এম আই মুকুল, জীবননগর
চুয়াডাঙ্গার জীবননগরে উপজেলা স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সে চিকিৎসক ও শয্যা সংকটের কারণে দীর্ঘদিন ধরে চিকিৎসা সেবা থেকে বঞ্চিত উপজেলার সাধারণ রোগীরা।
অনুসন্ধানে জানা গেছে, উপজেলাটিতে ৮টি ইউনিয়ন ও একটি পৌরসভার প্রায় লক্ষাধিক মানুষের চিকিৎসা সেবার একমাত্র ভরসাস্থল এই হাসপাতাল। এ কারণে ফলে হাসপাতালটি ৫০ শয্যায় উন্নীত করা হলেও আজ পর্যন্ত চালু হয়নি। মাত্র ৩১ টি শয্যা নিয়ে ধুঁকছে হাসপাতালটি। এদিকে হাসপাতালে রোগীর চাপ বৃদ্ধি হওয়ার কারণে মেঝেতে, বারান্দায় যে যেখানে পারছে চিকিৎসা সেবা নিচ্ছে। এছাড়াও হাসপাতালে রয়েছে চিকিৎসকসংকট। প্রতিদিন ৩০০ থেকে ৪০০ রোগীর বিপরীতে রয়েছে দুই থেকে তিনজন চিকিৎসক। যার ফলে নামমাত্র চিকিৎসা নিয়ে ফিরতে হচ্ছে সাধারণ রোগীদের।
সরেজমিনে উপজেলা স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সের মূল ফটক পেরিয়ে ভিতরে প্রবেশ করতেই পরিস্কার পরিচ্ছন্নতার বিষয়ে কেমন অগোছালো অবস্থায় দেখা গিয়েছে। বহিঃবিভাগে রোগীদের সারি বেশ লম্বা। অন্ত বিভাগে ডায়রিয়া রোগিসহ বেশ কজন। এ সময় চিকিৎসক সংকট নিয়ে বহিঃবিভাগে আসা রোগিদের চিকিৎসা সেবা নিয়ে অসন্তোষ দেখা যায়।
চিকিৎসা নিতে আসা রোগীরা জানান, “আমাদের অসুস্থ সন্তান বা নিকট আত্মীয় নিয়ে হাসপাতালে আসলে অনেক সময় শয্যা পাওয়া যায় না। কিছু রোগীকে মেঝেতে বসে চিকিৎসা নিতে হয়। এটি অত্যন্ত হতাশাজনক। তাছাড়া চিকিৎসক ও ওষুধ সংকট তো আছেই। যার ফলে আমরা হাসপাতালের প্রকৃত সেবা থেকে বঞ্চিত হচ্ছে।
এ বিষয়ে জীবননগর উপজেলা স্বাস্থ্য কর্মকর্তা মকবুল হোসেন জানান, স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সের নতুন ভবনের স্থাপত্য কাজ শেষ হলেও কিছু প্রশাসনিক ও সরঞ্জাম সংক্রান্ত কারণে ৫০ শয্যা সম্পূর্ণ চালু হয়নি। তবে বর্তমানে পর্যাপ্ত জনবল না থাকায় ৩১ শয্যায় রোগীর চাপ সামলানো কঠিন হয়ে দাঁড়িয়েছে।