জীবননগর সংবাদদাতা
চুয়াডাঙ্গার জীবননগর উপজেলার সীমান্ত ইউনিয়নের নতুনপাড়া গ্রামে ফেনসিডিল চুরির অভিযোগকে কেন্দ্র করে হাসান আলী (২৭) নামে এক যুবককে খুঁটিতে বেঁধে অমানবিক নির্যাতনের অভিযোগ উঠেছে দুই মাদক কারবারির বিরুদ্ধে।
জীবননগর উপজেলার সীমান্ত ইউনিয়নের নতুন পাড়া ইউনিয়নে এ ঘটনা ঘটে।
স্থানীয় সূত্রে জানা যায়, গ্রামের চিহ্নিত দুই মাদক কারবারি মনির ও বিদ্যুতের পাঁচ পাতা ফেনসিডিল চুরি করে হাসান। কয়েকদিন পর এ ঘটনা ফাঁস হলে অভিযুক্তরা হাসানকে শনিবার বেলা ১১ টারদিকে নিজ বাড়ি থেকে তুলে নিয়ে যায়। পরে তাকে রশি দিয়ে খুঁটির সঙ্গে হাত-পা বেঁধে প্রকাশ্যে বেধড়ক মারধর করে। নির্যাতনের একপর্যায়ে হাসান বাধ্য হয়ে দুই পাতা ফেনসিডিল ও নগদ ১৭ হাজার টাকা ফেরত দেয়। তবে মাদক কারবারিরা অবশিষ্ট তিন পাতা ফেনসিডিল ফেরত ও ৯০ হাজার টাকা দাবি করে। আর টাকা না দিলে হাসানের বাড়ি থেকে গরু নিয়ে যাওয়ার হুমকি দেয়।
মাদক কারবারি মনির দাবি করেন, ‘হাসান একজন চোর। সে বিভিন্ন জায়গায় চুরি করে। আমরা ভালো মানুষ। খোঁজ নিলেই সব বের হবে।’ তবে মাদক ব্যবসার সাথে জড়িত থাকার প্রশ্নে তিনি কোনো জবাব দেননি। অপর অভিযুক্ত বিদ্যুতের সাথে একাধিকবার যোগাযোগের চেষ্টা করেও তার বক্তব্য পাওয়া যায়নি।
নাম প্রকাশ না করার শর্তে গ্রামের একাধিক বাসিন্দা জানান, মনির ও বিদ্যুত দীর্ঘদিন ধরে সীমান্ত এলাকায় মাদক কারবার চালিয়ে আসছে। তারা প্রভাবশালী হওয়ায় এতদিন আইনের বাইরে রয়েছে। এমনকি প্রকাশ্যে যুবককে খুঁটিতে বেঁধে নির্যাতনের মত ঘটনা ঘটিয়েও পার পেয়ে যাচ্ছে। এলাকায় তীব্র ক্ষোভের জন্ম হয়েছে।
সীমান্ত ইউনিয়ন পরিষদের সংশ্লিষ্ট ওয়ার্ডের মেম্বার আশরাফুল হক তেতুল ঘটনার সত্যতা নিশ্চিত করে বলেন, ঘটনাটি জঘন্য অপরাধ। মাদক কারবারিরা দিন দিন বেপরোয়া হয়ে উঠছে।
জীবননগর থানার অফিসার ইনচার্জ মামুন হোসেন বিশ্বাস বলেন, ‘ঘটনার বিষয়ে আগে আমার কোন কিছু জানা ছিল না। কিছুক্ষণ আগে এ ঘটনার খবর পেয়েছি। খোঁজ নেয়া হচ্ছে। ঘটনার সত্যতা পাওয়া গেলে দোষীদের বিরুদ্ধে আইনগত ব্যবস্থা গ্রহণ করা হবে।’
এদিকে ঘটনার পর থেকে নতুনপাড়া গ্রামে টান টান উত্তেজনা বিরাজ করছে।