বাংলার ভোর প্রতিবেদক
যশোরের মনিরামপুরে শংকর মন্ডল (৫৫) নামে হত্যা মামলার এক আসামি হারপিক পানে আত্মহত্যার চেষ্টা করেছেন। খবর পেয়ে মণিরামপুর থানার পুলিশ শনিবার ভোরে নিজ বাড়ি থেকে তাকে উদ্ধার করে মণিরামপুর উপজেলা স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সে ভর্তি করে। শংকর মন্ডল উপজেলার কৃষ্ণবাটি গ্রামের বাসিন্দা। তার বিরুদ্ধে স্থানীয় অবনিশ মন্ডলের স্ত্রী তৃপ্তি মন্ডলকে কুপিয়ে হত্যার অভিযোগ রয়েছে।
তৃপ্তি হত্যা মামলার তদন্ত কর্মকর্তা মণিরামপুর থানার এসআই নজরুল ইসলাম বলেন, ‘শনিবার ভোররাতে শংকর মন্ডল নিজ বাড়িতে হারপিক পান করে। খবর পেয়ে আমরা সকালে তাকে উদ্ধার করে মণিরামপুর হাসপাতালে ভর্তি করেছি।
মণিরামপুর উপজেলা স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সের জরুরি বিভাগের ইনচার্জ আলেক উদ্দিন বলেন, শনিবার সকাল ৭টা ২৫ মিনিটে পুলিশ শংকর নামে একজনকে হাসপাতালে এনেছে। তিনি হারপিক পান করেছিলেন। ওয়াশ করার পর পুরুষ ওয়ার্ডে তার চিকিৎসা চলছে।’
পুলিশ জানিয়েছে, গত বৃহস্পতিবার দুপুরে ভ্যানচালক অবনিশের স্ত্রী তৃপ্তি মন্ডলকে ধারালো অস্ত্র দিয়ে কুপিয়ে হত্যা করেন শংকর। তৃপ্তির সঙ্গে শংকরের পরকীয়া সম্পর্কের কথা এলাকার লোকজন জানত। একপর্যায়ে শংকর তৃপ্তিকে ঘরে তুলতে চান। তখন তৃপ্তি শংকরের কাছে তার ভিটাবাড়ি দাবি করেন। এই নিয়ে তাদের দুজনের মধ্যে বিরোধ সৃষ্টি হয়। ঘটনার দিন ঘাস কেটে বাড়ি ফেরার পথে গৃহবধূকে কুপিয়ে হত্যা করে শংকর। গৃহবধূ তৃপ্তির স্বামী অবনিশ মন্ডল বাদী হয়ে শুক্রবার ভোররাতে শংকর মল্লিকের বিরুদ্ধে মনিরামপুর থানায় মামলা করেছেন।