অঞ্চলের প্রাণ-প্রকৃতিতে বড় ধরনের বিপর্যয় নেমে এসেছে। ভূমি গঠন প্রক্রিয়াও ব্যাহত হচ্ছে, যা জলবায়ু পরিবর্তনের প্রভাবে উপকূলীয় অঞ্চল তলিয়ে যাওয়ার ঝুঁকি বাড়াচ্ছে।
আন্দোলনকারীদের অভিযোগ, ২৭২ কোটি টাকা ব্যয়ে নদী সংস্কার করা হলেও নদের ওপরের সংকীর্ণ সেতুগুলো নীতিমালা মেনে পুনর্নির্মাণ করা হচ্ছে না। এলজিইডি কর্তৃপক্ষ দাইতলা, ছাতিয়ানতলা ও রাজারহাটে বিআইডব্লিউটিএ’র অনুমোদন ছাড়াই তিনটি সংকীর্ণ সেতু নির্মাণ করছে। এর পাশাপাশি জন চলাচলের জন্য দাইতলায় একটি অস্থায়ী সেতু নির্মাণ করা হয়েছিল, যা বর্তমানে চলাচলের অনুপযোগী হয়ে পড়েছে। এই অস্থায়ী সেতুটি নদের স্বাভাবিক প্রবাহকেও বাধাগ্রস্ত করছে।
ভৈরব নদ সংস্কার আন্দোলনের পক্ষে উপস্থিত নেতারা নির্বাহী প্রকৌশলীকে দেওয়া স্মারকলিপিতে তিন সপ্তাহের মধ্যে দাইতলার অস্থায়ী সেতুটি মেরামত করে জনসাধারণের ভোগান্তি দূর করার জন্য জরুরি পদক্ষেপ নেয়ার আহ্বান জানান।
একইসঙ্গে নির্মাণাধীন তিনটি সেতুর কাজ দ্রুত শেষ করার দাবিও করা হয়। তারা বলেন, এই দাবি পূরণ না হলে আগামী অক্টোবরের দ্বিতীয় সপ্তাহে যশোর-ঢাকা মহাসড়ক অবরোধের মতো কঠোর কর্মসূচিতে যেতে বাধ্য হবেন তারা।
স্মারকলিপি প্রদানের সময় উপস্থিত ছিলেন ভৈরব নদ সংস্কার আন্দোলনের অন্যতম নেতা জিল্লুর রহমান ভিটু, হাচিনুর রহমান, নাজিমউদ্দিন, আবু হাসান, মকবুল হোসেন, সাঈদ আহম্মেদ নাসির শেফার্ড, আব্দুল হান্নান প্রমুখ।
এসময় তারা হুঁশিয়ারি দিয়েছেন, তিন সপ্তাহের মধ্যে দাবি পূরণ না হলে অক্টোবর মাসের দ্বিতীয় সপ্তাহে যশোর-ঢাকা মহাসড়ক অবরোধ করা হবে।