বাংলার ভোর প্রতিবেদক
ফিলিস্তিন অভিমুখে গ্লোবাল সুমুদ ফ্লোটিলায় ইসরাইয়েলি হামলা, যাত্রীদের গ্রেফতারের প্রতিবাদ এবং ফিলিস্তিনের স্বাধীনতার দাবিতে যশোরে বিক্ষোভ সমাবেশ অনুষ্ঠিত হয়েছে। বাংলাদেশের বিপ্লবী কমিউনিস্ট লীগ যশোর জেলা কমিটির উদ্যোগে শুক্রবার বিকেলে নীল রতন ধর রোডস্থ পার্টির দলীয় কার্যালয়ের সামনে এই বিক্ষোভ সমাবেশ অনুষ্ঠিত হয়।
বিক্ষোভ সমাবেশে বক্তব্য রাখেন- বাংলাদেশের বিপ্লবী কমিউনিস্ট লীগের কেন্দ্রীয় সাধারণ সম্পাদক ইকবাল কবির জাহিদ, জেলা সম্পাদক তসলিম উর রহমান, প্যালেস্টাইন সংহতি কমিটির যশোর জেলার আহবায়ক প্রফেসর ইসরারুল হক, নাজিম উদ্দিন, মিজানুর রহমান, কামাল হাসান পলাশ, মন্জুরুল আলম প্রমুখ।
বিক্ষোভ সমাবেশে বক্তারা বলেন, দখলদার ইসরায়েলি বাহিনী ফিলিস্তিনের গাজায় একের পর এক নিষ্ঠুর গণহত্যা চালিয়ে যাচ্ছে। যার মধ্যে রয়েছে অসংখ্য নারী ও শিশুসহ ফিলিস্তিনের সাধারণ জনগণ। বিশ্বের ৮৪% দেশ গণহত্যাকারীদের বিরুদ্ধে ফুঁসে উঠেছে। মানবিক সহায়তা বহনকারী গ্লোবাল সুমুদ ফ্লোটিলার সকলকে আন্তর্জাতিক জলসীমায় অবৈধভাবে আটক করার প্রতিবাদে দেশে দেশে লাখো লাখো মানুষ বিক্ষোভ করছে। অথচ এই দখলদার ইসরায়েল এটাতে কর্ণপাত না করে বৃদ্ধাঙ্গুলি প্রদর্শন করে চলেছে। যার পেছনে রয়েছে মার্কিন সাম্রাজ্যবাদ। এই মার্কিন প্রেসিডেন্ট ট্রাম্পের সরাসরি সহযোগিতায় ইসরায়েল নির্বিঘ্নে এই গণহত্যা চালাচ্ছে।
বিক্ষোভ সমাবেশে বক্তারা আরো বলেন, ফিলিস্তিন ও গাজাকে আলাদা রাষ্ট্র হিসেবে স্বীকৃতি দেয়ার পরও বিশ্বের কিছু শক্তিধর দেশ ছোট্ট ইসরায়েলের পক্ষে অস্ত্র ও সমর্থন দিয়ে এই নৃশংস ঘটনার সঙ্গে সম্পৃক্ত হচ্ছে। এই অনৈতিক সহায়তা মানবতার বিরুদ্ধে এক ধরনের খেলায় রূপ নিয়েছে। আমরা বিশ্বাস করি শহীদের রক্তের বিনিময়ে ফিলিস্তিন স্বাধীনতা অর্জন করবে ইনশাআল্লাহ। আমরা জাতিসংঘ ও আন্তর্জাতিক সম্প্রদায়কে আহ্বান জানাই- অবিলম্বে ইসরায়েলের হাতকে দমন করুন। দখল হওয়া অঞ্চলগুলো দ্রুত মুক্ত ঘোষণা করুন এবং ত্রাণবাহী জাহাজের কর্মীদের অবিলম্বে মুক্তি দিন। বাংলাদেশ সরকারের নিন্দা ও মুক্তির দাবিকেও আমরা স্বাগত জানাই। যতদিন ফিলিস্তিন স্বাধীনতা অর্জন করবে না, ততদিন মুসলমানদের লড়াই সহানুভূতি ও সংগ্রাম অব্যাহত থাকবে।
সমাবেশের নেতৃবৃন্দ যশোরবাসীসহ বিশ্ববাসীর প্রতি আহবান জানিয়ে বলেন, আপনারা যে যেখানে আছেন সেখান থেকেই ফিলিস্তিনের পতাকা হাতে নিয়ে ফিলিস্তিনের প্রতি সমর্থন অব্যাহত রাখুন এবং সাম্রাজ্যবাদকে না বলুন।