বাংলার ভোর প্রতিবেদক
যশোরের বাঘারপাড়া উপজেলার বন্দবিলা ইউনিয়ন বিএনপির সাধারণ সম্পাদক আজিজুর রহমানকে মারধর ও হামলার অভিযোগ উঠেছে। সংগঠনটির ইউনিয়ন বিএনপির সভাপতি মনিরুজ্জামান তপনের নেতৃত্বে এই ঘটনা ঘটেছে। গত পহেলা অক্টোবর উপজেলার খাজুরা গরুহাট বটতলা চত্বরে এই ঘটনা ঘটে। এই ঘটনা ছাড়াও বিভিন্ন সময়ে বিএনপি নেতা
মনিরুজ্জামান তপনের বিরুদ্ধে নানা অপকর্ম তুলে ধরে জেলা ও উপজেলা বিএনপির শীর্ষ নেতাদের কাছে লিখিত অভিযোগ করেছেন ভুক্তভোগী আজিজুর রহমান। অভিযোগের অনুলিপিও দেয়া হয়েছে বিএনপির ভাইস চেয়ারম্যান অধ্যাপক নার্গিস বেগম ও খুলনা বিভাগীয় সাংগঠনিক সম্পাদক অনিন্দ্য ইসলাম অমিতকেও। জড়িতদের বিরুদ্ধে সাংগঠনিক ব্যবস্থা গ্রহণের দাবি জানিয়েছেন তিনি।
শুক্রবার জেলা, উপজেলা বিএনপির নেতাদের কাছে দেয়া অভিযোগ পত্রে উল্লেখ করা হয়েছে, ২০২৪ সালের ৫ আগস্ট স্বৈরাচার শেখ হাসিনার পতনের পর থেকে বন্দবিলা ইউনিয়ন বিএনপির সভাপতি মনিরুজ্জামান তপন সংখ্যালঘুদের উপর নির্যাতন শুরু করেছেন। অন্যের জমি দখল, চাঁদাবাজি, সালিশের নামে অবৈধ টাকার লেনদেনসহ নানান অপকর্মের সাথে তিনি জড়িত। যা স্থানীয় দৈনিক পত্রিকায় বিভিন্ন সময় প্রকাশিত হয়েছে। প্রতিবাদ করলে মনিরুজ্জামান তপন ও তার সন্ত্রাসীবাহিনী বিভিন্ন সময়ে আমাকে হুমকি ধামকি গালিগালাজসহ প্রাণনাশের হুমকি দেয়। গত ৩০ সেপ্টেম্বর আমিসহ বন্দবিলা ইউনিয়ন বিএনপি’র বিভিন্ন পর্যায়ের নেতৃবৃন্দ আমার ইউনিয়নের সনাতন ধর্মাবলম্বীদের শারদীয় দুর্গা উৎসব পরিদর্শনে যান। পরের দিন পহেলা অক্টোবর উপজেলা বিএনপির সভাপতি তানিয়া রহমান বন্দবিলা ইউনিয়নে সনাতন ধর্মবলাম্বীদের পূজা পরিদর্শনে আসবেন সেই লক্ষ্যে আমরা খাজুরা গরুহাট বটতলা চত্বরে অপেক্ষায় ছিলাম। তখন মনিরুজ্জামান তপন তার অনুমতি ছাড়া পুজা পরিদর্শনে যাওয়া নিয়ে প্রশ্ন তোলেন। একপর্যায়ে মনিরুজ্জামান তপন বলেন যারা পূজা পরিদর্শনে গেছেন তাদের হাত-পা ভেঙ্গে দেয়া হবে। একই সাথে ৬ নং ওয়ার্ড বিএনপি’র সাধারণ সম্পাদক গোলাম রসুলকে আমাকে মারধর করার নির্দেশ দেন। কিছু বুঝে ওঠার আগেই গোলাম রসুল আমার দিকে তেড়ে এসে চড় লাথি কিল ঘুষি মারেন এবং লাঞ্ছিত করেন। এমতাবস্থায় জড়িতদের সাংগঠনিক ব্যবস্থার দাবি জানিয়েছেন ভুক্তভোগী আজিজুর রহমান।
অভিযোগের বিষয়ে জানতে চাইলে বিএনপি নেতা মনিরুজ্জামান তপন বলেন, ‘আমার বিরুদ্ধে যেসব অভিযোগ করা হচ্ছে, সেটা মিথ্যা ভিত্তিহীন। পূজা মন্দিরে স্থানীয় নেতাকর্মীদের না জানিয়ে ইউনিয়ন বিএনপির সেক্রেটারি আজিজুর রহমান একাই পরিদর্শনে যান। এতে নেতাকর্মীরা তার উপর ক্ষিপ্ত হন। এটা নিয়ে বাজারে কথাকাটাকাটি হয়। শেষে ধাক্কাধাক্কির পর্যায়ে যায়; কোন হামলা বা মারধর করা হয়নি। এছাড়া জমিদখল, হিন্দু সম্প্রদায়ের মানুষের উপর নির্যাতন, শালিশ বিচার করা এসব অভিযোগ ভিত্তিহীন।’