বাংলার ভোর প্রতিবেদক
দেশের স্বাধীনতা, ধর্মীয় স্বাধীনতা ও অর্থনৈতিক মুক্তিসহ ৭ দফা দাবিতে যশোর জেলা প্রশাসকের মাধ্যমে প্রধান উপদেষ্টা বরাবর স্মারকলিপি দিয়েছে জাতীয় গণতান্ত্রিক পার্টি (জাগপা)। রোববার সকালে জেলা প্রশাসক আজাহারুল ইসলাম স্মারকলিপি গ্রহণ করেন।
এ সময় উপস্থিত ছিলেন জাগপার প্রেসিডিয়াম সদস্য, খুলনা বিভাগীয় প্রধান সমন্বয়ক, যশোর জেলার প্রতিষ্ঠাতা সভাপতি নিজামদ্দিন অমিত, সংগঠনের জেলা সহ-সভাপতি বজলু হাওলাদার, সহ-সাধারণ সম্পাদক খন্দকার জাহিদ হাসান, সাংগঠনিক সম্পাদক আনোয়ার হোসেন মধু, প্রচার সম্পাদক শাহজাহান মল্লিক, সহ-সাংগঠনিক সম্পাদক জাবেদ কাজী, এবং জাগপা নেতা ইকবাল হোসেন, সিরাজুল ইসলাম, সোহানুর রহমান সোহেল, রিজাউল হোসেন, সৌরভ বিশ্বাস, ফয়সাল আহমেদ, হাবিবুর রহমান, শোহানুর ইসলাম শয়ন, বাবলু হোসেন, রিফাত শেখ, মতিউর রহমান মতি, রাজু মোল্লা, কালু হোসেন প্রমুখ।
স্মারকলিপিতে উল্লেখ করা হয়েছে, ঐতিহাসিক ২০২৪ সালের জুলাই মাসের গণঅভ্যুত্থানের পর যে অন্তর্বর্তী সরকার গঠিত হয়েছিল। জনগণের কাছে তার মূল প্রতিশ্রুতি ছিল শাসনতান্ত্রিক সংস্কার, ন্যায়বিচার প্রতিষ্ঠা এবং টেকসই গণতন্ত্রের ভিত্তি স্থাপন। তবে, দুঃখজনকভাবে জনগণ এখনো সেই কাক্সিক্ষত এবং মৌলিক পরিবর্তন দৃশ্যমান হতে দেখেনি। দেশ বর্তমানে এমন এক সন্ধিক্ষণে দাঁড়িয়ে, যেখানে রাজনৈতিক স্থিতিশীলতা এবং আপামর জনগণের গণআস্থা পুনরুদ্ধারের এক অভূতপূর্ব সুযোগ সৃষ্টি হয়েছে। এই সুযোগকে সার্থকভাবে কাজে লাগাতে হলে ৭ দফা দাবি দ্রুত এবং কার্যকরভাবে বাস্তবায়ন করা অপরিহার্য।
জাগপার সহ-সভাপতি এবং দলের মুখপাত্র রাশেদ প্রধান স্বাক্ষরিত এই স্মারকলিপিতে আরও বলা হয়েছে, জনগণ যে ‘জুলাই সনদ’কে ভিত্তি করে গণঅভ্যুত্থানে অংশ নিয়েছিল, সেই সনদের ওপর একটি জাতীয় গণভোট আয়োজন এবং এর পূর্ণাঙ্গ বাস্তবায়নের আদেশ জারি করা প্রথম ও প্রধানতম দাবি। একইসঙ্গে, দীর্ঘদিনের প্রত্যাশিত ন্যায়বিচারের প্রতি দৃষ্টি আকর্ষণ করে জাগপা দাবি জানিয়েছে। তাদের দাবি, সাবেক প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনাকে অবিলম্বে ভারত থেকে দেশে ফিরিয়ে এনে বিচারিক প্রক্রিয়া শুরু করা। আওয়ামী লীগ শাসনামলে সংঘটিত গণহত্যা, সীমাহীন জুলুম, নির্যাতন এবং ব্যাপক দুর্নীতির বিচারিক প্রক্রিয়া দ্রুত ও দৃশ্যমান করা। আওয়ামী লীগ আমলে প্রতিবেশী রাষ্ট্র ভারতের সঙ্গে সম্পাদিত সকল গোপন ও অসম চুক্তি জনসমক্ষে সম্পূর্ণরূপে প্রকাশ এবং অবিলম্বে বাতিল করা। এটি দেশের জাতীয় স্বার্থ রক্ষায় অত্যন্ত জরুরি। রাজনৈতিক স্থিতিশীলতার স্বার্থে জাতীয় পার্টি এবং তথাকথিত ১৪ দলের সকল প্রকার রাজনৈতিক কার্যক্রম নিষিদ্ধ করা। জাতীয় সংসদের উভয় কক্ষে প্রোপোরশনাল রিপ্রেজেন্টেশন বা আনুপাতিক প্রতিনিধিত্ব পদ্ধতিতে নির্বাচন আয়োজন করতে হবে।