এম আই মুকুল, জীবননগর
দরজায় কড়া নাড়ছে হিন্দু ধর্মালম্বীদের সবচেয়ে বড় উৎসব শারদীয় দুর্গোৎসব। চুয়াডাঙ্গার জীবননগরে শারদীয় দুর্গোৎসব নির্বিঘ্নে ও উৎসবমুখর পরিবেশে পালনের জন্য ২৫ টি পূজামণ্ডপ প্রস্তুত করা হয়েছে। প্রতিমা প্রস্তুতির কাজ শেষ করে এখন রংতুলিতে দেবির সৌন্দর্য বর্ধনের কাজ করছেন কারিগরেরা।
এছাড়াও পূজামণ্ডপ এলাকায় বাহারি আলোকসজ্জা দিয়ে সুসজ্জিত করা হয়েছে। শান্তিপূর্ণ পরিবেশে দুর্গোৎসব পালনের জন্য প্রতিটি পূজা মণ্ডপে নেয়া হয়েছে বাড়তি নিরাপত্তা ব্যবস্থা।
এদিকে শারদীয় দুর্গাপূজা উপলক্ষে হিন্দু সম্প্রদায়ের মানুষজনের মধ্যে আনন্দোৎসব শুরু হয়ে গেছে। প্রতিমা বিসর্জন পর্যন্ত চলবে তাদের এই আনন্দোৎসব।
জীবননগর পূজা উদযাপন কমিটির আহবায়ক জীবন সেন বলেন, উপজেলায় এবার মোট ২৫ টি পূজামণ্ডপে শারদীয় দুর্গোৎসব পালন করা হবে। এর মধ্যে জীবননগর পৌরসভায় ৩ টি, উথলী ইউনিয়নে ৫ টি, মনোহরপুরে ৪ টি, কেডিকে ইউনিয়নে ৩ টি, আন্দুলবাড়িয়া ইউনিয়নে ২ টি, রায়পুর ইউনিয়নে ৩ টি, হাসাদাহ ইউনিয়নে ১ টি, বাঁকা ইউনিয়নে ২ টি ও সীমান্ত ইউনিয়নে ২ টি। সকল পূজামণ্ডপে প্রতিমা প্রস্তুতির কাজ শেষ হয়েছে। মণ্ডপের আশেপাশে সুসজ্জিত করা হয়েছে।
রাতে আলোকসজ্জার ব্যবস্থাসহ প্রবেশ গেট তৈরি করা হয়েছে। আগামী ২৮ সেপ্টেম্বর থেকে দুর্গোৎসব শুরু হবে।
বৃহস্পতিবার প্রতিমা বিসর্জনের মধ্য দিয়ে দুর্গোৎসব পালন করা আনুষ্ঠানিক ভাবে শেষ হবে।
জীবননগর উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা আল-আমীন হোসেন বলেন, উপজেলার সকল পূজামণ্ডপে শান্তিপূর্ণভাবে শারদীয় দুর্গোৎসব পালনের জন্য সকল প্রস্তুতি সম্পন্ন করা হয়েছে। মণ্ডপে নিরাপত্তার জন্য পুলিশ, আনসার সদস্য ও স্বেচ্ছাসেবকেরা সবসময় দায়িত্বে নিয়োজিত থাকবেন। পূজা উদযাপন কমিটির সাথে সবসময় যোগাযোগ রাখছি। আশা করি সনাতন ধর্মালম্বী ভাই ও বোনেরা নির্বিঘ্নে আনন্দ ও উৎসবের মধ্য দিয়ে এবারের শারদীয় দুর্গাপূজা পালন করবেন।
জীবননগর থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা মামুন হোসেন বিশ্বাস জানান, উপজেলার প্রতিটি মন্ডপে নিরাপত্তা জোরদার করা হয়েছে। থানা পুলিশের পক্ষ হতে সর্বক্ষণ পূজা মণ্ডপগুলিতে মনিটরিং করা হচ্ছে।