বাংলার ভোর প্রতিবেদক
মামলা, ইজারাসহ নানা জটিলতায় যশোরাঞ্চলের ২৯ বাঁওড় ও বিলের অচলাবস্থা কাটাতে নতুন প্রকল্প নিতে চায় মৎস্য অধিদপ্তর। কারণ এ অচলাবস্থার কারণে বছরে শত কোটি টাকার আয় থেকে বঞ্চিত হচ্ছে প্রকৃত মৎস্যজীবীরা।
একই সাথে নষ্ট হয়ে গেছে অভায়াশ্রম। রাসায়নিক সার ও কীটনাশক প্রয়োগের ফলে বিলুপ্তির পথে দেশিয় মাছ। পাশাপাশি চরম দুর্ভোগে পড়েছে প্রায় ৬ হাজার জেলে পরিবার। কর্মহীন হয়ে পড়েছে বাঁওড়ের উপর নির্ভরশীল আরো কয়েক হাজার মৎস্যজীবী পরিবার। শনিবার দুপুরে যশোর শহরের লাক্সারি ডাইন কনভেশন হলে দিনব্যাপি এক কর্মশালায় এ তথ্য জানানো হয়েছে। জেলা মৎস্য অফিসের উদ্যোগে বিদ্যমান সরকারি মৎস্য খামার সমূহের সক্ষমতা ও মৎস্য উৎপাদন বৃদ্ধির লক্ষ্যে অবকাঠামোগত উন্নয়নের লক্ষ্যে এ কর্মশালা অনুষ্ঠিত হয়।
মৎস্য অধিদপ্তরের প্রধান বৈজ্ঞানিক কর্মকর্তা সাহেদ আলীর সভাপতিত্বে কর্মশালায় বাঁওড়গুলোতে মৎস্য উৎপাদন বৃদ্ধি, দেশীয় মাছ সংরক্ষণ ও মৎস্যজীবীদের রক্ষায় প্রকল্প গ্রহণে মতামত গ্রহণ করা হয়। একই সাথে যশোরাঞ্চলের অন্য ২২টি বাঁওড়কে ঘিরে সকল মামলা প্রত্যাহারের আহবান জানানো হয়।
ক্ষতিগ্রস্ত মৎস্যজীবীরা এ উদ্যোগকে স্বাগত জানান। তারা ইফাদ প্রকল্পের তালিকাভুক্ত মৎস্যজীবীদের নতুন প্রকল্পের আওতায় এনে প্রকল্প গ্রহণ করলে মামলা প্রত্যাহার করবেন বলে আশ্বাস দেন।
কর্মশালায় প্রধান অতিথি ছিলেন মৎস্য ও প্রাণিসম্পদ মন্ত্রণালয়ের পরিকল্পনা অনুবিভাগের অতিরিক্ত সচিব নীলুফা আক্তার। তিনি বলেন, মৎস্য মন্ত্রণালয় নতুন প্রকল্প গ্রহণের মাধ্যমে ক্ষতিগ্রস্ত মৎস্যজীবীদের সুদিন ফেরাতে চান। এ প্রকল্প চালু হলে মৎস্য অধিদপ্তরের অধীনে প্রশিক্ষণসহ সরকারি সকল সুযোগ সুবিধা পাবেন। একই সাথে দেশীয় মাছগুলো বিলুপ্তির হাত থেকে রক্ষা করতে এ প্রকল্প ভূমিকা রাখবে।
কর্মশালায় বিশেষ অতিথি হিসেবে মৎস্য ও প্রাণিসম্পদ মন্ত্রণালয়ের পরিকল্পনা অধিশাখার যুগ্ম সচিব হেমায়েত হোসেন, জেলা প্রশাসক আজাহারুল ইসলাম, মৎস্য অধিদপ্তরের পরিকল্পনা বিভাগের উপ-পরিচালক সরকার মোহাম্মদ রফিকুল আলম, সম্পষারণ বিভাগের উপ-পরিচালক সরদার মহিউদ্দীন, বাঁওড় মৎস্য উন্নয়ন প্রকল্পের পরিচালক আনিসুর রহমান ও জেলা মৎস্য অফিসার সরদার মনিরুল মামুন বক্তব্য রাখেন।
কর্মশালায় যশোর, ঝিনাইদহ ও চুয়াডাঙ্গা জেলার মৎস্য অধিদপ্তরের কর্মকর্তা ও প্রকৃত মৎস্যজীবীরা অংশগ্রহণ করেন।