বাংলার ভোর প্রতিবেদক
জেলা প্রশাসক আজাহারুল ইসলাম বলেছেন, ১৯৭১ সালের মুক্তিযুদ্ধে আমাদের খুব বেশি অস্ত্র না থাকলেও একতা ও ঐক্যবদ্ধ মনোভাবই ছিলো সবচেয়ে বড় অস্ত্র। তিনি হুঁশিয়ারি উচ্চারণ করে বলেন, মুক্তিযুদ্ধের পর সুকৌশলে যে বিভাজন তৈরি করা হয়েছে, সেই ষড়যন্ত্র এখনও চলছে। দেশের স্বাধীনতা ও সার্বভৌমত্ব রক্ষায় সকল মতবিরোধ ভুলে ঐক্যবদ্ধ থাকার আহ্বান জানান তিনি।
শনিবার সকালে বাংলাদেশ মুক্তিযোদ্ধা সংসদ যশোর সদর উপজেলা ইউনিট কমান্ডের অভিষেক ও দোয়া মাহফিল অনুষ্ঠানে প্রধান অতিথির বক্তব্যে তিনি এসব কথা বলেন।
জেলা প্রশাসক আজাহারুল ইসলাম বলেন, পাকিস্তানকে অন্যরা অস্ত্র দিয়ে সহযোগিতা করেছিলো। আমাদের মুক্তিযুদ্ধ ছিলো সার্বজনীন। কিন্তু মুক্তিযুদ্ধের পর সুকৌশলে বিভাজন তৈরি করে দেয়া হয়েছে। এখনও সেই ষড়যন্ত্র হচ্ছে।
তিনি আরও বলেন, মুক্তিযুদ্ধের চেতনা ছিলো সাম্য, স্বাধীনতা ও মর্যাদা। কিন্তু দুঃখজনকভাবে যুদ্ধের পর মুক্তিযুদ্ধ ‘কোনো একক ব্যক্তির মুক্তিযুদ্ধ’ হয়ে গেছে।
জেলা প্রশাসক দৃঢ়তার সাথে বলেন, বাংলাদেশ ও বাংলাদেশের স্বাধীনতা সার্বভৌমত্বের সাথে আমাদের মতবিরোধ ভুলে ঐক্যবদ্ধ থাকতে হবে। হিংসা অমর্যাদার বাংলাদেশ আমরা চাই না।
অনুষ্ঠানে সভাপতিত্ব করেন সদর উপজেলার নির্বাহী কর্মকর্তা শারমিন আক্তার। বিশেষ অতিথি ছিলেন জেলা মুক্তিযোদ্ধা সংসদ ইউনিট কমান্ডের আহবায়ক আব্দুল লতিফ ও সদস্য সচিব আব্দুল মালেক।
অনুষ্ঠান পরিচালনা করেন মুক্তিযোদ্ধা মতিয়ার রহমান এবং সঞ্চালনা করেন মুক্তিযোদ্ধা গোলাম রসুল। অনুষ্ঠানের শুরুতে স্বাগত বক্তব্য রাখেন সদর উপজেলা ইউনিটের আহবায়ক নজরুল ইসলাম ও বীর মুক্তিযোদ্ধা নুরুলহক বীর বিক্রম।
অনুষ্ঠানের এক পর্যায়ে নজরুল ইসলামকে আহবায়ক ও আবুল খায়েরকে সদস্য সচিব সদর উপজেলার ৭ সদস্য বিশিষ্ট আহবায়ক কমিটির নাম প্রকাশ করা হয়। কমিটির যুগ্ম আহবায়ক আমিরুল ইসলাম, সদস্য এসএম শহিদুল্লাহ, নূর মোহাম্মদ, মো. ইসহাক, মুসাচ্ছেক হোসেন।