বাংলার ভোর প্রতিবেদক
যশোর জেলা জাতীয় পার্টির কমিটি বিলুপ্ত করা হয়েছে। দলের চেয়ারম্যান জি এম কাদের, মহাসচিব ব্যারিস্টার শামীম হায়দার পাটোয়ারির সুপারিশে এই সিদ্ধান্ত নেয়া হয়েছে। জাতীয় পার্টির যুগ্ম দপ্তর সম্পাদক সমরেশ মন্ডল মানিক স্বাক্ষরিত এক বিজ্ঞপ্তিতে এই তথ্য জানানো হয়েছে।
প্রেস বিজ্ঞপ্তিতে আরো জানানো হয়, দলটির জেলা শাখা মেয়াদোত্তীর্ণ হওয়ায় আগামী তিন মাসের জন্য জাতীয় পার্টির সম্মেলন প্রস্তুত কমিটি গঠন করা হয়েছে। এতে আজিজুর রহমানকে আহবায়ক ও মুফতি ফিরোজ শাহকে সদস্য সচিব করে ৪৫ সদস্য বিশিষ্ট একটি সম্মেলন প্রস্তুত কমিটি অনুমোদন দেয়া হয়েছে। এই কমিটি আগামী তিন মাসের মধ্যে যশোর জেলার সকল উপজেলা কাউন্সিল সম্পন্ন করে জেলা কাউন্সিলের মধ্য দিয়ে সংগঠনের নতুন যাত্রা শুরু করার আহ্বান জানানো হয়।
এদিকে, জাতীয় পার্টিকে স্বৈরাচার দোসর আখ্যা দিয়ে সারাদেশে কোনঠাসা করে রাখা হয়েছে অভিযোগ নেতাকর্মীদের। সম্প্রতি যশোরসহ সারাদেশে দলীয় কার্যালয়ে হামলার অভিযোগ উঠে ছাত্রজনতার বিরুদ্ধে। প্রকাশ্য আগের মতো করে কর্মসূচিও করতে পারছে না। এমন পরিস্থিতিতে সম্মেলন করা নিয়ে শঙ্কা প্রকাশ করছেন নেতাকর্মীরা।
তবে শঙ্কা কাটিয়ে সকল উপজেলা কাউন্সিল সম্পন্ন করা হবে বলে জানিয়েছে সম্মেলন প্রস্তুত কমিটির সদস্য সচিব মুফতি ফিরোজ শাহ। তিনি বলেন, ‘যারা একটা রাজনৈতিক দল হয়ে আরেক রাজনীতিক দলের উপর হামলার চালায় সেটা আক্রোশের রাজনীতি। এটা আমরা সমর্থন করি না। ব্যক্তিস্বার্থ হাসিলের জন্য হামলা চালাচ্ছে। সঠিক রাজনৈতিক দল এ ধরনের কাজ করতে পারে না। যাদের সন্ত্রাসী দল হিসাবেই ধরে নিয়েছি। আমাদের সম্মেলন হবে। কেউ প্রতিহিত করতে চাইলে জাতীয় পার্টির নেতাকর্মীরা প্রতিহিত করবে।’
৪৫ সদস্য বিশিষ্ট সম্মেলন প্রস্তুত কমিটির অন্যরা হলেন, যুগ্ম আহবায়ক জাহাঙ্গীর আলম চঞ্চল, নজরুল ইসলাম ও এম এ হালিম।
সদস্যরা হলেন, শরিফুল ইসলাম সরু চৌধুরী, অ্যাডভোকেট জহিরুল হক জহির, অ্যাডভোকেট মাহবুবুল আলম বাচ্চু, মনিরুজ্জামান মনি, মিনহাজুল আরেফিন, ডাক্তার নাজিমউদ্দিন, জিএম হাসান ও অধ্যাপক রেজাউল ইসলাম। নির্বাহী সদস্যরা হলেন, মুক্তিযোদ্ধা অ্যাডভোকেট মুজিবুর রহমান, শফিউর রহমান, ইয়াকুব আলী, অ্যাডভোকেট জিএম আবু মুসা, অ্যাডভোকেট আশরাফুল ইসলাম, আব্বাস আলী, সেকেন্দার আলী, আব্দুর রশিদ, আখতারুজ্জামান তরফদার, ডাক্তার আখতারুজ্জামান, সিকদার আবু সাঈদ, মঈন খান, মিজানুর রহমান মিজান, আব্দুর রহিম ফারাজি, রুহুল আমিন লাভলু, নজরুল ইসলাম, অধ্যাপক মনিরুজ্জামান, মনিরুজ্জামান হিরন, তুহিন খান, সোলায়মান হোসেন, ইদ্রিস আলী, পারুল নাহার আশা, আবু হারেজ, ইমন হোসেন লালটু, অলিয়ার রহমান, আব্দুর রশিদ মৃধা, হাবিবুর রহমান হাবিব (রেফারি), একরামুল হোসেন জুয়েল, ডাক্তার আব্দুল মান্নান, আলমগীর ফারাজি, ওসমান গনি সরকার ও শেখ শহিদুল ইসলাম (মিরু)।