জীবননগর (চুয়াডাঙ্গা) প্রতিনিধি
চুয়াডাঙ্গার জীবননগরে পরিবেশ অধিদপ্তরের অনুমোদন ছাড়াই কৃষি জমির পাশে গাছ পুড়িয়ে তৈরি করা হচ্ছে কয়লা। এতে কৃষি জমি হুমকির মুখে পড়ছে। জীবননগর উপজেলার রায়পুর ইউনিয়নের মারুফদা গ্রামের সাবেক মেম্বার মিলন হোসেনের ভাই ইরফান হোসেন কৃষি জমির পাশেই অবৈধভাবে গড়ে তুলেছেন কয়লার ফ্যাক্টরি। যার ফলে এলাকার কৃষি জমি নষ্ট হওয়া থেকে শুরু করে, এলাকার ফলজ, বনজ ও ঔষধী গাছ ধ্বংস হচ্ছে। পাশাপাশি কয়লার কালো ধোয়ার কারনে মানুষের নানা ধরনের রোগ ব্যাধির আশংকা রয়েছে।
জানা গেছে, একটি চুলায় ১৪০ মণ খড়ি ধরে এখানে ৫টি চুলা আছে গড়ে ৭০০ মণ খড়ি থাকে। একটি চালান কয়লা বের হতে সময় লাগে ১৫ দিন। মাসে দুটি করে চালান কয়লা বের হবে বলে জানা গেছে।
কয়লা মিস্ত্রি আ. সবুর বলেন, আমরা এখানে মাসিক হাজিরা চুক্তিতে কাজ করি। মাসে আমরা দুই টা চালান কয়লা তুলতে পারি। অনুমোদন নেওয়ার বিষয় জানতে চাইলে তিনি বলেন, এ কাজে কেউ অনুমোদন নেয় না। অফিস থেকে লোক আসে টাকা দিলে সব ঠিক করে দেয়।
এ বিষয়ে ইরফান আলী বলেন, আমার কোনো অনুমোদন নেওয়া নেই। আমি গরিব মানুষ। এটা করে কোনো রকম চলে। এটা তাও আবার একেনারে নতুন করেছি।
জীবননগর উপজেলা নির্বাহী অফিসার মো. আল আমীন বলেন, কৃষি জমির পাশে গাছ পুড়িয়ে কয়লা বানানো হচ্ছে। এটা আপনাদের মাধ্যমে জানতে পারলাম। বিষয়টা তদন্ত করে আইনগত ব্যবস্থা নেওয়া হবে।