পাইকগাছা সংবাদদাতা
রাত পোহাতেই আবারো খুলনার পাইকগাছার শিবসা নদীর চরে পাওয়া গেল ইকরাম হোসেন (৪৭) নামে আরো এক যুবকের লাশ! খবর পেয়ে শুক্রবার সকাল ৯ টার দিকে পাইকগাছা নৌ-পুলিশ সোলাদানা বাজারের অদুরে শিবসা নদীর চর থেকে মৃতদেহটি উদ্ধার করেন। মৃতের বাড়ি খুলনার সোনাডাঙ্গা থানার মহসীনউদ্দীন সড়কের। এদিকে ২৪ ঘন্টার ব্যবধানে পর পর দুটি মরদেহ উদ্ধারের ঘটনায় এলাকায় ভীতির সৃষ্টি হয়েছে।
পুলিশ বলছেন, নিহতের পরনে ছিল থ্রি-কোয়ার্টার প্যান্ট ও গায়ে গেঞ্জি।
সকালে সামাজিক যোগাযোগ মাধ্যম ও পুলিশ সূত্রে খবর পেয়ে দুপুরে নিহতের দু’ ভাই ও স্বজনরা পাইকগাছা নৌপুলিশ ফাঁড়িতে পৌছে লাশের পরিচয় সনাক্ত করেন। জানা গেছে, নিহতের মা ও ৩ ভাই, স্ত্রীসহ ৮ বছরের একটি ছেলে আছে।
এদিকে পরিচয় সনাক্তের পর ইকরামের ছোট ভাই রুবেল হোসেন জানান, ১৪ অক্টোবর সকালে একটি মামলায় হাজিরা দিয়ে এরপর বেলা দেড়টার দিকে ভাইয়া জানায়, আমি পাইকগাছায় ঘেরের দিকে যাচ্ছি কাজ আছে। পরে সন্ধ্যায় তিনি বাড়িতে ফিরবেন না বলে জানান। এরপর থেকে তার মোবাইল বন্ধ থাকায় কোন রকম যোগাযোগ করা যানি। তিনি অভিযোগ করেন, ইকরামকে পরিকল্পিত ভাবে হত্যা করা হয়েছে।
স্বজনরা পুলিশকে জানান, ১৬ অক্টোবর সকালে দেলুটির জিরবুনিয়া স্লুইস গেটের মুখে নদীর চর থেকে মৃত অবস্থায় উদ্ধারকৃত সোনাডাঙ্গার রানা খলিফা ও একরাম হোসেনসহ খুলনার আরোও ৪/৫ জন এক সঙ্গে ছিল। তারা অনেকেই এখন ফোন ধরছে না। তবে,পুলিশ তদন্তের স্বার্থে ওই সব ব্যক্তির নাম ঠিকানা প্রকাশ করেননি।
এ বিষয়ে নৌ পুলিশ ফাঁড়ির ইনচার্জ এসআই সবুর হোসেন জানান, লাশের পরিচয় সনাক্তের পর সুরতহাল রিপোর্ট সম্পন্ন করে ময়নাতদন্তের জন্য খুমেক হাসপাতালে পাঠানো হয়েছে।
থানার ওসি রিয়াদ মাহমুদ জানান, এ ঘটনায় থানায় অপমৃত্যুর একটি মামলা হয়েছে। পর পর দু’দিনে নদীর চর থেকে উদ্ধার হওয়া রানা খলিফা ও ইকরাম হোসেন হত্যাকাণ্ডের শিকার কিনা জানতে চাইলে তিনি বলেন, ময়নাতদন্তের রিপোর্ট না পাওয়া পর্যন্ত কোন মন্তব্য করা ঠিক হবে না।